এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > পদ হারালেন বেচারাম সহ তিন হেভিওয়েট, শুদ্ধিকরণের ঠেলায় আতঙ্কে হেভিওয়েটরা! জোর জল্পনা

পদ হারালেন বেচারাম সহ তিন হেভিওয়েট, শুদ্ধিকরণের ঠেলায় আতঙ্কে হেভিওয়েটরা! জোর জল্পনা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –শুদ্ধিকরণ প্রক্রিয়া নিয়ে তৃণমূলে রীতিমত হইচই পড়ে গিয়েছে। বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলের ভাবমূর্তি স্বচ্ছ করতে এখন দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে শাসকদল। ভয়াবহ দুর্যোগের পর বিভিন্ন পঞ্চায়েতে তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে দুর্যোগের টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে। বিরোধীদের প্রতিবাদ এবং সাধারন মানুষের বিক্ষোভে তৃণমূলের অস্বস্তি দিনকে দিন বাড়ছে। তাই এই পরিস্থিতিতে সামনে নির্বাচনের আগে যাতে নিজেদের গা থেকে দুর্নীতি নামক শব্দটি সম্পূর্ণরূপে ঝেড়ে ফেলা যায়, তার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছে তৃণমূল কংগ্রেস।

ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জেলায় সেই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকা নানা নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে দেখা গেছে ঘাসফুল শিবিরকে। হাওড়া জেলায় পাঁচ নেতা ও পঞ্চায়েতের পদাধিকারীকে কিছুদিন আগেই শোকজ করা হয়েছিল। আর এবার সেই পাঁচজনের মধ্যে তিনজনকে অনির্দিষ্টকালের জন্য দল থেকে সাসপেন্ড করার ঘোষণা করলেন হাওড়া জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা মন্ত্রী অরূপ রায়।

সূত্রের খবর, এদিন দল থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে সাঁকরাইল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জয়ন্ত ঘোষ, পাতিহাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বেচারাম বসু এবং উত্তর ঝাপড়দহ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মালবিকা ঘোষালের স্বামী সুমন ঘোষালকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তৃনমূলের বক্তব্য, শোকজের পর এদের কাছ থেকে জবাব চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু সন্তোষজনক জবাব না পাওয়াতেই তাদেরকে দল থেকে সাসপেন্ড করা হল। এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা মন্ত্রী অরূপ রায় বলেন, “সাসপেন্ড করা তিনজনকে দলের সমস্ত পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল। তারা যেসব প্রশাসনিক পদে রয়েছেন, সেখান থেকেও তাদের অবিলম্বে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছে। তা না করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তৃণমূল বর্তমানে স্বচ্ছতার উপর এতটাই জোর দিয়েছে যে, শোকজের পর এবার সন্তোষজনক জবাব না পাওয়াতে তারা দলের তিন নেতাকে রীতিমত সাসপেন্ডের পথে হাঁটল। অর্থাৎ হাওড়া জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব এই ব্যাপারে প্রমাণ করে দিল যে, দুর্নীতির প্রশ্নে তারা কখনই পিছু হটবে না।

এক্ষেত্রে যে সমস্ত নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠবে, তাদের সাসপেন্ড পর্যন্তও যে করা হতে পারে, তা হাওড়া জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব নিজেদের পদক্ষেপের মধ্যে দিয়ে অন্যান্য দুর্নীতির বেড়াজালে যুক্ত থাকা নেতাদের বার্তা দিয়ে দিল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু এতকিছুর পরেও তৃণমূলের যে সমস্ত নিচুতলার নেতা এখনও পর্যন্ত দুর্নীতির সঙ্গে নিজেদের যুক্ত রয়েছেন, তাদের মধ্যে সদ ভাবনার উদয় হয় কিনা, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!