এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > লোকসভা ভোটে পিছিয়ে থাকলেও শিক্ষা হয়নি নেতাদের, বিধানসভা-ভিত্তিক কর্মীসভায় স্পষ্ট মতানৈক্য!

লোকসভা ভোটে পিছিয়ে থাকলেও শিক্ষা হয়নি নেতাদের, বিধানসভা-ভিত্তিক কর্মীসভায় স্পষ্ট মতানৈক্য!

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত লোকসভা ভোটের ফলাফল খুব একটা ভাল হয়নি। কিন্তু তা থেকেও শিক্ষা নিচ্ছে না তৃণমূল কংগ্রেস। একাংশের মতে, গত লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এবং মানুষের সাথে ঠিকমত যোগাযোগ না থাকার কারণেই দলের এই খারাপ ফলাফল হয়েছে। তবে তারপরে প্রশান্ত কিশোর দায়িত্ব নেওয়ার পর যেভাবে সকল স্তরের নেতাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে পথ চলার বার্তা দিয়েছেন, তাতে আশা করা হয়েছিল, সকলে একসাথে পথ চলবেন।

কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনের আগেও তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল মিটতে দেখা যাচ্ছে না। এবার কৃষ্ণগঞ্জ বিধানসভার বুথ-ভিত্তিক কর্মীসভায় অনেক জনপ্রতিনিধি এবং নেতার অনুপস্থিতি দলের ঐক্য নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল। যার জেরে যেখানে সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে পথ চলার চেষ্টা করছে। সেখানে কেন তৃণমূলের অনেক নেতা নেত্রী এই বৈঠকে অনুপস্থিত থাকলেন, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন।

সূত্রের খবর, রবিবার হাঁসখালি সমবায় বিদ্যাপীঠ হাইস্কুলে কৃষ্ণগঞ্জ বিধানসভার কর্মীসভার আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু সেখানে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির অনুপস্থিতি নিয়ে ব্যাপক জল্পনা শুরু হয়েছে। একাংশ বলছেন, এখানকার বর্তমান ব্লক সভাপতি লক্ষন ঘোষ চৌধুরীর সঙ্গে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির দীর্ঘদিনের বিবাদ রয়েছে। ফলে এই কর্মসূচিতে সেই পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির অনুপস্থিতি আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে শাসকদলের বিড়ম্বনা অনেকটাই বাড়িয়ে দিল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু কেন এই কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকলেন না পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি? এদিন এই প্রসঙ্গে অশোক হালদার বলেন, “কো-অর্ডিনেটর হোয়াটসঅ্যাপে একটা চিঠি পাঠিয়ে চলেছেন। আর ব্লক সভাপতি কিছু বলেননি। এত বড় একটা কর্মসূচিতে কেউ যদি না ডাকে, তাহলে কিভাবে যাই!” যদিও বা অশোকবাবুর এই বক্তব্যকে মানতে নারাজ গত বিধানসভা উপ নির্বাচনে পরাজিত তৃণমূল প্রার্থী তথা জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর প্রমথরঞ্জন বসু।

এদিন তিনি বলেন, “আমি নিজেও অশোকবাবুকে একাধিকবার ফোন করে আসার জন্য অনুরোধ করেছি। চিঠিও দিয়েছি। তার পরেও কেন এলেন না, বুঝতে পারছি না।” রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তৃনমূল কংগ্রেস বিধানসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে বন্ধ করতে চাইছে। কিন্তু তা বন্ধ করা তো দূর অস্ত, উল্টে একের পর এক নেতার গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচিতে অনুপস্থিতিতে এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!