এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > লোকসভা ভোটে পরাজয়ের কারণ কি? খুঁজে নিয়ে মেকআপের চেষ্টা পিকের,আশায় নেতা-কর্মীরা

লোকসভা ভোটে পরাজয়ের কারণ কি? খুঁজে নিয়ে মেকআপের চেষ্টা পিকের,আশায় নেতা-কর্মীরা

কন্যাশ্রী, রুপশ্রী, সবুজসাথী, খাদ্যসাথী, কিষান মান্ডি, সমব্যথী ইত্যাদি নানান রকম পরিষেবা থাকা সত্বেও এবারের লোকসভা নির্বাচনে আশা মোতাবেক ফল করতে পারেনি পশ্চিমবাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। শুধু তাই নয়, রাজ্যের রাজনীতিতে অভূতপূর্ব উত্থান ঘটেছে ভারতীয় জনতা পার্টির।

ভোটের আগে যখন তৃণমূলের অনেক নেতারা দাবি করছিলেন, বিজেপি দুই থেকে তিন হবে না, সেইখানে 18 টি আসন পেয়ে বাংলার রাজনীতির সমীকরণকে একেবারে পাল্টে দিয়েছে নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ নেতৃত্বাধীন ভারতীয় জনতা পার্টি। আর এর পরেই হারের কারণ অন্বেষণ করতে মাঠে নেমে পড়ে তৃণমূল কংগ্রেস।

প্রথমত, নিজেরা চেষ্টা করলেও পরবর্তীতে সময়ের প্রয়োজন বুঝে এই কাজের গুরুদায়িত্বভার তুলে দেওয়া হয় 2014 সালের নরেন্দ্র মোদির প্রচারের রুপরেখাকার ভোটগুরু প্রশান্ত কিশোরের হাতে। আর তারপরই তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশক্রমে বাংলায় তৃণমূলের কমতে থাকা জনপ্রিয়তার কারণ অন্বেষণ করতে সদলবলে মাঠে নেমে পড়েন তৃনমূলের নেতা, জনপ্রতিনিধিরা।

প্রবাদপ্রতিম নির্বাচন নীতিনির্ধারক প্রশান্ত কিশোর রাজনীতির আঙিনায় সবার কাছে চর্চার বিষয়। এখন প্রশান্ত কিশোরের মস্তিষ্কপ্রসূত তৃণমূল কংগ্রেসের দিদিকে বলো কর্মসূচি, যার মাধ্যমে জনপ্রতিনিধিদেরকে একেবারে মানুষের ঘরের আঙ্গিনায় পৌঁছে দিয়ে তৃণমূল স্তর থেকে তাদের অভাব অভিযোগ আশা-প্রত্যাশা ইত্যাদির কথা জেনে নিতে চাইছে রাজ্যের শাসক দল, আর এইসব কিছুর নেপথ্যে পরিচালনা করছে প্রশান্ত কিশোর।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এই কর্মসূচি অনুযায়ী সম্প্রতি বালুরঘাটে ঘাঁটি গেড়েছে পিকে টিম। তাই নেতা থেকে মন্ত্রী, কার্যকর্তা থেকে সমর্থক, সবার মধ্যেই অতিরিক্ত সজাগ ও কর্মচঞ্চলতা লক্ষ করা যাচ্ছে। উল্লেখ্য, বালুরঘাট লোকসভা নির্বাচনে জেতার ব্যপারে বিশেষভাবে আশাবাদী ছিল তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এবারের নির্বাচনে বালুরঘাট, তপন, গঙ্গারামপুর ইত্যাদি বিধানসভায় মাত্রাতিরিক্ত ভোটে পিছিয়ে পড়ে হারের মুখ দেখতে হয় রাজ্যের শাসক দলকে।

যার কারণে সেই হারের নেপথ্যে থাকা আসল কারণ আবিষ্কার করতে একেবারে জনসাধারণের দরবারে গিয়ে ছদ্মবেশে তাদের সঙ্গে কথা বলতে শোনা যাচ্ছে পিকে টিমের সদস্যদের। আর এই কথা চাউর হতেই দিদিকে বলো কর্মসূচিতে একটু পিছিয়ে থাকা বালুরঘাট বিধানসভার নেতা-কর্মীরা একেবারে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় মাঠে নেমে পড়েছেন। প্রাক্তন বিধায়ক তথা প্রাক্তন মন্ত্রী শংকর চক্রবর্তী থেকে শুরু করে প্রতিমন্ত্রী বাচ্চু হাসদা কেউই পিছিয়ে নেই এই কর্মসূচি পালনে। পিকের নাম শুনতে একেবারে ঝড়ের গতিতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে তৃণমূল নেতৃত্ব।

দলীয় কর্মীর বাড়িতে নেতারা রাত কাটাচ্ছে কিনা, তাদের অভাব-অভিযোগ শুনছে কিনা, এই বিষয়ে খোঁজ খবর রাখবে। তাদের আশেপাশেই পিকের টিম সব সময় রয়েছে। যারা সেই কর্মসূচি ত্রুটি-বিচ্যুতি সরাসরি জানিয়ে দিচ্ছে প্রশান্ত কিশোরকে, আর প্রশান্ত বাবুর নখদর্পণে হয়ে যাচ্ছে প্রত্যেকটি নেতার কর্মকাণ্ড, তিনি গোটা ব্যাপারে সরেজমিনে তদন্ত করে সেই রিপোর্ট তুলে দেবেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে। তাই নিজেদের এক ফোঁটা ত্রুটি যেন দলনেত্রীর কানে না পৌঁছয়, সেই বিষয়ে বিশেষ লক্ষ্য রাখছেন জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে নেতারা।

মোদ্দাকথা পিকে টিম নিজের মতো করে কাজ করছে এবং দলের জনসংযোগ বৃদ্ধির দিকে নজর রাখছে বালুরঘাটে। এই টিমের আগমন সম্পর্কে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা সভাপতি অর্পিতা ঘোষ বলেন, “নেতারা খাটছেন। কোথাও কোন ফাঁকিবাজি নেই। গাফিলতি নেই। পিকে তার মত করে আলাদা অভিযান চালাচ্ছে কিনা, তা আমাদের জানা নেই। আমরা আমাদের মতো করে কাজ করছি।” সবকিছু মিলিয়ে বলা যায় পিকের আগমনে এখন দক্ষিণ দিনাজপুরের মাটিতে নিজেদের যুক্তি এবং জনসংযোগ দ্বিগুণ গতিতে বাড়াতে চাইছে ঘাসফুল শিবিরের নেতারা বলে মত রাজনৈতিক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!