এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > লোকসভায় ভরাডুবির পর এবার শহীদ দিবস নিয়েও চিন্তায় তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব, জেনে নিন কেন?

লোকসভায় ভরাডুবির পর এবার শহীদ দিবস নিয়েও চিন্তায় তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব, জেনে নিন কেন?

লোকসভা নির্বাচনে এবার তৃণমূলের ফলাফল খুব একটা ভাল হয়নি। 42 টি আসন নিজেদের দখলে রাখার ডাক দিলেও 22 টি আসন দখল করেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে তাদের। অন্যদিকে 18 টি আসন পাওয়া গেরুয়া শিবির দিকে দিকে তাদের সংগঠন বৃদ্ধি করতে শুরু করেছে। আর এই পরিস্থিতিতে আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। তারপরেই প্রতিবারের ন্যায় এবারও কলকাতায় তৃণমূলের শহীদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

কিন্তু শাসক দলের কর্মী-সমর্থকদের অভিযোগ, এবারে অতীতের মতো আর সেইভাবে এই শহীদ সমাবেশের জন্য কোনো উন্মাদনা চোখে পড়ছে না। বস্তুত, লোকসভা ভোটে বাঁকুড়া জেলার দুটি লোকসভা কেন্দ্রেই বিজেপির কাছে পরাজিত হয়ে যেতে হয়েছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে।

আর এরপর দলীয় সংগঠনকে চাঙ্গা করার জন্য স্বয়ং তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই জেলায় সংগঠনকে ঢেলে সাজানোর চেষ্টা করলেও তৃণমূলের বাৎসরিক সব থেকে বড় অনুষ্ঠান একুশে জুলাইকে নিয়ে সেরকম প্রস্তুতি নেই বললেই চলে। প্রতিবার কলকাতায় যাওয়ার জন্য আগে থেকেই নানা ব্যানার টাঙানো এবং পথসভা করা হত। এমনকি সড়ক পথে নাকি রেলপথে করা হবে, তা নিয়েও আগাম প্রস্তুতি নেওয়া হত।

কিন্তু এবার সেরকম কোনো উদ্যোগ নেই বলে দাবি একাংশের। এদিন এই প্রসঙ্গে বাঁকুড়া জেলা তৃণমূলের এক নেতা বলেন, “একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি শুরু করা নিয়ে কয়েক সপ্তাহ আগে পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট কোনো বার্তা দলীয় ভাবে দেওয়া হয়নি। সম্প্রতি কলকাতায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করে শহীদ দিবসের প্রস্তুতি শুরু করতে বললে এই ব্যাপারে তোড়জোড় শুরু হয়।” তবে দলের একাংশ একুশে জুলাইকে সামনে রেখে সেই ভাবে প্রচার হচ্ছে না বলে অভিযোগ তুললেও এই ব্যাপারে সেই সমস্ত অভিযোগ খন্ডন করে দিয়েছেন বাঁকুড়া এবং বিষ্ণুপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি শুভাশিস বটব্যাল এবং শ্যামল সাঁতরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে তারা বলেন, “জেলার প্রত্যেকটি ব্লক ও অঞ্চলে জনসংযোগ কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে একুশে জুলাইয়ের প্রচার করা হচ্ছে। দেওয়াল লিখন করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” অন্যদিকে বাঁকুড়া সংসদীয় জেলা থেকে আট হাজার এবং বিষ্ণুপুর সংসদীয় জেলা থেকে অন্তত দশ হাজার তৃণমূল কর্মী এবারের শহীদ সমাবেশে যোগ দেবে বলে দাবি শাসক দলের।

তবে বাস মালিকরা অবশ্য জানাচ্ছেন যে, প্রতিবার যেভাবে একুশে জুলাইয়ের আগে তৃণমূল নেতৃত্ব তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে, এবার সেই যোগাযোগ ব্যবস্থায় কিছুটা খামতি থেকে গেছে। সেই ভাবে কলকাতা যাওয়ার ব্যাপারে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়নি। আর এই সুযোগেই এবার তৃণমূলকে খোঁচা দিতে ছাড়ছে না বিজেপি।

এদিন এই প্রসঙ্গে বাঁকুড়া জেলা সাংগঠনিক বিজেপির সভাপতি বিবেকানন্দ পাত্র বলেন, “কাটমানি নিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়ার ভয়ে বহু তৃণমূল নেতা বাড়ি থেকে বের হতে পারছেন না। তাই তারা কলকাতায় যাবেন কিভাবে!”

আর এই চিত্র শুধু এখানে নয়, প্রায় গোটা রাজ্যেই ধরা পড়ছে বলে দলের একাংশের দাবি। প্রতিবারের মতো আর এবারে তেমন যাচ্ছে না দলের নেতা কর্মীদের মধ্যে। কান পাতলে শোনা যাচ্ছে নেতাদের অনাগ্রহের সুর। ফলে চিন্তা বাড়ছে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের। কেননা একে লোকসভা ভোটের এই খারাপ ফলাফল। অন্যদিকে ঘুরে দাঁড়ানোর মরিয়া চেষ্টা চালানো শীর্ষ নেতৃত্বের দাবি সব ঠিক আছে আর এর মাঝে যদি ২১ সে জুলাই এর মঞ্চ সেভাবে না ভরে তবে প্রশ্ন উঠবে। এখন দেখার কি হয় শাসকদলের প্রতিবারের মতো সভা উপচে পরে নাকি লোকসভা ভোটের ফলাফলের ফলাফল প্রকাশ পায়।

যদিও বা বিজেপির এই কাটমানি নিয়ে অভিযোগকে অবশ্য মান্যতা দিতে নারাজ জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। তবে তৃণমূলের তরফে যাই বলা হোক না কেন এবারের একুশে জুলাইয়ে আগের মত যে উন্মাদনা নেই সেই ব্যাপারে একপ্রকার নিশ্চিত সমালোচক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!