এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > লোকসভায় বিজেপির হয়েছে তুমুল উত্থান, তাও বিধানসভার আগে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল থামার ইঙ্গিত নেই

লোকসভায় বিজেপির হয়েছে তুমুল উত্থান, তাও বিধানসভার আগে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল থামার ইঙ্গিত নেই


আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে।

আপনার মতামত জানান -

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির ভালো ফলাফলের পেছনে তৃণমূলের অন্তর্কোন্দল যে বড় পরিমাণে দায়ী, তা বুঝতে পেরেছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব. কিন্তু তা সত্বেও বারবার সেই গোষ্ঠী কোন্দল কমানোর বার্তা দিয়েও লাভের লাভ কিছু হয়নি। সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। কিন্তু তার আগেও তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল এখন চরম আকার ধারণ করেছে।

সম্প্রতিককালে পুরুলিয়া রঘুনাথপুর 1 ব্লকের অঞ্চল সভাপতি নিয়োগকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসার পরই সবাইকে নিয়ে একসাথে পথ চলার বার্তা দিয়েছিল জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। কিন্তু রঘুনাথপুর 1 ব্লক সভাপতি মিহির বাউরির ডাকা বৈঠকে অনুপস্থিত দেখা গেল বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর নেতাদের। যার জেরে তৃণমূলের অন্তর্কোন্দল আবার প্রকাশ্যে চলে এসেছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

জানা গেছে, এদিনের এই সম্মেলনে অনুপস্থিত ছিলেন ব্লক তৃণমূলের সহ-সভাপতি প্রকাশ সিং দেও, জেলার 2 সাধারণ সম্পাদক হাজারি বাউরী, প্রদীপ মাঝি এবং জেলা সম্পাদক মুকুল বন্দ্যোপাধ্যায় সহ অন্যান্য নেতারা। কেন তারা এই সম্মেলনে উপস্থিত হলেন না? এদিন এই প্রসঙ্গে প্রকাশবাবু বলেন, “ওই কর্মী সম্মেলনের কথা জানতাম না। পরে লোকমুখে শুনেছি। আমাদের সম্মেলনে ডাকা হয়নি।”

একাংশ বলছেন, এই রঘুনাথপুর 1 ব্লকে মিহিরবাবুকে ব্লক সভাপতির দায়িত্ব দেওয়ার পর থেকেই দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরম আকার ধারণ করেছে। যেখানে প্রকাশবাবু সহ অন্যান্য নেতারা দল বিরোধী কাজ করছেন বলে অভিযোগ তুলতে শুরু করে অপর গোষ্ঠী। স্বাভাবিকভাবেই দুই পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব ক্রমশ ভয়াবহ আকার নিতে শুরু করে। কিন্তু সাম্প্রতিককালে জেলা নেতৃত্বের পক্ষ থেকে সেই দ্বন্দ্ব মেটানোর জন্য বার্তা দেওয়া সত্ত্বেও লাভের লাভ কিছুই হল না।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর এদিনের বৈঠকে উপস্থিত থেকে মিহিরবাবুর বিরোধী গোষ্ঠীর নেতারা সংঘাতকে আরও বাড়িয়ে দিলেন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। যার ফলে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির মোকাবিলা করতে গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস কিভাবে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই দেবে, এখন তা নিয়েই বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। কেন তারা নিজেদের মধ্যেকার গন্ডগোল মিটিয়ে নিচ্ছেন না? এদিন এই প্রসঙ্গে মুকুল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ব্লক সভাপতিকে দলের জেলা নেতৃত্ব নির্দেশ দিয়েছিলেন, সবাইকে নিয়ে কাজ করতে হবে। কিন্তু তিনি তা মানছেন না। তিনি দলের মধ্যে বিশৃংখল পরিস্থিতি তৈরি করছেন।”

তবে গোটা ঘটনায় জেলা নেতৃত্ব যে অনেকটাই বিরক্ত, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূল সভাপতি গুরুপদ টুডু বলেন, “কর্মী সম্মেলনে ব্লক সভাপতি যদি সবাইকে ডেকে না থাকেন, তাহলে তিনি ঠিক কাজ করেননি। আর যদি কেউ ডাকা সত্ত্বেও সম্মেলনে অনুপস্থিত না থাকেন, সেটাও ভুল। পুরো ঘটনা দলীয় স্তরে পর্যালোচনা করা হচ্ছে।” সব মিলিয়ে বার বার বার্তা দেওয়া সত্ত্বেও পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর এলাকায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মিটছে না কিছুতেই। এখন বিজেপির প্রভাব মাথায় রেখে তৃণমূল নিজেদের এই অভ্যন্তরীণ কোন্দলকে আটকাতে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল –

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – 

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – 

# মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল –

আপনার মতামত জানান -
আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!