এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > লড়তে হবে একসাথে! রাহুল সিনহার সঙ্গে সব সমস্যা এক কাপ চায়েই মেটানোর অঙ্গীকার অনুপম হাজরার!

লড়তে হবে একসাথে! রাহুল সিনহার সঙ্গে সব সমস্যা এক কাপ চায়েই মেটানোর অঙ্গীকার অনুপম হাজরার!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি সর্বভারতীয় স্তরে বিজেপির সাংগঠনিক রদবদল প্রকাশ্যে এসেছে। যেখানে মুকুল রায়কে বিজেপি সর্বভারতীয় সহ-সভাপতির জায়গা দিয়েছে। অন্যদিকে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে আসা অনুপম হাজরাকে দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় সম্পাদকের পদ। আর তা নিয়েই তৈরি হয়েছে সমস্যা। কেননা এতদিন সেই কেন্দ্রীয় সম্পাদকের পদে ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি রাহুল সিনহা।

ফলে তিনি তৃণমূল থেকে আসা কোনো নেতার কারণে তার পদ থেকে সরে যাওয়ায় এখন রীতিমতো ক্ষুব্ধ। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ব্যাপারে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন রাহুল বাবু। যেখানে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, 40 বছর ধরে বিজেপি করার পুরস্কার পেলেন তিনি‌। অর্থাৎ দলের এই সিদ্ধান্তের প্রতি তিনি যে অনেকটাই ক্ষুব্ধ, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আর তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে আসা অনুপম হাজরার রাতারাতি পদ পেয়ে যাওয়া যে তিনি কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না, তাও নিজের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে বুঝিয়ে দিতে চেয়েছেন রাহুল সিনহা বলে মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের।

ফলে এই পরিস্থিতিতে আগামী 10 থেকে 12 দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা বলা রাহুল সিনহা তার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে কি সিদ্ধান্ত নেন এবং তার ফলে বিজেপি কতটা চাপে পড়ে, তার দিকে নজর রয়েছে রাজনৈতিক মহলের। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে যদি রাহুল সিনহা দলবদল করেন, তাহলে গেরুয়া শিবির যে অনেকটাই চাপে পড়বে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই এমতাবস্থায় এবার রাহুল সিনহার সঙ্গে সমস্ত দ্বন্দ্ব মিটিয়ে নেওয়ার কথা বললেন সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক অনুপম হাজরা।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শনিবার সর্বভারতীয় স্তরে সংগঠনের রদবদলের নতুন তালিকা প্রকাশ হতে না হতেই সরব হন রাহুল সিনহা। যেখানে তিনি বলেন, “40 বছর ধরে বিজেপির একজন সৈনিক হিসেবে দলের সেবা করে এসেছি। জন্মলগ্ন থেকে বিজেপির সেবা করার পুরস্কার এটাই যে, একজন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা আসছেন, তাই আমায় করতে হবে। এর থেকে বড় দুর্ভাগ্যের কিছু হতে পারে না।” এদিকে রাহুল সিনহার এই মন্তব্যের পরই অস্বস্তিতে পড়ে যায় ভারতীয় জনতা পার্টি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর এবার রাহুলবাবুর সেই মন্তব্য প্রসঙ্গে মুখ খুললেন তার জায়গায় নতুন দায়িত্বে আসা তৃণমূল থেকে আগত অনুপম হাজরা। এদিন তিনি বলেন, “রাহুলদা কি বলেছেন, নিজে শুনিনি। তাই এই বিষয়ে কিছু বলব না। তবে হ্যাঁ আমাদের সম্পর্ক বরাবরই ভাল। জীবন সব সময় এক গতিতে চলে না। উত্থান-পতন জীবনের অঙ্গ। উনি মানসিকভাবে সমস্যায় আছেন। কলকাতায় মুখোমুখি বসে চা খেতে খেতে সব মিটিয়ে নেব। বিবাদ ভুলে সবাই একসঙ্গে কাজ করবে। একুশে বিজেপি ক্ষমতায় আসবে। তাই দলবেঁধে লড়তে হবে।”

 

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, পদ পাওয়ার আগে যেমন সেই পদ পাওয়ার জন্য অতিষ্ঠ হয়ে পড়েন নেতারা, ঠিক তেমনই পদ পেলে তাদের ওপর বাড়ে দিগুন চাপ। কেননা তখন সকলকে নিয়ে চলার বাধ্যবাধকতা তৈরি হয় সেই সমস্ত নেতাদের মধ্যে। সেদিক থেকে রাহুল সিনহার মত প্রবীণ বিজেপি নেতাকে তার পদ থেকে সরিয়ে যখন সেখানে তৃণমূল থেকে আগত অনুপম হাজরাকে আনা হল, তখনই সেই ব্যাপারে প্রশ্ন তুলে দিয়েছিলেন রাহুল সিনহা।

কিন্তু এবার সদ্য দায়িত্ব পাওয়া অনুপম হাজরা সেই সমস্ত দ্বন্দ্ব মিটিয়ে নেওয়ার কথা বলে যেভাবে রাহুল সিনহার সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসার বার্তা দিলেন, তাতে রাহুলবাবুর মান ভঞ্জনের চেষ্টা করলেন অনুপম হাজরা বলেই মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের। কিন্তু রাহুলবাবুর মত দীর্ঘদিনের বিজেপি নেতা অনুপম হাজরার এই বার্তায় রাজি হন কিনা, তার সাথে আদৌ আলোচনার টেবিলে বসেন কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!