এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > আজ থেকেই রাজ্য সরকারি কর্মীদের ‘আচ্ছে দিন’ শুরু, সৌজন্যে মুখ্যমন্ত্রী

আজ থেকেই রাজ্য সরকারি কর্মীদের ‘আচ্ছে দিন’ শুরু, সৌজন্যে মুখ্যমন্ত্রী

সরকারি কর্মচারীদের পুজোর ছুটি শুরু হয়ে গেল আজ থেকেই। গতকালই পুজোর আগে শেষ ডিউটি ছিল তাঁদের। তাই গতকালই পুজোর আগের সব জরুরি বৈঠকগুলো সেরে নেন বিভিন্ন সরকারি আধিকারিকরা। তবে অকাল বর্ষার কারণে অনেকেই বিকেলে নাগাদই দপ্তর ছেড়ে বাড়ির পথে রওনা হন। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে পুজোর জন্য একটানা ১৩ দিন ছুটি দেওয়া হয়েছে আগামী ২৫ ই অক্টোবর পর্যন্ত। তবে ২৬ এ অক্টোবর ছুটি নিলে সেই সংখ্যাটাই দাঁড়াবে ১৬ দিনে।

অন্যদিকে, পুজোর সময় সরকারি দপ্তর বন্ধ থাকলেও সমস্তরকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এবং রাস্তাঘাটে বাড়তি সুরক্ষা প্রদান করতে রাজ্য প্রশাসনের সদর কার্যালয়ে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। সেখানে সবসময় পথ নিরাপত্তা বিষয়ক যে কোনো ধরণের সমস্যা সমাধানে হাজির থাকবেন যুগ্ম সচিব পর্যায়ের অফিসাররা। রাস্তাঘাটে যেকোনো ধরনের সমস্যায় পড়লে ১০১৭ নম্বরে ফোন করলেই সুরাহা মিলবে পথচারীদের। এছাড়া রাজ্যপুলিশ কন্ট্রোল রুম থেকে নিয়মিত নজরদারি চালাবে বলে জানা গেছে।

তবে জরুরি পরিষেবা ও আপৎকালকালীন কাজের সঙ্গে যাঁরা যুক্ত, তাঁদের কোনো ছুটি নেই, ছুটি নেই পুলিশেরও। স্বাভাবিকভাবেই মন খারাপ তাঁদের। রাজ্যের আট থেকে আশি সবাই যখন পরিবারের সঙ্গে পুজের আনন্দ উপভোগে ব্যস্ত থাকবে তখনও নিজেদের ডিউটি করে যাবেন কিছু কর্মচারীরা। ছুটি বাতিল করা হয়েছে সেচ, পর্যটন, বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের। এছাড়া তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের কর্মীদের একাংশকেও কাজ করতে হবে পুজোর দিনগুলোতে।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না – তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

পুজোর দিনগুলোতে কিছু সংখ্যাক কর্মচারী ও অফিসারদের উপস্থিত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কলকাতার মন্ত্রীরাও যাতে সকালের দিকে দপ্তরে ঘুরে যান সেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দপ্তরের প্রধান সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, মুখ্যসচির, রাজ্য নিরাপত্তা উপদেষ্টা, রাজ্য পুলিশের ডিজি, এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) সহ পুলিশ কর্তাদের পুজোর দিনগুলোতে নিয়মিত ‘অফিস’ করার নির্দেশ রয়েছে। এছাড়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ রাজ্যের অন্যান্য মন্ত্রীরা প্রতি মূহুর্তেই নজর দেবেন রাজ্যের গতিবিধির উপর।

এমনকি নেত্রীর বাড়িতে রুটিন করে অফিসাররা ডিউটি দেবেন। এবছর মোট সরকারি ছুটি রয়েছে ৩৫ টি। বাম আমলের তুলনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারি ছুটি অনেকটাই বাড়িয়েছেন, এমনটাই দাবী কয়েকজন সরকারি কর্মচারীর। আর, কর্মচারীদের আনন্দের কথা মাথায় রেখে অতিরিক্ত চারদিন ছুটির ব্যবস্থা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী, এমনটাই জানা গিয়েছে নবান্ন সূত্রের খবর থেকে। পুজোর সময় রাজ্যবাসীর পরিষেবায় কোনরকম খামতি রাখতে চাননা মুখ্যমন্ত্রী। তাই ইতিমধ্যেই কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থায় রাজ্যকে মুড়ে ফেলেছেন নেত্রী।

পুজোর আনন্দে মশগুল হওয়ার আগে ‘অফিস পাড়ায়’ সান্ধ্য চায়ের আড্ডায় সরস আলোচনা, বকেয়া ডিএ বা কেন্দ্রীয়হারে বেতন আপাতত বিশ বাঁও জলে – কবে তার মুখ দেখা যাবে কেউ জানে না। তবে ছুটির ব্যাপারে কোন কার্পণ্য করে না বর্তমান রাজ্য সরকার। কোন রাজনৈতিক দলের ডাকা বনধে অফিসে আসা বাধ্যতামূলক করলেও – এইসব অতিরিক্ত ছুটি, যা বাম আমলে ভাবাও যেত না, তা কিন্তু মেলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে। আর তাই, বকেয়া ডিএ বা কেন্দ্রীয়হারে বেতনের ক্ষোভ ভুলে আপাতত ১৩ দিনের টানা ছুটিকেই ‘আচ্ছে দিন’ মনে করে শারোদৎসবে গা ভাসানোর পথে সরকারি কর্মীরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!