লোকসভা ভোটে কংগ্রেসকে টেক্কা দিতে এবার বড়সড় ঘোষণা মোদির জাতীয় December 19, 2018 কথায় আছে “ঠেলায় না পড়লে বেড়াল গাছে ওঠে না।” তাইতো এবার মধ্যপ্রদেশ ও ছত্রিশগড়ে কংগ্রেস সরকারের পক্ষ থেকে কৃষকদের কৃষিঋণ মুকুবের ঘোষণার পরই সাধারণ মানুষের মন কাড়তে পাল্টা পথে নামল বিজেপিও। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি রাহুল গান্ধী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে ক্ষমতায় এলে সেখানে দশ দিনের মধ্যে কৃষকদের কৃষিঋণ মুকুব করা হবে। আর সেইমত মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিশগড়ে ক্ষমতায় আসার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই কৃষকদের কৃষিঋণ মুকুব করেছে কংগ্রেস সরকার। অন্যদিকে রাজস্থানেও এই কৃষিঋণ মুকুব করা হবে বলে জানিয়েছেন সেখানকার কংগ্রেসি মুখ্যমন্ত্রী। আর ক্ষমতায় আসার পরই চটজলদি কংগ্রেসের এহেন ঘোষণায় প্রবল বিপাকে পড়ে কেন্দ্রের মোদি সরকার। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে দাবি করা হয় যে, শপথ নেওয়ার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই কংগ্রেস এই রাজ্যগুলির কৃষকদের কৃষি ঋণ মুকুব করলেও কেন এতদিন সারা দেশের কৃষকদের কৃষি ঋণ মুকুব করতে ব্যর্থ হলো কেন্দ্রের বিজেপি সরকার!” যা নিয়ে প্রবল চাপে পড়ে বিজেপি। কিন্তু সামনেই তো লোকসভা নির্বাচন। তাই কংগ্রেসের এহেন শাসক-বিরোধী প্রচার যেন তাদের পালে হাওয়া লাগাতে না পারে সেজন্য এবার জনমোহিনী ভূমিকায় অবতীর্ণ হল অসম ও গুজরাটের বিজেপি সরকার। সূত্রের খবর, গতকাল গুজরাটের শক্তি বিষয়ক মন্ত্রী সৌরভ প্যাটেল বলেন, “বিদ্যুৎ চুরি বা বিলনা মেটানোয় গ্রামীণ এলাকার অনেক বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আর সরকারের এই সিদ্ধান্তে উপকৃত হবেন 6.22 লক্ষ মানুষ।” জানা গেছে, এর ফলে অনেকেই এই গুজরাটের বিদ্যুৎ বিলে মোটা টাকার ছাড় পাবেন। তবে সেক্ষেত্রেও রয়েছে সীমাবদ্ধতা। এদিকে গুজরাটের পাশাপাশি অসমের বিজেপি সরকারের পক্ষ থেকে এদিন কৃষি ঋণ মুকুবের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, কংগ্রেসের মধ্যপ্রদেশে ও ছত্রিশগড়ের পর এই প্রথম বিজেপি শাসিত রাজ্য অসমের কৃষিঋণ মুকুব করা হল। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের ধারণা, কংগ্রেসকে টেক্কা দিতেই বিজেপি শাসিত দুই রাজ্যের পক্ষ থেকে এহেন জনমোহিনী সুবিধার কথা ঘোষণা করা হল। তবে এতে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি নিজেদের ভোটব্যাঙ্ক অটুট রাখতে পারে কিনা এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে। আপনার মতামত জানান -