এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > উনিশের লোকসভায় মমতার নামে ভোট চেয়ে ভরাডুবি হয়েছিল, একুশের বিধানসভায় কি হবে? প্রশ্ন দলেই

উনিশের লোকসভায় মমতার নামে ভোট চেয়ে ভরাডুবি হয়েছিল, একুশের বিধানসভায় কি হবে? প্রশ্ন দলেই


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – তৃণমূলে শেষ কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শাসকদলের যে নেতা যতই হম্বিতম্বি করুন না কেন, দিনের শেষে প্রায় সকলেই স্বীকার করে নেন, তাদের পিছন থেকে যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবিটি সরে যায়, তাহলে তাদের কারোর কোনো অস্তিত্ব নেই। অর্থাৎ বাংলার রাজনীতিতে বর্তমান শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান মুখ হিসেবে যে এখনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রয়েছেন, সেই বিষয়টা পরিস্কার সকলের কাছেই। গত 2016 সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতিমূলক ঘটনা সামনে এসেছিল। যার পরিপ্রেক্ষিতে চাপে পড়েছিল শাসক দল।

কিন্তু বিভিন্ন জায়গায় নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “294 টা আসনে আমি প্রার্থী। আপনারা আমাকে দেখে ভোট দিন।” অর্থাৎ তিনি এই কথা বলে বুঝিয়ে দিতে চেয়েছিলেন যে, যে আসনে যিনি প্রার্থী হয়েছেন, তাকে সমর্থন করবেন শুধুমাত্র তাকে দেখে। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই কথায় বিশ্বাস করে মানুষ দু হাত উজার করে সমর্থন করেছিল তৃণমূল কংগ্রেসকে। কিন্তু এরপর থেকেই অবস্থার পরিবর্তন হতে শুরু করে।

গত 2019 সালের লোকসভা নির্বাচনে 42 টি লোকসভা কেন্দ্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চষে বেড়ালেও গেরুয়া শিবিরের কাছে কার্যত পর্যুদস্ত হতে হয় শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে। প্রায় প্রতিটি সভাতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আওয়াজ তোলেন, আপনারা আমার দিকে তাকিয়ে ভোট দিন। কিন্তু বিগত লোকসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বক্তব্য কাজে দেয়নি। 42 টি আসনের মধ্যে তৃণমূল 22 টি আসন পায়।

অন্যদিকে 2 থেকে বাড়িয়ে নিজেদের আসন সংখ্যা 18 করে নেয় ভারতীয় জনতা পার্টি। আর এই পরিস্থিতিতে আগামী দিনে 2021 সালের বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি সমস্ত কেন্দ্রে গিয়ে তার দিকে তাকিয়ে জনতা জনার্দনকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান, তাহলে মানুষ কতটা তা গ্রহণ করবেন, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে তৈরি হয়েছে সংশয়। ইতিমধ্যেই লোকসভা নির্বাচনের পরবর্তী সময় কালে প্রশান্ত কিশোরের মত প্রখ্যাত রননীতিকারকে দলের দায়িত্ব দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস। তার পরামর্শ মোতাবেক “দিদিকে বলো” কর্মসূচি থেকে শুরু করে “বাংলার গর্ব মমতা” বিভিন্ন কর্মসূচীর মাধ্যমে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে শাসক দল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এমনকি সাম্প্রতিককালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি শ্লোগান “ম্যায় হু না”-র মধ্যে দিয়ে বাংলার মানুষের পাশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আছেন, এই কর্মসূচি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ছড়িয়ে দিতে উদ্যোগী হয়েছেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। কিন্তু এতসব করা সত্ত্বেও সত্যিই কি 2021 সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার মানুষের পাশে আছেন বা তার কথায় আদৌ মানুষ বিশ্বাস করবে, তা নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে বিরোধীরা।

তাদের বক্তব্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যে কারিশমা বাংলার মাটিতে ছিল, এখন তা অতীত। বাংলার মানুষ তৃণমূলের নৈরাজ্য দেখতে শুরু করেছেন। তাই 2021 সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ম্যাজিক আর কোনোমতেই কাজে দেবে না। কিন্তু যদি সত্যি সত্যিই বিরোধীদের এই কথা সত্যি হয় এবং ভোটব্যাংকে এই বক্তব্য বাস্তব বলে প্রমাণিত হয়, তাহলে প্রশান্ত কিশোরের ফর্মুলা অনেকটাই প্রশ্নের মুখে পড়ে যাবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

শুধু তাই নয়, যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায় বাংলার মানুষ বিশ্বাস করেছিল, সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবার জান-প্রাণ দিয়ে প্রচার করলেও, তার সেই কথা যদি মানুষ বিশ্বাস না করে ভোটব্যাংকে বিপরীত দিকে সমর্থন জানাতে শুরু করেন, তাহলে তৃণমূল নেত্রীর অস্তিত্ব সংকটের মুখে পড়বে বলেও দাবি করছেন সমালোচক মহলের একাংশ। তবে রাজনৈতিক গতিপ্রকৃতি সব সময় পরিবর্তনশীল।

তাই তৃণমূল কংগ্রেস এখন বাংলার মানুষের কাছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাদের দলকে অভিনবভাবে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা চালাতে শুরু করেছে। তাই সেই চেষ্টায় সাধারণ মানুষ কতটা ভরসা রাখেন, 2016 সালের মতই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায় ভরসা রেখে পুনর্বার 2021 সালে তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যের ক্ষমতা দখল করে, নাকি পরিবর্তন হয় বাংলার মসনদে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!