লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি-বিরোধী মহাজোট গড়তে আরও তৎপর কংগ্রেস, তৃণমূল-কংগ্রেস জোট নিয়ে জল্পনা জাতীয় রাজ্য December 22, 2018 প্রথম থেকেই দেশের আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে ঠেকাতে তৈরি হয়েছিল বিরোধী মহাজোট। যেখানে কংগ্রেস সহ অন্যান্য অবিজেপি দলগুলি এক জোট বেঁধেছিল। কিন্তু বিভিন্ন রাজ্যে সেই অকংগ্রেসি এবং অবিজেপির মত নানা রাজনৈতিক দল থাকায় তৈরি হয়েছিল নানা সমস্যা। যেমন,বাংলা। বঙ্গ রাজনীতিতে বর্তমানে শাসকের ক্ষমতায় আছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর যার বিরোধী দল হিসেবে রয়েছে কংগ্রেস। ফলে এখানকার কংগ্রেস নেতাদের অনেকেই তৃণমূলের সাথে জোট বেঁধে লড়তে চাইছেন না। যার জেরে তৈরি হয়েছে প্রবল সমস্যা। কিন্তু এই ভাবে যদি চলতে থাকে তাহলে জাতীয় রাজনীতিতে বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যুত করা মুশকিল জেনেই এবার সেই সমস্ত বিজেপি বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে নিজেদের যোগাযোগের পথ মসৃণ করতে রনকৌশল তৈরি করছে কংগ্রেস। জানা গেছে, তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে এবার পাকাপাকিভাবে পাশে পেতে চাইছেন কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি রাহুল গান্ধী। এই বিরোধী মহাজোটে অংশগ্রহণ করার ব্যাপারে যদি মমতা এবং কেজরিওয়াল সমর্থন জানায় তাহলে তারা সেই তৃণমূল এবং আপ প্রভাবিত রাজ্যগুলিতে আসন সমঝোতার ব্যাপারে দুই দলের সঙ্গেই কথা বলবে কংগ্রেস বলে জানা গেছে। কেননা কংগ্রেসের রাহুল গান্ধীর এখন প্রথম এবং প্রধান লক্ষ্যই হল, 2019 এ কেন্দ্রের মসনদ থেকে বিজেপিকে সরিয়ে নিজেরা ক্ষমতায় বসা। ইতিমধ্যেই উপেন্দ্র কুশওয়াহাকে নিজেদের কাছে পেয়ে গেছে কংগ্রেস। গত বৃহস্পতিবার কুশওয়াহ ইউপিএ জোটে যোগ দেওয়ায় এখন সেই ইউপিএর বর্তমান শরিক দলের সংখ্যা 22। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - অন্যদিকে বিজেপি ঘনিষ্ঠ হলেও যে সমস্ত এনডিএ জোট শরিকের নেতারা নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহ বিরোধী তাদেরও নিজেদের কাছে টানতে উদ্যোগী হয়েছেন রাহুল গান্ধী। আর তাইতো রামবিলাস পাসোয়ান সহ অন্যান্য নেতাদের সঙ্গেও এই ব্যাপারে আলোচনা শুরু করে দিয়েছে হাত শিবির। অন্যদিকে মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, অন্ধ্র প্রদেশ, কর্ণাটক, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাট, রাজস্থান, হরিয়ানা, পাঞ্জাব, ছত্রিশগড়, উত্তরাখান্ড, হিমাচল প্রদেশ সহ বিভিন্ন রাজ্যের আঞ্চলিক দলগুলোর সঙ্গেও যাতে বোঝাপড়া করা যায় সেই ব্যাপারেও আলোচনা শুরু হয়েছে। জানা গেছে, মহারাষ্ট্রের 48 টি লোকসভা আসনের মধ্যে কংগ্রেস এবং এনসিপি 20-20 আসন ভাগাভাগি করে লড়বে। আর বাকি 8 টি আসন ছেড়ে দেওয়া হবে রাজু শেট্টির স্বাভিমানী পক্ষ, ভারত বাহিনী পার্টি এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলকে। এদিকে গুজরাট ও লাক্ষাদ্বীপেও কংগ্রেস- এনসিপি জোট করেই লড়বে বলে খবর। পাশাপাশি তামিলনাড়ুতে কংগ্রেসের সঙ্গে ডিএমকের জোটে সিপিআই এবং সিপিএমকেও শামিল করা হবে। আর কর্নাটকে কংগ্রেস-জেডিএস এবং অন্ধ্রে কংগ্রেসের সঙ্গে চন্দ্রবাবুর জোট হওয়ার কথা রয়েছে। তবে উত্তরপ্রদেশে ঠিক কি হবে? দলীয় সূত্রের খবর, সমাজবাদী পার্টি এবং বহু জন সমাজবাদী পার্টির কেউই যদি কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করতে অনিচ্ছা প্রকাশ করে, তাহলে বিকল্প ঠিক কাকে সেই জোটে রাখা যায় এখন সেই ব্যাপারে অনুসন্ধান চালাচ্ছে হাত শিবির। সব মিলিয়ে এখন আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের বৈতরণী পার হতে যে সব রাজ্যে আঞ্চলিক দলগুলো রয়েছে এখন তাদের মান ভাঙিয়ে তাদেরকেও নিজেদের সাথে হাতে হাত রেখে চলানোর চেষ্টায় মরিয়া কংগ্রেস। আপনার মতামত জানান -