এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > লোকসভার আগে ‘মিথ্যা মামলায়’ জেলে যেতে হতে পারে যে কোন মুহূর্তে, আর ‘ঝুঁকি’ নিতে রাজি নন মুকুল রায়

লোকসভার আগে ‘মিথ্যা মামলায়’ জেলে যেতে হতে পারে যে কোন মুহূর্তে, আর ‘ঝুঁকি’ নিতে রাজি নন মুকুল রায়


একদা রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের ‘সেকেন্ড ইন কম্যান্ড’, কিন্তু দলের মধ্যে তীব্র পরিবারতন্ত্র ও দমবন্ধকর পরিবেশ থেকে মুক্তি পেতে নাম লিখিয়েছেন গেরুয়া শিবিরে। তিনি মুকুল রায় – আর মুকুলবাবুর এহেন রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের পরেই নাকি তাঁর উপরে নেমে আসছে ‘মিথ্যা মামলার’ চোরাগোপ্তা আক্রমন বলে অভিযোগ তাঁর অনুগামীদের। মুকুলবাবুর এই দলবদল যে মেনে নিতে পারে নি শাসকদল, তা খোদ তৃণমূলনেত্রীর মুকুল রায়ের নাম না করে তাঁকে প্রকাশ্যেই ‘গদ্দার’ সম্বোধনেই পরিষ্কার।

আর এবার মুকুল রায়ের অনুগামীদের আশঙ্কা, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগেই, তাঁদের প্রিয় নেতাকে কোন না কোন মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে জেলে ঢোকানো হবে। কিন্তু কেন এই আশঙ্কা? মুকুলবাবুর অনুগামীদের কথায়, মুকুল রায়ের সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে, বিজেপিতে যোগদানের আগে পর্যন্ত তাঁর নামে কোনো জিডি বা এফআইআর পর্যন্ত হয় নি। অথচ মুকুলবাবু প্রবল বাম জমানাতেও চুটিয়ে বিরোধী রাজনীতি করেছেন। অথচ সেই তিনিই বিজেপিতে যোগ দেওয়া মাত্রই, মাত্র কয়েকমাসের মধ্যে আর্থিক প্রতারণা, খুন, খুনের চক্রান্তের মত গুরুতর ধারায় অন্তত গোটা ২৫ মামলা দায়ের হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

মুকুলবাবুর অনুগামীদের আরও দাবি, এর মধ্যে অন্তত ১০-১২ টি মামলা কলকাতা হাইকোর্ট খারিজ করে দিলেও নতুন করে আরও অন্তত ৭-৮ টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাঁদের আরও দাবি, প্রায় সব মামলার ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে কোনো সারবত্তাই নেই, এমনকি বেশিরভাগ মামলার ক্ষেত্রেই দূর-দূরান্ত পর্যন্ত নাকি মুকুলবাবুর কোনও সম্পর্কই নেই, শুধুমাত্র অনুমানের ভিত্তিতেই এইসব মামলায় মুকুলবাবুর নাম জড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। আর রাজ্য প্রশাসনের এহেন পদক্ষেপেই নাকি স্পষ্ট, লোকসভা নির্বাচনের আগে যে করে হোক মুকুলবাবুকে জেলে ঢোকাতেই হবে!

মুকুলবাবুর অনুগামীরা আরও জানালেন, অন্যান্য মামলার মত কৃষ্ণগঞ্জের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসের খুনের মামলাতেও মুকুলবাবুর নামে এফআইআর করা হয়েছে। যে ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মুকুল রায় নিজে বলেছেন, ঘটনাস্থলে সেদিন আমি ছিলামই না, কীভাবে আমার নাম তাতে জড়িয়ে গেল?

এটা চক্রান্ত – আমি সত্যজিতকে চিনতাম, কিন্তু আমার সঙ্গে এই ঘটনার কোনও যোগ নেই। এদিকে গতকাল তৃণমূল যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিহত বিধায়কের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে জানান, ঘাড় ধরে প্রত্যেক অভিযুক্তকে জেলে ঢোকাব। দিল্লির বাবুদের পা ধরেও পার পাবে না কেউ! সংশ্লিষ্ট মহলের ধারণা নাম না নিলেও অভিষেক ব্যানার্জির নিশানায় ছিলেন মুকুল রায়ই। আর তাই এবার কোনো ঝুঁকি না নিয়ে সত্যজিত্‍ বিশ্বাসের খুনের ঘটনায় হাইকোর্টে আগাম জামিনের মামলা দায়ের করলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়, চলতি সপ্তাহেই যে মামলার শুনানির সম্ভাবনা আছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!