এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > লড়াইটা ছিল অগ্নিপরীক্ষার! প্রার্থী না হয়েও বড় জয় পেলেন অভিষেক!

লড়াইটা ছিল অগ্নিপরীক্ষার! প্রার্থী না হয়েও বড় জয় পেলেন অভিষেক!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, বিজেপির বড় বড় কেন্দ্রীয় নেতা, সকলেই রাজ্যে এসে পিসি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমন করতে শুরু করেছিলেন। পিসি নিজে নন্দীগ্রামে প্রার্থী হলেও, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কিন্তু কোনো বিধানসভা কেন্দ্রে প্রার্থী হননি। তবুও বিরোধী দলের হাইপ্রোফাইল নেতাদের গলায় শোনা গিয়েছিল ভাইপো শব্দ।

স্বাভাবিক ভাবেই তিনি আক্রমণের মুখে পড়ে যাওয়ায় কিছুটা হলেও অস্বস্তি বোধ করেছিলেন। তবে ফলাফল প্রকাশ যে সমস্ত কিছুর উত্তর দিয়ে দেবে, তা জানত শাসক থেকে শুরু করে বিরোধীপক্ষ। এমনকি তৃণমূলের অনেকেও যদি দল পরাজিত হতো, তাহলে দলের ওপর চেপে বসা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নীতি নিয়ে প্রশ্ন ছুড়ে দিতে উদ্যত হত বলেই আশঙ্কা করা হয়েছিল। তবে প্রার্থী না হয়েও দলের জন্য বিপুল জয় ছিনিয়ে এনে কার্যত সকলের মুখে ঝামা ঘষে দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যা এবারের বিধানসভা নির্বাচনে অত্যন্ত ইঙ্গিতবাহী এবং তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

বলা বাহুল্য, এবারের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে বাংলার ক্ষমতা দখল করতে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পাশাপাশি কেন্দ্রের গোটা মন্ত্রিসভাকে প্রচারের কাজে নামিয়ে দিয়েছিল ভারতীয় জনতা পার্টি। রাজ্য বিজেপির দিলীপ ঘোষ থেকে শুরু করে শুভেন্দু অধিকারী, বিভিন্ন জেলায় প্রচার করেছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ভোটের প্রচারে মূলত বিজেপি নেতারা দুর্নীতি ইস‌্যুতে প্রধান নিশানা করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

বিজেপি নেতাদের মুখে শোনা গিয়েছিল, ভাইপো শব্দ। এছাড়াও বিজেপি নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সহধর্মিনীকে নিয়েও ব্যাপক প্রশ্ন তুলে দিয়েছিলেন। কিন্তু এত কিছু করা আক্রমণ সহ্য করেও লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই লড়াইয়ে তিনি যে বিরোধীদের গোল দিয়ে কার্যত বাজিমাত করে দিলেন, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। মূলত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শক্ত ঘাঁটি দক্ষিণ 24 পরগনা একটি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে শুধুমাত্র ভাঙ্গড়ে জয়লাভ করেছে সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত আইএএসফ প্রার্থী।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বাকি 30 টি আসনে জয় পেয়েছে জোড়াফুল শিবির। স্বাভাবিক ভাবেই বঙ্গ বিজেপির অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে যতই বিরোধীরা দুর্নীতির কথা বলে সোচ্চার হোক না কেন, তাদের সেই যে কথা কার্যত মানুষের মনে প্রবেশ করেনি, তা বলাই যায়। একাংশ বলছেন, বিজেপির বহু তারকা প্রচারক ছিলেন। রুদ্রনীল থেকে শুরু করে শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, পায়েল থেকে শুরু করে বনি সেনগুপ্ত, বাংলার এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্তে বিভিন্ন জায়গায় এই সমস্ত তারকা প্রচারকদের কাজে লাগিয়েছিল ভারতীয় জনতা পার্টি। কিন্তু সেদিক থেকে তৃণমূলের তারকা প্রচারক ছিলেন দুইজন। একজন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অপরজন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই সেই লড়াইয়ে সরাসরি বিরোধীদের কুপোকাত করে নিজের ক্ষমতা দেখিয়ে দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

অনেকে বলছেন, এই লড়াই তৃনমূল বনাম বিজেপির অপেক্ষা শুভেন্দু অধিকারী বনাম অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছিল। যেভাবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছিলেন বিরোধী নেতারা, তাতে দলের হাল ধরা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যদি দলকে সাফল্য পাইয়ে দিতে না পারেন, তাহলে তিনি যে রাজনীতিতে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়বেন, তা বুঝতে পেরেছিলেন সকলেই।

তাই শেষ পর্যন্ত ঠান্ডা মাথায় বিরোধীদের সমস্ত আক্রমণ হজম করে নিয়ে যোগ্য রাজনৈতিক নেতার কাজ করে গিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলাফল প্রকাশের মধ্যে দিয়ে তা তৃণমূলের জয়ের পাশাপাশি এই সুবিশাল জয় তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বলেও দাবি করছেন একাংশ। যার ফলে এই অগ্নিপরীক্ষায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ায় তিনি যে তৃণমূলের আরও প্রধান নির্ণায়ক ভূমিকায় চলে গেলেন, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত সকলেই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!