ব্রিগেড ডেকে লোকসভার উত্তাপ বাড়ালেও বৃহত্তর ঐক্য নিয়ে চিন্তায় আলিমুদ্দিন স্ট্রিট রাজ্য November 10, 2018 আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে ঘিরে বর্তমানে তীব্র সরগরম রাজ্য রাজনীতি। ইতিমধ্যেই সারাদেশে বিজেপিকে ঠেকাতে আগামী 19 শে জানুয়ারি কলকাতায় ব্রিগেড সমাবেশের ডাক দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে বিজেপি বিরোধী সমস্ত দলকে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল যাতে মোদি বা বিজেপি বিরোধী হাওয়াকে প্রকট করে তুলতে না পারে সেই কারণে ব্রিগেডের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বিজেপি নেতারাও। আর এহেন একটা পরিস্থিতিতে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ও কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপিকে হঠাতে নিজেদের কাস্তে হাতুড়িতে শান দিচ্ছে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটও। সূত্রের খবর, এবার সেই ব্রিগেড সমাবেশের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে বামফ্রন্টও। গত মঙ্গলবার এই ব্যাপারে রাজ্য বামফ্রন্টের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। আর সেখানেই সব দিক বিশ্লেষণ করে আগামী ফেব্রুয়ারির 3 তারিখ রবিবার সেই ব্রিগেড সমাবেশ করার দিন ধার্য করে তারা। ইতিমধ্যেই এই ব্রিগেডের অনুমতি নেওয়ার জন্য সেনাবাহিনীর কাছে একটি চিঠিও দিয়েছে বামফ্রন্ট। কিন্তু দলের তরফে এহেন ব্রিগেড সমাবেশে শরিক দল আরএসপি, ফরওয়ার্ড ব্লকের মতো নেতারা কতটা উপস্থিত থাকবেন তা নিয়ে সংশয় রয়েছে অনেকেই। কেননা ইতিমধ্যেই বামেদের বড় শরিক সিপিএম এরাজ্যে আসন্ন লোকসভায় কংগ্রেসের সাথে জোট চেয়ে লড়ার পক্ষে সওয়াল করেছেন। কিন্তু বিগত 2016 র বিধানসভা নির্বাচনে যেভাবে সেই কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে ভরাডুবি হয়েছে বামেদের তাই আর সেই রাস্তায় হাঁটতে রাজি নন বামেদের শরিক দলগুলো। ফলে যদি সেই কংগ্রেসের সঙ্গে ফের এরাজ্যে জোট হয় তাহলে কতটা ব্রিগেড সমাবেশে বামেদের শরিকদলের একতা চোখে পড়বে যাবে তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করে দিয়েছে। জানা গেছে, আগামী 12 থেকে 16 ই ডিসেম্বর কলকাতায় পার্টি কংগ্রেসের নির্বাচনী রণকৌশল নিয়ে নিজেদের অবস্থান চূড়ান্ত করবে বাম শরিক ফরওয়ার্ড ব্লক। পাশাপাশি আগামী 14 থেকে 16 ই ডিসেম্বর সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকেও ঠিক হবে যে, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে তারা কংগ্রেসের সঙ্গে কতটা বোঝাপড়া করবে। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, এই বৈঠকের পরই স্পষ্ট হয়ে যাবে যে, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে এই রাজ্যে বামেরা ঠিক কিভাবে এগোতে চাইছে। তবে যদি বড় শরিক সিপিএম এক পথে এবং ফরওয়ার্ড ব্লক, আরএসপির মত শরিক দলগুলো সেই কংগ্রেসের বিরোধিতায় অন্য পথে যায় তাহলে বাম ঐক্যে ফাটল ধরারই প্রবল সম্ভাবনা দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। এদিন এ প্রসঙ্গে রাজ্যের এক সিপিএম নেতা বলেন, “কেন্দ্র এবং রাজ্য এই দুই সরকারের কাজ দেখে মানুষ খুব ক্ষুব্ধ। তাই এই দুইয়ের বিরুদ্ধে ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক সব শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ফলে কংগ্রেসকে এই লক্ষ্যে দূরে সরিয়ে রাখার চরম নির্বুদ্ধিতারই পরিচয়।” ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে অন্যদিকে ফরওয়ার্ড ব্লক বা আরএসপির পক্ষ থেকেও স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, “সিপিএম যদি কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের রাস্তায় হাঁটে তাহলে সেই গাঁটছড়াকে বামফ্রন্টের নামে চালানো যাবে না।” সব মিলিয়ে এখন ঠিক কি হবে তার জন্য সিপিএম এবং তার শরিক দলের আগামী বৈঠকের দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন সকলে। আপনার মতামত জানান -