লোকসভার আগেই চিটফান্ড নিয়ে দুর্নীতি বন্ধে আরও কড়া পদক্ষেপের পথে কেন্দ্র সরকার – জানুন বিস্তারিত কলকাতা জাতীয় রাজ্য February 8, 2019 লোকসভা নির্বাচনের দিন যত এগিয়ে আসছে, ততই চিটফান্ড কাণ্ডে দুর্নীতি নিয়ে রাজ্যকে চেপে ধরছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার এমনটাই অভিযোগ শাসকদলের। তবে শুধু এবার আর মুখের কথায় নয়, সূত্রের খবর, চাপ বাড়িয়ে সংসদের চলতি অধিবেশনেই এই ব্যাপারে সংশোধনী বিল আনার জন্য চিন্তাভাবনা শুরু করেছে কেন্দ্রের মোদী সরকার। আর হঠাৎই লোকসভা নির্বাচনের আগে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে এই চিটফান্ড কেলেঙ্কারি বন্ধ করতে কঠোর আইন আনার ব্যাপারে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে টার্গেট করার জন্যই কেন্দ্রের এহেন পদক্ষেপ এমনটাই অভিযোগ ঘাসফুল শিবিরের। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বর্তমানে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই এবং ইডি 166 টি চিটফান্ড কেলেঙ্কারির অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে। আর এই অভিযোগের নিরিখে একদম প্রথম সারিতে রয়েছে বাংলা এবং তারপরেই রয়েছে ওড়িশা। ফলে সেই দিক থেকে লোকসভা নির্বাচনের আগে এই বিজেপি বিরোধী রাজ্যগুলির ওপর অ্যাটাক করতেই কেন্দ্রের এহেন আইন বলে মনে করছে বিজেপি বিরোধী শিবির। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - জানা গেছে, নতুন এই আইন “ব্যানিং অফ আনরেগুলেটেড ডিপোজিট স্কিম অ্যামেন্ডমেন্ট বিল 2018” তে স্পষ্ট ভাষায় বলা হয়েছে যে সেবির কাছে যে সমস্ত সংস্থা নথিভুক্ত রয়েছে তার বাইরে কোনো আর্থিক সংস্থা টাকা তুললে তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে গ্রেফতার করতে হবে। এমনকি এই আইনে এই ব্যাপারে রাজ্য সরকারকেও কড়া নজর রাখার বিধান দেওয়া হয়েছে। এদিন এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর এক সাংবাদিক বৈঠক করে কেন্দ্রের আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, “দেশে বহু ক্ষুদ্র অর্থলগ্নি সংস্থা রয়েছে যারা সরকারের নিয়ম মেনে নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে কাজ করছেন। তবে এইসব সংস্থাও যাতে সরকারের নজর থাকে এবং এই সংস্থার বাইরে যাতে অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান বিজ্ঞাপন দিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা নিতে না পারে তার জন্য এবার কড়া নজর রাখা হবে। এমনকি এর পেছনে যদি কোনো সেলিব্রিটি সেই প্রতিষ্ঠানের ব্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হন তাহলে তাঁর বিরুদ্ধেও এফআইআর করা হবে। প্রয়োজন হলে সেই সংস্থার সমস্ত সম্পত্তি বিক্রি করে আমানতকারীদের টাকা ফেরত দেওয়া হবে। আর এই ব্যাপারে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে নতুন আইন খুব তাড়াতাড়ি সংসদে আনা হবে।” সব মিলিয়ে এবার লোকসভা নির্বাচনের আগে আর্থিক কেলেঙ্কারি রুখতে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে নতুন আইন আনার ঘটনা নিয়ে তীব্র জল্পনা ছড়িয়ে পড়ছে বঙ্গ তথা জাতীয় রাজনীতিতে। আপনার মতামত জানান -