লোকসভা ভোটের আগে মোদী-শাহের চিন্তা বাড়িয়ে একে একে বিদায় নিচ্ছেন শীর্ষ আমলারা জাতীয় June 22, 2018 ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে রীতিমতো ঘাম ছুটছে জাতীয় গেরুয়া শিবির আধিকারিকদের। আর তাঁদের রক্তচাপ বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিচ্ছেন খোদ কেন্দ্রের শীর্ষ আমলারা। মোদীজি দেশের ক্ষমতার কুর্সিতে বসলে যারা একে একে জাতীয় অর্থনীতির হাল ধরেছিলেন তাঁরাই কালে কালে বিদায় জানিয়েছেন পদ্মশিবিরকে। এদের ভিতর রয়েছেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজন, অরবিন্দ পানগড়িয়া। এবার এঁদের দলেই টিকিট কাটতে দেখা গেলো মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা অরবিন্দ সুব্রাহ্মণ্যনকে। সুব্রাহ্মণ্যনের হঠাৎ দায়িত্ব থেকে হটার সিদ্ধান্তে মন্তব্য করতে দেখা গেলো নীতি আয়োগেরই এক কর্তাকে। জানালেন, ঠিক লোকসভা ভোটের আগে আগেই বিদায় নিচ্ছেন সুব্রহ্মণ্যন। অথচ এই সময়েই জনমোহিনী নীতির রদবদল করে নতুন আর্থিক নীতি দরকার। কারণ সংস্কার, বৃদ্ধির হারের গতি খুব খারাপ না হলেও, অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। চাকরি হচ্ছে না বহু সংখ্যায়। বিশেষ করে এই মুহূর্তে ভালো মাইনের চাকরির বেশ অভাব। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে অন্যদিকে, এ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রকের অন্য একজনে পাল্টা যুক্তিতে জানিয়েছেন, সুব্রাহ্মণ নাকি আগে থেকেই বুঝেছিলেন যে নতুন লগ্নি না আসার কারণেই ব্যাঙ্ক এবং কর্পোরেট সংস্থার এরকম হালত খারাপ হয়েছে। এই অভাব মেটানোর সঠিক পথও বাতলে দিয়েছিলেন তিনি। এতোদিন সে পথেই হেঁটেছে কেন্দ্র। সহজ ভাষায় অর্থমন্ত্রকের সব সমস্যা সমাধান করতে পারতেন বলেই সুব্রহ্মণ্যনের তৈরি ‘আর্থিক সমীক্ষা’ এখন বিভিন্ন বিশ্ব বিদ্যালয়ের পাঠ্যপুস্তক। বক্তব্যে চিদম্বরমও জানিয়েছেন যে নোট বন্দির বিষয়টা আগে থেকে সুব্রাহ্মণ্যনের সঙ্গো আলোচনা করা হয়নি। রাজস্ব আয় এক রেখে জিএসটির হার কত হওয়া উচিৎ তা নিয়ে সঠিক খতিয়ান দিয়েছিলেন সুব্রহ্মণ্যন। সেই রিপোর্ট চালাকি করে সরিয়ে ফেলেছে কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্বরা। এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে ওদিকে জাতীয় হাটপার্টির নেতৃত্বরা আবার অভিযোগে জানিয়েছে যে রাজন থেকে পানাগড়িয়া কেউই সরকারের নোটবন্দি,জিএসটি সংক্রান্ত বিজেপির সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট ছিলেন না। তাই এঁদের হটিয়ে দিয়ে বিজেপি এখন তাঁদের সঠিক অনুগতদেরই খুঁজছে। কিন্তু কোথায় তাঁদের যোগ্য লোক মিলছে না বলেই এ বছরের গোড়া থেকেই (ফেব্রুয়ারী) মুখ্য পরিসংখ্যানবিদদের পদটি শূন্য অবস্থায় রয়েছে। উল্লেখ্য,রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ দাবী করেছে যে, পদ্মশিবির কখনোই কংগ্রেসের মতো দুঁদে অর্থমন্ত্রীর হদিশ পায়নি। যার ফলে অর্থনীতির ঝড়ঝাপ্টা সামলাতে তাঁদের বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। এমতাবস্থায় সুব্রহ্মণ্যনের মতো অনুভবী আর্থিক উপদেষ্টার বিদায়ে কেন্দ্রীয় গেরুয়া শিবিরকে লোকসভা ভোটের আরো সমস্যায় ফেলে দিল বলেই নিশ্চিত করছেন তাঁরা। তবে মোদীশিবির আবার এ সমস্যাকে তুড়ি মেরেই উড়িয়ে দিয়ে জানায় যে, “এই সমস্যা তাঁদের কোনোদিনই নেই।” আপনার মতামত জানান -