এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > লোকসভাতেও শিক্ষা হয়নি! দলের “কুমড়ো” নেতাদের নিয়ে ক্ষোভ-আশঙ্কা একসাথে বাড়ছে তৃণমূলের নিচুতলায়

লোকসভাতেও শিক্ষা হয়নি! দলের “কুমড়ো” নেতাদের নিয়ে ক্ষোভ-আশঙ্কা একসাথে বাড়ছে তৃণমূলের নিচুতলায়


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত লোকসভা নির্বাচনে ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছিলেন দীনেশ ত্রিবেদী। আর এর পরেই দল থেকে বেরিয়ে গিয়ে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করে বিজেপির প্রার্থী হন অর্জুন সিংহ। পরবর্তীতে ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির দখলে যায়। স্বাভাবিকভাবেই এরপর নানা ঘটনায় খবরের শিরোনামে আসতে দেখা গেছে ব্যারাকপুর লোকসভার বিভিন্ন এলাকাকে। তৃণমূল-বিজেপির রাজনৈতিক সংঘর্ষ এলাকায় রণক্ষেত্রের সৃষ্টি করেছে মাঝে মধ্যেই।

কিন্তু বিধানসভা নির্বাচন যখন এগিয়ে আসছে, তখন তৃণমূল কি এই ব্যারাকপুরে নিজেদের মাটি শক্ত করতে পেরেছে? অনেকে বলছেন, লোকসভা নির্বাচনে পরাজয়ের পর বিজেপি ঘনিষ্ঠ নেতাদের এখনও শনাক্ত করতে সচেষ্ট হয়নি তৃণমূল নেতৃত্ব। যার ফলে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে দলে থাকা মীরজাফরদের জন্য আবার বিপাকে পড়তে হতে পারে ঘাসফুল শিবিরকে। শুধু তাই নয়, গত লোকসভার পরবর্তী সময়কালে যেরকম কর্মসূচি নেওয়া উচিত ছিল, তা অনেক ক্ষেত্রেই নিতে পারেনি দল। যার ফলে যুবক-যুবতীদের একটা বিরাট অংশ ভারতীয় জনতা পার্টির দিকে চলে গিয়েছে।

ফলে ব্যারাকপুরে তৃণমূলের অবস্থা খুব একটা ভালো নয় বলেই দাবি করছেন দলের একাংশ। তৃণমূলের কর্মী সমর্থকদের কাছে সবথেকে বড় চিন্তার কারণ, দলে থাকা অনেক নেতা কর্মীদের ভোটের সময় পাল্টে যাওয়া নিয়ে। কেননা অতীতে টিকিট না পাওয়ার সাথে সাথে যেভাবে বিজেপিতে যোগদান করে প্রার্থী হয়ে ব্যারাকপুর আসনটি বিজেপির হাতে তুলে দিয়েছেন অর্জুন সিংহ, তাতে তৃণমূল অনেকটাই ব্যাকফুটে চলে গিয়েছিল। তাই অর্জুন সিংহ বিজেপিতে গেলেও, অনেক তার ঘনিষ্ঠ নেতাকর্মী তৃণমূলে থেকে গিয়েছেন, তারা ঘরের খবর প্রতিমুহূর্তে নিচ্ছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তাই এই পরিস্থিতিতে আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে যদি এই গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে সম্পর্ক রাখা নেতাকর্মীদের তৃণমূল চিহ্নিত করতে না পারে, তাহলে আগামী নির্বাচনে তাদের অত্যন্ত সংকটের মুখে পড়তে হতে পারে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এদিন এই প্রসঙ্গে ব্যারাকপুর টাউন যুব তৃনমূলের সভাপতি উত্তম দাস বলেন, “আমি বারবার বলেছি এই বিজেপি মার্কা তৃণমূল নেতাদের দল থেকে বের করে দিতে। কারন এরা এখনও বিজেপির সুবিধা করে দিয়ে যাচ্ছেন। আগামী বছর বিধানসভা ভোট। দলকে এটা বুঝতে হবে।”

তবে এই ব্যাপারে কি বলছেন জেলা তৃণমূল সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক? এদিন তিনি বলেন, “যারা তৃণমূলে থেকে গেরুয়া শিবিরকে সাহায্য করেছিল, তাদের প্রত্যেককে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এখনও সেই প্রক্রিয়া চলছে। তবে আগের তুলনায় এখন জেলায় আমরা দলকে গুছিয়ে নিয়েছি। বিজেপিতে যারা গিয়েছিলেন, কতটা ভুল করেছিলেন, বুঝতে পেরে ফিরে আসছেন।” তবে মানুষ এখন বদলের পক্ষে বলে পাল্টা দাবি জানিয়েছেন ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহ।

কিন্তু তৃণমূলের একশ্রেণীর নেতাকর্মীদের যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে যে, দলে থাকা নেতাকর্মীরা বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে, যদি তা সত্যি হয়, তাহলে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের ক্ষেত্রে ব্যারাকপুরে অত্যন্ত সমস্যা হতে পারে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!