এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া > লোকসভা নির্বাচনের আগে হেভিওয়েট সাংসদকে কড়া বার্তা তৃণমূল নেত্রীর – বাড়ছে জল্পনা

লোকসভা নির্বাচনের আগে হেভিওয়েট সাংসদকে কড়া বার্তা তৃণমূল নেত্রীর – বাড়ছে জল্পনা

রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর জঙ্গলমহলের উন্নয়নের জন্য নানা রকমের নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।কিন্তু এত কিছু সত্ত্বেও গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে জঙ্গলমহলে যথেষ্ট দাপট বেড়েছে বিজেপির।কিন্তু এ দিন বিজেপি-কে মনে করিয়ে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন তৃণমূলের কোন নেতার পুড়ে জঙ্গলমহল পাশে থাকতে পারে কিন্তু দল বা সরকারের উপর তার কোন প্রভাব নেই।। একইসঙ্গে বার্তা দিলেন, বেআইনি খাদান, সরকারি প্রকল্পের বাড়িতে কমিশন চলবে না।

প্রসঙ্গত ,পঞ্চায়েত ভোটের পর নেত্রীর রোষের মুখে পড়ে জঙ্গলমহলে পদ গেছে একাধিক তৃণমূল নেতার। এদিন ঝাড়গ্রামের সভায় আদিবাসীদের ক্ষোভ দূর করার চেষ্টা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কারও কারও উপরে ব্যক্তিগত রাগ থাকতে পারে। এর সঙ্গে দল বা সরকারের কোনও যোগ নেই। অন্যায় করলে ঈশ্বর, আল্লাহ তাঁকে শাস্তি দেবে। আমি বিডিও থেকে শুরু স্থানীয় নেতা সবাইকে বলব, মানুষের সঙ্গে ভাল ব্যবহার করুন। যেটা করার সেটা করে দিন। কারও রেশন কার্ড রাখবেন না। কোনও পঞ্চায়েতের অফিসারের কাছেও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থাকবে না পেনশনপ্রাপকের।”

সভা ও বৈঠকে বারবার জঙ্গলমহল বাসীকে সতর্ক করে বলে মমতা বলেন, ”বালিখাদান নিয়ে কোনো দাদার কথা শুনবেন না। এরা এসব ব্যক্তিগতভাবে করে। সরকারের কোন প্রকল্পের জন্য কেউ যেন কোন কমিশন না নেয়। কমিশন নিয়ে বাড়ি না দেওয়া হয় বাংলা আবাস প্রকল্পে”। এর পাশাপাশি রেশন দোকানদারদের হুঁশিয়ারি দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, গণবন্টনে সাধারণ মানুষকে ঠকালে রেশন দোকানদারদের লাইসেন্স কেড়ে নেওয়া হবে।

জঙ্গলমহলে দুই বিশিষ্ট তৃণমূল নেতৃত্ব সুকুমার হাঁসদা ও উমা সরেনকে জনসংযোগ বাড়ানোর নির্দেশ দেন মমতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রয়োজনে দরজায় দরজায় প্রচারে যাওয়ার নির্দেশও দেন। উমা সোরেনকে মমতা বলেন, ”আপনার জন্য সব রেঁধে দেব নাকি!”

এদিন জঙ্গলমহলের সভা থেকে মুখ মন্ত্রী আরও একবার দাবি তোলেন জঙ্গলমহলে অনাহারে কেউ মারা যায়নি বলে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, লালগড়ে সাম্প্রতিককালে সাত জন শবরের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। অনাহার ও অপুষ্টির কারণেই তাঁদের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয় বিরোধী দলগুলির তরফ থেকে। যদিও গত মঙ্গলবারই বিধানসভায় সেই অভিযোগ উড়িয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান,” আদিবাসীদের জীবনযাপনের ধরনের কারণেই মৃত্যু হয়েছে শবরদের। ”

বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, “জঙ্গলমহলে দুটাকা কিলো দরে চাল পৌঁছে দেওয়া হয়। শবরদের কাছে রেশন কার্ড ছিল। পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে অতিরিক্ত মদ্যপানে। দুজন মারা গিয়েছেন বার্ধক্যজনিত কারণে।” সোমবার ঝাড়গ্রামে গিয়ে আরও একবার মুখ্যমন্ত্রী সে কথা স্পষ্ট করে দিলেন।

 

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

 

তাঁর কথায়,”একশো শতাংশ মানুষ ২ টাকা কিলোর চাল পায়। মাসে মাথাপিছু ৮ কেজি চাল ও ৩ কেজি গম দেওয়া ব্যবস্থা করেছে সরকার। পরিবারে পাঁচজন সদস্য থাকলে ৫৫ কেজি চাল-গম পান। তারপরও কেউ যদি বলে বেচারা ভাত খেতে পাইনি, এটা বিশ্বাস করি না। মুখ্যমন্ত্রীর আরও সংযোজন, ”শুনেছি, এত চাল লাগে না। অনেকে এটা বেচে দেয়। পেট ভরে ভাত খান। মনে রাখবেন মাথার উপরে আশ্রয়, খাদ্য, বিনা পয়সায় চিকিত্সা, শিক্ষা, আর কি চান! সারা ভারতে দেখান, এত সামাজিক কাজ কোনও সরকার করতে পেরেছে কিনা!”।

যদিও সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী সম্প্রতি লালগড়ের পূর্ণাপূর্নি গ্রামে শবরদের মৃত্যুর কারণ অপুষ্টি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!