এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > লোকসভার আগে নারদ-নারদ – পাল্টা চাপে অভিষেক ব্যানার্জিকে আইনি নোটিশ মুকুল রায়ের

লোকসভার আগে নারদ-নারদ – পাল্টা চাপে অভিষেক ব্যানার্জিকে আইনি নোটিশ মুকুল রায়ের


অসমের তিনসুকিয়া কান্ডের সূত্র ধরে কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি খেলায় মেতেছে তৃণমূল-বিজেপি। লোকসভা ভোটের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে কোনো একটা ইস্যু পেলেই একে অপরকে আক্রমণ শানাতে এক মুহূর্তে বিলম্ব করছে না। সম্প্রতি বিজেপি-রাজ্যের তিনসুকিয়াতে বাঙালি নিধনের প্রতিবাদ করতে কোলকাতা এবং অন্যান্য জেলায় বিজেপির বিরুদ্ধে ধিক্কার মিছিল করেছিল তৃণমূল।

ওই কর্মসূচিতে তৃণমূল যুবনেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তিনসুকিয়া গনহত্যার জন্য দায়ী করেছিল অসমের বিজেপি সরকারকে। বলেছিল,’অসমের তিনশুকিয়াতে ৫ বাঙালি খুনের ঘটনায় জড়িত বিজেপি।’ এভাবে অযৌক্তিকভাবে বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তোলা অন্যায়।

বিজেপির কাছে এটা অত্যন্ত ‘অপমানকর’ এবং ‘অপূরণীয় ক্ষতি’ বলেই দাবী করে মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপোর বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ গেল হেভিওয়েট বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের পক্ষ থেকে। মুকুল রায়ের বক্তব্য,”যিনি এই কথাগুলি বলেছেন, তাঁকে বিজেপির পক্ষ থেকে আইনী নোটিশ পাঠানো হয়েছে। তিনি যদি নিঃস্বর্ত ক্ষমা না চান, তার বিরূদ্ধে মানহানীর মামলা করা হবে।”

যুক্তিতে জানালেন,বর্তমানে বিজেপি পৃথিবীর সবথেকপ বড় একটি রাজনৈতিক দল। ভারতের ১৯ টি রাজ্যে এককভাবে ক্ষমতায় থাকার পাশাপাশি ৩ টি রাজ্যে জোট সরকারের মাধ্যমেও ক্ষমতায় রয়েছে। এরকম একটি জনপ্রিয় রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে অযথা এরকম ধরণের মন্তব্যে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের কাছে অত্যন্ত অপমানজনক।

শুধু তাই নয়,এর প্রতিক্রিয়ায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেন,বরং তৃণমূলই তিনসুকিয়া হত্যাকান্ডের পর পরিস্থিতিকে আরো উত্ত্যক্ত করার চেষ্টা করছে। যাঁরা এহেন ন্যাক্কারজনক কাজটি করেছে তাঁদের বিরুদ্ধে অসম সরকার এবং কেন্দ্র তদন্ত চালাচ্ছে। কিন্তু সেটা সহ্য হচ্ছে না তৃণমূলের। তাঁরা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য গনহত্যার প্রেক্ষিতে জাতিগত দাঙ্গা উসকে দেওয়ার চেষ্টা করছে। প্রসঙ্গত,সম্প্রতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জাতীয় বিজেপি সভাপতি অমিত শাহকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছিলেন।

কারণ কোলকাতায় মেয়ো রোডের জনসভা থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করেছিলেন শাহ। শুধু তাই নয়,বাংলা থেকে জোড়াফুল উপড়ে ফেলার হুঁসিয়ারীও দিয়েছিলেন। তৃণমূল যুব নেতার এই আইনি নোটিশের পাল্টা দিতেই তাঁরই অস্ত্রে তাকে ঘায়েল করতে চাইলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

উল্লেখ্য,অসমের তিনসুকিয়া কান্ডে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং- কে চিঠি দিয়ে এই প্রেক্ষিতে বাংলার উদ্বিগ্ন অবস্থা উল্লেখ করেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সম্প্রতি অসমের তিনসুকিয়ায় নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে এল তৃণমূলের এক প্রতিনিধিদল।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

যে যার নিজের মতো করে এই হত্যাকান্ডের ঘটনায় উষ্মা প্রকাশ করলেও এই ইস্যুতে রাজনৈতিক রং লাগিয়ে পরস্পরকে নিশানা করতে ভুলছে না বাংলার দুই শক্তিশালী রাজনৈতিক দল। তৃণমূল বিজেপির আইনি নোটিশের জবাব কীভাবে দেবে সেটা নিয়েই তীব্র চর্চা চলছে রাজ্যরাজনীতির অন্দরে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!