এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > লোকসভা ভুলিয়ে বিধানসভায় ঘাসফুল ঝড় তীব্র করতে মমতার ভরসা হয়ে উঠতে চলেছে ‘নতুন অগ্নিকন্যা’?

লোকসভা ভুলিয়ে বিধানসভায় ঘাসফুল ঝড় তীব্র করতে মমতার ভরসা হয়ে উঠতে চলেছে ‘নতুন অগ্নিকন্যা’?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত লোকসভা নির্বাচনে জেলার ফলাফল খুব একটা ভালো হয়নি। কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্র তৃণমূলের দখলে থাকলেও, রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্র দখল করেছিল ভারতীয় জনতা পার্টি। তাই সামনের বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে এবার লোকসভার পরাজয়কে ভুলে গিয়ে সামনের দিকে এগোনোর উদ্যোগ নিল তৃণমূল কংগ্রেস। যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তুরুপের তাস হতে চলেছেন নদীয়া জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী মহুয়া মৈত্র বলে মনে করছেন একাংশ।

জানা যায়, আগামী বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে এদিন নদিয়ায় পূর্ণাঙ্গ নতুন জেলা কমিটি ঘোষণা করা হয়। যেখানে জেলা সভানেত্রী করা হয়েছে মহুয়া মৈত্রকে এবং চেয়ারম্যান করা হয়েছে উজ্জ্বল বিশ্বাসকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নদীয়া জেলায় গোষ্ঠী কোন্দলের কারণে গত লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল খুব একটা ভালো করতে পারেনি তৃণমূল কংগ্রেস। তাই এই পরিস্থিতিতে মহুয়া মৈত্রের মত রাফ অ্যান্ড টাফ ব্যক্তিকে সামনে রেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগামী দিনে এই জেলায় নিজেদের জয়কে নিশ্চিত করতে চাইছেন বলেই দাবি বিশেষজ্ঞদের।

জানা যায়, এদিন গোটা নদীয়া জেলার জন্য তিনজন কো-অর্ডিনেটর করা হয়। যারা হলেন দীপক বসু, নাসিরুদ্দিন আহমেদ এবং আবির রঞ্জন বিশ্বাস। অনেকে বলছেন, এবারের জেলা কমিটিতে প্রতিটি ব্লক থেকে নেতাদের উপস্থিতি রয়েছে। যা সংগঠনকে আগামী দিনে অনেকটাই মজবুত করবে। এদিন এই প্রসঙ্গে এক তৃণমূল নেতা বলেন, “আগের যে কোনো কমিটিতে কৃষ্ণনগরের দাপট বেশি থাকত। কমিটির প্রায় 90 শতাংশ সদস্য কৃষ্ণনগরের হতেন। এবারের কমিটিতে কিন্তু জেলার প্রতিটি ব্লকের উপস্থিতি রয়েছে।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একইভাবে নতুন কমিটিতে সমন্বয় রক্ষা করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তৃণমূলের আর এক নেতা। এদিন তিনি বলেন, “নতুন কমিটিতে কেউ কারও লোক নয়। সকলেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লোক। সকলে ভোটের ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। আমরা আগামী বিধানসভায় 17 টির মধ্যে 14 টি আসন পাব। তার বেশিও হতে পারে।” তবে জেলায় তৃণমূলের একাংশ গোষ্ঠী কোন্দল নিয়ে আশঙ্কা করলেও, তাকে গুরুত্ব দিতে নারাজ জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী মহুয়া মৈত্র। এদিন তিনি বলেন, “নতুন কমিটি আগামী সপ্তাহ থেকে বিভিন্ন ব্লকে তাদের কাজ শুরু করবে। নতুন যে কমিটি হয়েছে, সেখানে সমস্ত ব্লকের উপস্থিতি রয়েছে। আমরা সকলে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আগামী বিধানসভায় লড়াই করব। বিরোধীদের কোনো সুযোগ আর দেব না।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এতদিন নদীয়া জেলা নিয়ে কিছুটা হলেও অসন্তুষ্ট ছিলেন। কারণ এখানকার গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কোনমতেই সামাল দেওয়া যাচ্ছিল না। তবে কিছুদিন আগেই সেখানকার সভাপতি পদে পরিবর্তন আনা হয়। যেখানে মহুয়া মৈত্রের মত দক্ষ সাংগঠনিক নেত্রীকে সভাপতি করা হয়‌। আর এবার তার নেতৃত্বেই জেলা কমিটি গঠন করে আগামীদিনে মহুয়াদেবীর উপর ভরসা রেখেই যে তৃণমূল ভালো ফল করতে চলেছে, তা কার্যত বুঝিয়ে দিল তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে মহুয়া মৈত্র সংগঠনকে চাঙ্গা করে আগামী বিধানসভায় জয় কতটা ছিনিয়ে আনতে পারেন, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!