এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > লোকসভার আগে তৃণমূল সাংসদদের কাছে পেতে নতুন কৌশল বিশ্ব হিন্দু পরিষদের

লোকসভার আগে তৃণমূল সাংসদদের কাছে পেতে নতুন কৌশল বিশ্ব হিন্দু পরিষদের


রাজ্যে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে বিজেপির আদায় কাঁচকলায় সম্পর্ক প্রায় সকলেরই জানা। সাম্প্রদায়িক ইস্যুতে প্রতিনিয়তই সকাল-সন্ধ্যা তৃণমূলের তোপের মুখে পড়তে হয় গেরুয়া শিবিরকে। কিন্তু সামনে লোকসভা ভোট। ফের দেশে চাগাড় দিয়ে উঠেছে রামমন্দির ইস্যু।

সূত্রের খবর, গত ৫ অক্টোবর দিল্লিতে সন্ত উত্তরাধিকার সমিতির বৈঠকে এই রামমন্দির ইস্যুতে সংগঠনের দেশজুড়ে আন্দোলন সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। পাশাপাশি এই ব্যাপারে বিভিন্ন রাজ্যের রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেছেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সদস্যরা। আর এই পরিস্থিতিতেআজ সুপ্রিম কোর্টে এই রাম মন্দির মামলার শুনানি হতে চলেছে। কিন্তু আদালতের রায়ের ওপর আর ভরসা না রেখে এবার বিভিন্ন দলের সাংসদদের কাছে গিয়ে রাম মন্দির ইস্যুতে সহযোগিতা চাওয়ার কথা ভাবছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ।

ইতিমধ্যেই রাজ্যের তৃণমূল এবং বাম সাংসদদের কাছে যাওয়ার চিন্তা-ভাবনা করছে তারা। কিন্তু এই ক্ষেত্রে আদৌ কতটা সেই বিশ্ব হিন্দু পরিষদকে সহযোগিতা করবে রাজ্যের শাসকদলের সংসদ প্রতিনিধিরা, সে নিয়ে ধন্দে প্রত্যেকেই। তবে যদি কেউ এই রাম মন্দির ইস্যুতে তাদেরকে সমর্থন না করে তাহলে নিজেদের ঝুলি থেকে বেড়াল বের করতেও প্রস্তুত বিশ্ব হিন্দু পরিষদ।

জানা গেছে, কোনো রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে এই রাম মন্দির ইস্যুতে সহযোগীতা না পেলে তাকে “হিন্দু বিরোধী” তকমা দেওয়া হবে। ফলে লোকসভা ভোটের আগে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের পক্ষ থেকে এই তথ্য যদি খাড়া করা হয় তাহলে বিপদ হতে পারে রাজনৈতিক দলগুলোর। তাই এখন ভিএইচপির এই প্রস্তাবে কতটা সায় দেবেন রাজ্যের তৃনমূল সাংসদরা! সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।

এদিন এ প্রসঙ্গে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের পূর্ব ক্ষেত্রের সংগঠন সম্পাদক শচীন্দ্রনাথ সিনহা বলেন, “রাম মন্দির প্রতিষ্ঠা আমাদের কাছে জাতীয় কর্তব্য। আদালত থেকে শীঘ্রই ফলপ্রসূ কোনো নির্দেশ আসবে বলে মনে হয় না। তাই দেশবাসীর সুপ্ত ইচ্ছার কথা মাথায় রেখে কালীপুজোর পরই গোটা নভেম্বর মাসে রাজ্যের তৃণমূল, কংগ্রেস, এবং বাম সাংসদদের কাছে গিয়ে আমরা সহযোগিতা চাইব। যাতে সংসদে আইন পাস করে এই রামমন্দির প্রতিষ্ঠা সুনিশ্চিত করা যায়।”

জানা গেছে, এ নিয়ে কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপির ওপরও চাপ সৃষ্টি করছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। সূত্রের খবর, আগামী 18 ই ডিসেম্বর “গীতা জয়ন্তী” উপলক্ষে দেশের সমস্ত মঠ-মন্দির গুলিতে শুরু হবে এই রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার সংকল্প। পাশাপাশি 31 শে জানুয়ারি এবং 1 ই ফেব্রুয়ারি উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগ কুম্ভে সর্বভারতীয় সম্মেলন পরিকল্পনার কথা রয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের। কিন্তু যদি ভিএইচপির পক্ষ থেকে রাম মন্দির ইস্যুতে কংগ্রেস সাংসদের কাছে সমর্থনে প্রস্তাব আসে তাহলে তারা কি করবে?

এদিন এ প্রসঙ্গে রাজ্য প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি তথা সাংসদ অধীর চৌধুরী বলেন, “ভোটের আগে রাম নাম জপ করার উদ্দেশ্যে গেরুয়া শিবির ইচ্ছাকৃতভাবে এই ধরনের কর্মসূচি নিয়েছে।” কেন্দ্রে বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠ থাকা সত্তেও এই রামমন্দির প্রতিষ্ঠার বিল আনছে না কেন এই নিয়েও এদিন প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন তিনি। অপরদিকে এ প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ শুখেন্দু শেখর রায় বলেন, “বিষয়টি বিতর্কিত। বর্তমানে তা দেশের সর্বোচ্চ আদালতে বিচারাধীন। রাজনৈতিক দলগুলি নিজস্ব শৃঙ্খলা থাকা উচিত। তাই এই ধরনের স্পর্শকাতর বিষয়ে নাক গলানো উচিত না।”

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

সব মিলিয়ে লোকসভা ভোটের আগে রামমন্দির ইস্যুতে তৃণমূলকে কাছে পেতে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের এই কৌশল আদৌ কাজে দেয় কিনা সেই দিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!