এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে মুখ্যমন্ত্রীর তুরুপের তাস হতে চলেছে যে পাঁচটি বিষয়

লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে মুখ্যমন্ত্রীর তুরুপের তাস হতে চলেছে যে পাঁচটি বিষয়


আর কদিন পরেই লোকসভা ভোট। আর সেই লোকসভা ভোটে বাংলায় 42 এ 42 করতে এবং কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে উৎখাত করতে ইতিমধ্যেই বিরোধী মহাজোটের নির্ণায়ক শক্তি হিসেবে রয়েছেন বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

কিন্তু যেখানে দিনকে দিন ঘাড়ের ওপর নিঃশ্বাস ফেলছে বিরোধী দল বিজেপি, সেখানে ঠিক কিভাবে 42 এর মধ্যে 42 টি আসনই নিজেদের ঝুলিতে পুরতে সক্ষম হবে তৃনমূল কংগ্রেস? রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের ধারণা, এবারের লোকসভা ভোটে জয়লাভ করতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মূল হাতিয়ার বাংলার উন্নয়ন।

১.উন্নয়ন:-

ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের সাথে বাংলার তৃণমূল সরকারের উন্নয়নের যে ফারাক তার চিত্র তুলে ধরে রাজ্যের শাসকদলের নেতা মন্ত্রীরা নিজেদের প্রচারও শুরু করে দিয়েছেন। কিন্তু ঠিক কোন কোন বিষয়ের উপর ভিত্তি করে এই লোকসভা নির্বাচনের প্রচার চালাতে পারে রাজ্যের শাসক দল?

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

 

২.বাঙালি প্রধানমন্ত্রী:-

বিশেষজ্ঞদের ধারণা, বহুদিন পরে ফের দেশের মসনদে বাঙালি প্রধানমন্ত্রীকে বসানোর একটা জোরালো আওয়াজ উঠেছে। আর যে বাঙালি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের যে প্রথম সারিতে রয়েছেন তা বলাই যায়। কেননা এবারে কেন্দ্র থেকে বিজেপিকে সরাতে বিরোধী মহাজোট তৈরীর পেছনে মূল ভূমিকায় ছিলেন এই তৃণমূল নেত্রীই।

এমনকি নোট বাতিল থেকে জিএসটি-কেন্দ্রের একাধিক নীতির বিরুদ্ধে প্রথম গর্জে উঠেছিলেন তিনি। সম্প্রতি বিজেপি বিরোধী সেই মহাজোটের একাধিক নেতা, নেত্রী থেকে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষেরা সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখার কথা বলে জল্পনা উসকে দিয়েছেন। তাই এবারের এই লোকসভা নির্বাচনে এই বাঙালি প্রধানমন্ত্রীর সেন্টিমেন্টকে টেনে এনে বাংলায় 42 এ 42 করতে অনেকটাই অ্যাডভান্টেজ হতে পারে শাসক দল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

এ তো গেল ভারতবর্ষের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে হাতিয়ার করে সাফল্যের দিকটা, কিন্তু রাজ্যের ঠিক কোন কোন উন্নয়নকে দেখে তৃণমূলকে আগামী লোকসভা নির্বাচনে ভোট দেবেন সাধারণ মানুষ?

 

৩. মিশন নির্মল বাংলা:-

মুখ্যমন্ত্রী উন্নয়ন প্রকল্পের মধ্যে অন্যতম মিশন নির্মল বাংলা। যার মাধ্যমে উপকৃত হচ্ছেন বাংলার অসংখ্য মানুষ। তবে শুধু নির্মল বাংলা প্রকল্পই নয় একটি শিশুর জন্ম থেকে জীবনের শেষ পর্যায় পর্যন্ত সমস্ত উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যবস্থা করেছে রাজ্য সরকার। এছাড়াও রাস্তাঘাট, ব্রিজ এবং অন্যান্য সরকারি পরিষেবাও দেওয়া হচ্ছে। আর রাজ্যের এই প্রভূত উন্নয়নকে হাতিয়ার করেই এবার লোকসভা ভোটে সাধারণ মানুষের কাছে ভোটভিক্ষা চাইতে পারে রাজ্যের শাসক দল।

 

৪.কৃষকবন্ধু:-

এদিকে রাজ্যের এই প্রভূত উন্নয়নের মাঝেও শাসকদলের পক্ষ থেকে নিজেদের কৃষক দরদী হিসেবে প্রমাণ করতে ইতিমধ্যেই কৃষকবন্ধু নামক প্রকল্প চালু করেছে রাজ্য। বস্তুত সারাদেশে কৃষকদের ঋণ মুকুব ও কৃষক আত্মহত্যা নিয়ে কেন্দ্রের মোদি সরকারের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে সরব হয়েছে বিরোধী দলগুলো। যা নিয়ে প্রবল চাপে পড়েছে কেন্দ্রের শাসকদল। আর এহেন একটা পরিস্থিতিতে রাজ্য যে সমস্ত কিছুই পারে তা প্রমানে এই কৃষকবন্ধু প্রকল্প গড়ে কৃষকদের ঋণ মুকুবে সচেষ্ট হচ্ছে রাজ্য সরকার। যা আগামী লোকসভা ভোটে এই রাজ্যের কৃষিজীবী মানুষদের মনে তৃণমূলকে অনেকটাই প্রথম সারিতে রাখবে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।

 

৫.কন্যাশ্রী প্রকল্প:-

তবে রাজ্যের এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের উদ্যোগে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের মধ্যে নজর কেড়েছে কন্যাশ্রী প্রকল্প। অর্থের অভাবে মেয়েদের শিক্ষার পথ যাতে অন্তরায় হয়ে না দাঁড়ায় সেই জন্য এই কন্যাশ্রী প্রকল্পের মধ্যে দিয়ে পড়াশুনা চালানো ছাত্রীদের আর্থিক ভাবে সাহায্য করছে রাজ্য সরকার। যে কন্যাশ্রী প্রকল্প আজ শুধু বাংলা নয়, গোটা বিশ্বের মাটিতে সমাদৃত হয়েছে। রাজ্যের শাসকদলের মতে, মুখ্যমন্ত্রীর এই মস্তিষ্কপ্রসূত এই ভাবনাকে ইতিমধ্যেই ধার করে “বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও” নামক প্রকল্পও গড়েছে কেন্দ্র। তবে রাজ্যের এই প্রভূত উন্নয়ন সত্ত্বেও বিরোধীরা অবশ্য তৃণমূলের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে এক পাও পিছপা হচ্ছেন না।

তাই শেষ পর্যন্ত আগামী লোকসভা ভোটে বৈতরণী পার হতে রাজ্যের এই পাঁচটি ইস্যুকে হাতিয়ার করে তৃনমূল কংগ্রেস 42 এর মধ্যে 42 টি আসনই নিজেদের দখলে আনতে পারে কিনা এখন সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!