যোগ-দিবসেই ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের অনেক অঙ্ক,অনেক সমীকরণ স্পষ্ট হয়ে গেলো জাতীয় রাজ্য June 23, 2018 চতুর্থ আন্তর্জাতিক যোগ দিবস পালিত হল গোটা দেশজুড়ে। দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও দেখা গেলো হিমালয়ের উপতক্যায় দেহরাদুনে যোগ ব্যায়মের আসরে। আসর থেকে ফিরে চল্লিশটির ও বেশি ট্যুইট করে ফেলেছেন ইতিমধ্যে তিনি। সঙ্গে দিয়েছেন দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ভাষায় পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে থাকা যোগাভ্যাসের ছবি। এদিন অন্যান্য পদ্মনেতৃত্বদের মধ্যেও হিড়িক ছিল যোগব্যায়ম প্রদর্শনের। কেন্দ্রের ৬০ জন মন্ত্রীকে যোগব্যায়াম করতে দেখা গেলো। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংকে এদিন দেখা গেলো ধুতি ছেড়ে প্যান্ট টিশার্ট পড়ে লখনউতে প্রকাশ্য আসরে যোগব্যায়ম করতে। যোগীজিও জনসমক্ষে এলেন গেরুয়া প্যান্ট-টিশার্ট অবতারে। যোগীজি তো রাজনাথ সিংকে একরকম চিনতেই পারেননি বলে মশকরা করলেন। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে তবে প্রকাশ্য কোনো যোগব্যায়াম আসরে দেখা গেলো না বিজেপি শরিক নেতা নীতীশ কুমার। তিনি কেন যোগদিবসের দিন সামনে এলেন না এ কথা নিয়ে প্রশ্ন উঠলে উপমুখ্যমন্ত্রী পাল্টা জবাবে জানান যে নীতিশজি বাড়িতেই যোগাসন করেন। সকলেরই যে সামনে এসে যোগাসন করতে হবে এর কোনো মানে নেই। তবে বিজেপি শিবিরকে আস্বস্ত হল রামবিলাস পাসোয়ানকে দেখে। তিনি মোদীজির যোগদিবসে হাজিপুরের যোগপ্রদর্শনীতে জনসমক্ষে এসে ব্যায়ম করে দেখালেন। বুঝিয়ে দিলেন একরকম আগামী লোকসভা ভোটে পদ্মশিবিরেরই পাশে থাকবেন তিনি। এছাড়া রামবিলাসজির সঙ্গে ছিলেন আরেল শরিক নেতা উপেন্দ্র কুশওয়াহাকে। অন্যদিকে, সদ্য, বিজেপির শরিক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়া ৮৫ বছরের বর্ষীয়ান নেতা তথা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেবেগৌড়া নিজের বাড়িতেই সংবাদমাধ্যমের সামনে যোগব্যায়ম করে দেখালেন এদিন। মোদীজিকে একরম বুঝিয়ে দিলেন যে তিনিও পারেন। তবে বিজেপি বিরোধী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বঙ্গের মাটিতে দেখা মিলল না আন্তর্জাতিক যোগ দিবস উপলক্ষে কোনো সরকারি অনুষ্ঠানের। আগের বছরগুলোর মতো একই রকম আবহ দেখা গেলো বাংলায়। এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে উল্লেখ্য,দিনভর যোগদিবস পালন নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়ায় দেখা মিলল বিভিন্ন রাজনৈতিকমহল থেকে। কেন্দ্রর পদ্মনেতৃত্বদের বুঝতে আর বাকি রইল না যে লোকসভা ভোটে বিরোধীদের সঙ্গে লড়াইটা নেহাত সহজ হবে না। আগামী দিনে বিহারে বিজেপির সঙ্গে আসন বন্টন নিয়ে ঝামেলা বাধার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে শরিক নেতা নীতিশ কুমারের। লোকসভা ভোটের আগে বিজেপির হাত ছাঁড়বেন হয়তো এমনটাই আভাস দিলেন তিনি যোগদিবসের আসরে না এসে। এ ব্যাপারে কংগ্রেস নেতা প্রমোদ তিওয়ারি কটাক্ষের সুর টেনে বললেন যে,” বিজেপি চাইছিল কংগ্রেস মুক্ত দেশ গড়তে। কিন্তু জোট শরিকই তাঁদের সঙ্গে যোগ ছিন্ন করে নিজেরাই মুক্ত হচ্ছ!” ইতিমধ্যেই শরিক নেতা ওম প্রকাশ রাজভরের দলের এক বিধায়ককে মিডিয়ার সামনে ‘চোর’ বলে কটাক্ষ করে গন্ডোগোল পাকিয়েছেন উওরপ্রদেশর বিজেপি সভাপতি মহেন্দ্র নাথ পান্ডে। এ ব্যাপারে ক্ষুব্ধ হয়ে ওমপ্রকাশজি এদিন দেখাও করে এসেছিলেন সপা-র শিবপাল যাদবের সঙ্গে। বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করাও হুমকি দিয়ে এসেছেন তিনি। ওদিকে দিল্লিতে আবার অখিলেশ যাদব বলে এসেছেন যে দেশের ক্ষমতা কেন্দ্র থেকে বিজেপিকে হটাতে যা যা করতে হয়, সবই করবেন তিনি। এ নিয়ে তাঁর কথা হয়েছে কংগ্রেস সুপ্রিমো রাহুল গান্ধীর সঙ্গেও। আপাতত জোট শরিকেদের অসন্তোষ রাতের ঘুম কাড়ছে কেন্দ্রীয় পদ্মশিবির কর্তাদের। এ নিয়ে জাতীয় রাজনীতির অন্দরে চলছে তীব্র চাপানউতোর। আপনার মতামত জানান -