এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বর্ধমান > লোকসভায় যা ছিল গড়, এক বছরের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে তাই হচ্ছে ছারখার! চিন্তা বিজেপিতে

লোকসভায় যা ছিল গড়, এক বছরের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে তাই হচ্ছে ছারখার! চিন্তা বিজেপিতে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিগত লোকসভা নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টি রাজ্যে অত্যন্ত ভালো ফল করেছিল। উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ বিভিন্ন জায়গায় তাদের দিকে জনসাধারণের ব্যাপক সমর্থন তৃণমূলকে অনেকটাই চিন্তায় ফেলে দেয়। তবে লোকসভায় বিজেপির ভালো ফল করার কিছু দিনের মধ্যেই অবস্থার পরিবর্তন হতে শুরু করে। যে সমস্ত এলাকায় তাদের ফলাফল ভালো হয়েছিল, সেই সমস্ত এলাকায় দলীয় কোন্দলের কারণে রীতিমত বিজেপির অন্দরে অসন্তোষ তৈরি হয়।

পুরনো বনাম নতুন বিজেপি কর্মীদের মধ্যে শুরু হয় দ্বন্দ্ব। যার ফলে সংগঠনের শ্রীবৃদ্ধি হওয়া তো দূর অস্ত, উল্টে নিজেদের ভেতরের দ্বন্দ্বকে সামাল দিতেই হিমশিম খেতে হয় গেরুয়া শিবিরকে। গত লোকসভা নির্বাচনে কাটোয়া বিধানসভায় বিজেপির ফলাফল অত্যন্ত ভালো হয়েছিল। কাটোয়া পৌরসভার অধিকাংশ ওয়ার্ডের তৃণমূলকে পেছনে ফেলে এগিয়ে গিয়েছিল পদ্ম শিবির। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের পরবর্তী সময় কাটোয়ায় বিজেপি গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে এসেছে।

তাই বিধানসভা ভোটের আগে গোষ্ঠী কোন্দলের ফলে এখন বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করতে শুরু করেছেন অনেকে। যার ফলে এখন ব্যাপক চাপে পড়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। সূত্রের খবর, এদিন বিজেপি ছেড়ে প্রায় 600 জন কর্মী তৃণমূল কংগ্রেসে নাম লেখান। যাদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। বিধানসভা নির্বাচনের আগে কাটোয়ায় বিজেপিতে এই ভাঙ্গন এখন রীতিমত উজ্জীবিত করছে তৃণমূল কংগ্রেসকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এভাবেই যদি বিজেপি ভাঙতে শুরু করে, তাহলে তারা কিভাবে আগামীদিনে বিধানসভা নির্বাচনে কাটোয়াতে ভালো কল করবে, তা নিয়ে দলের অন্দরেই তৈরি হয়েছে সংশয়। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর জন্য প্রধানভাবে দায়ী বিজেপি সংগঠন। তারা শৃংখলাবদ্ধ দল বলে নিজেদের দায়ী করলেও যেভাবে গোষ্ঠী কোন্দল সামাল দিতে অপারগ হচ্ছে জেলা নেতৃত্ব, তাতে দল ভেঙে এখন তৃণমূলে যোগদান প্রতিনিয়ত স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তাই অবিলম্বে যদি দলের শৃঙ্খলা ফেরাতে না পারেন বিজেপির জেলা নেতৃত্ব, তাহলে তাদের অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয় হয়ে পড়বে বলেই আশঙ্কা করছেন একাংশ। তবে যেভাবে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিতে শুরু করেছেন নেতাকর্মীরা, তাতে বিজেপি তো অত্যন্ত দুর্বল হয়ে যাচ্ছে! কিভাবে পরিস্থিতিকে সামাল দেবেন তারা?

এদিন এই প্রসঙ্গে পূর্ব বর্ধমান জেলা বিজেপির সভাপতি কৃষ্ণ ঘোষ বলেন, “এসব তৃণমূল মিথ্যা প্রচার করছে। আমাদের দলের কোনো কর্মী তৃণমূলে যাননি। সব সাজিয়ে দেখানো হচ্ছে। আমাদের দলে কোনো গোষ্ঠী কোন্দল নেই। আমার বাড়ির সামনে যা হয়েছে, তা সবাই দেখেছেন।” সব মিলিয়ে এখন গোষ্ঠী কোন্দলকে সামাল দিতে বিজেপি কতটা সফলতার সঙ্গে তাদের কাজ চালিয়ে যেতে পারে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!