এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > আসছে লোকসভা ভোট – তার আগেই ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের জন্য বিরাট ছাড়ের ঘোষণা অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের

আসছে লোকসভা ভোট – তার আগেই ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের জন্য বিরাট ছাড়ের ঘোষণা অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের


লোকসভা ভোটকে টার্গেট করেই ক্ষুদ্র এবং মাঝারি ব্যবসায়ীদের মন পেতে বড়সড় ঘোষণা রাজ্যসরকারের। চলতি বিধানসভার অধিবেশনে দি ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্যাক্সশন ল’স সংশোধনী এনে ছোট-মাঝারি ব্যবসায়ীদের সুবিধার জন্যে বকেয়া করে ব্যাপক মাত্রায় ছাড়ের কথা ঘোষণা করলেন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র।

জানালেন,২০১৭ সালের ৩০ জুন অর্থাৎ জিএসটি চালুর আগে যেসব ব্যবসায়ীর ভ্যাট,সেন্ট্রাল সেলস ট্যাক্স,এন্ট্রি ট্যাক্স সহ অন্যান্য কর বকেয়া রয়েছে তাঁদের ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এবং আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে এই কর দিয়ে দেওয়া হলে ব্যাপক হারে করের ক্ষেত্রে ছাড় পাবেন ব্যবসায়ীরা। মোট করের মাত্র ৩৫% দিতে হবে ব্যবসায়ীদের।

শুধু তাই নয়,তাঁরা যদি তিন কিস্তিতে বকেয়া করের টাকা মেটাতে চান,সেই সু্যোগও দেওয়া হবে তাঁদের। তবে সেক্ষেত্রে তাঁদের মোট বকেয়া করের ৪০% দিতে হবে। আর যার বিরুদ্ধে পেনাল্টি বা জরিমানা রয়েছে তাকে দিতে হবে জরিমানার পরিমানের ৫০%। অন্যদিকে,এই সংক্রান্ত ব্যাপারে আদালতে মামলা রয়েছে যাদের তারাও তাদের আইনি জটিলতা কাটাতে এই কম্পোজিশন স্কিমের সুযোগ নিতে পারেন। এই নিয়ম লাগু হওয়ার ফলে সুবিধা পেতে চলেছেন প্রায় ২৫ হাজার ব্যবসায়ী।

কেন্দ্রীয় সরকারের এই জিএসটি চালু করার বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবু কেন্দ্র সরকার সাধারণ মানুষের অসুবিধার কথা চিন্তা করে তড়িঘড়ি করে জিএসটি চালু করে ফেললেন। উল্লেখ্য,গত বছর ১ জুলাই জিএসসি চালু করে মোদী সরকার। তার আগে কর দেওয়ার যে কাঠামো ছিল তার জন্যেই এই নিয়ম চালু হল।

অমিত বাবু জানালেন, এখন জিএসটি ফেরত দেওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা হয়ে গিয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে ঠিক করা হয়েছিল,৫ লক্ষ টাকা টার্নওভার রয়েছে যাঁদের,তাঁদেরই জিএসটির আওতায় আনা হবে। তবে রাজ্যসরকার সেটা বাড়িয়ে ২০ লক্ষ পর্যন্ত করেছে। ফলত যাঁদের টার্নওভার ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত তাঁদের জিএসটি দিতে হবে বলেও জানালেন তিনি।

বর্তমান রাজ্যসরকার ১৮৪ টি পন্য করের পরিমান ১৮%-এ নামিয়ে এনেছে। এতে ছোট-মাঝারি ব্যবসায়ীরা উপকৃত হয়েছে। তুলনায় টানলেন বিজেপি শাসিত রাজ্য গুজরাতে। সেখানের একটি বনিকসভা জানিয়েছে,গুজরাতের ৪০% ছোট ব্যবসাই বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তবে পশ্চিমবঙ্গে এরকম পরিস্থিতি কখনো তৈরি হবে না তৃনমূল সরকারের আমলে,এমনটাই দাবীতে জানালেন অর্থমন্ত্রী।

এই প্রস্তাবিত বিলের ভূয়সী প্রশংসা করলেন তৃণমূলের দুই বিধায়ক, জ্যোতির্ময় কর ও শীলভদ্র দত্ত। তবে বিরোধীরা তাৎপর্যপূর্ণভাবে এদিনের বিল সংক্রান্ত আলোচনায় অংশ নেননি। রাজ্যসরকারের নয়া বিল নিয়ে আপত্তিও ওঠে নি তাঁদের তরফ থেকে। অর্থমন্ত্রী আরো জানান,রাজ্যসরকার আগেও এন্ট্রি ট্যাক্সের ক্ষেত্রে ছাড় দিয়েছে।

২০১৬ সালেই এন্ট্রি ট্যাক্সের উপর ওয়েভার স্কিম চালু করেছিলেন অর্থমন্ত্রী। এর ফলে সুবিধা ভোগ করেছেন ব্যবসায়ীদের একাংশ। লাভের পরিমান ছিল ১২০০ কোটি। তবে যারা সেই সুবিধা পাননি,তাদের মনে অসন্তোষ ছিল। সেই অসন্তোষকে এড়াতেই এদিন ছাড়ের ব্যবস্থা করা হল। সেইসঙ্গে জিএসটি সংক্রান্ত শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবীও জানান অর্থমন্ত্রী। এবার কম্পোজিশন স্কিমেও ট্যাক্স বাড়বে বলে মনে করেছেন অমিত মিত্র।

 

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

রাজ্যসরকারের এই উদ্যোগে মুখে খুশির হাসি ফুটল ছোট-মাঝারি ব্যবসায়ীদের। মুখ্যমন্ত্রী বরাবরই ক্ষুদ্র এবং মাঝারি ব্যবসায়ীদের ব্যবসায় বিনিয়োগের উৎসাহ দিয়েছেন। এর জেরে আজ উন্নয়নের ছবি স্পষ্ট এই শিল্পে। দিন দিন ক্ষুদ্র-মাঝারি শিল্পের বিকাশ হচ্ছে রাজ্যে। কর্মসংস্থানের দরজা খুলছে। তারউপর এদিন কর দেওয়ার ক্ষেত্রে এইসব ব্যবসায়ীদের বিরাট ছাড়ে কথা ঘোষণা করে এঁদের আরো খুশি করে দিলেন রাজ্যসরকার। আসন্ন লোকসভা ভোটে রাজ্যের ব্যবসায়ী ভোটব্যাঙ্কগুলো দখলে রাখতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কৌশল এটা,এমনটাই মনে করছে অভিজ্ঞমহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!