এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > সায়ন্তন-দেবাশীষের হাত ধরে আরও শক্তিশালী গেরুয়া শিবির, বড় ভাঙন সরকারি কর্মচারীতে

সায়ন্তন-দেবাশীষের হাত ধরে আরও শক্তিশালী গেরুয়া শিবির, বড় ভাঙন সরকারি কর্মচারীতে


ডিএ বা পে-কমিশন নিয়ে বঞ্চিত হতে হতে দেওয়ালে পিঠ ঠেকা তো বটেই, বর্তমানে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের অবস্থা কার্যত দেওয়াল ফুঁড়ে ঢুকে যাওয়ার মত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে। আর এই ‘অসহনীয়’ অবস্থা থেকে বেরোতে এবং এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর ‘অনমনীয়’ অবস্থানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে ক্রমশ গেরুয়া শিবিরই হয়ে উঠছে সরকারি কর্মচারীদের মঞ্চ।

লোকসভা নির্বাচনে, সরকারি কর্মচারীরা সম্মিলিতভাবে পোস্টাল ব্যালটের ফলে রাজ্যের ৪২ টি আসনের মধ্যে ৪১ টি আসনেই রাজ্যের শাসকদলকে পরাভূত করেছে। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় গেরুয়া উত্থানের পরে, আর ঢাকঢাক-গুড়গুড় নয়, একেবারে খোলাখুলিই গেরুয়া মঞ্চে এসে রাজ্যে ‘পরিবর্তনের পরিবর্তন’ করার শপথ নিচ্ছেন। আজও তার ব্যতিক্রম হল না। রাজ্য বিজেপির অন্যতম শীর্ষনেতা সায়ন্তন বসু ও সরকারি কর্মচারী পরিষদের রাজ্য আহ্বায়ক দেবাশীষ শীলের হাত ধরে আজ আবার বড়সড় ভাঙন ধরল সরকারি কর্মচারী মহলে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আজ, রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে অন্যতম গুরুত্ত্বপূর্ন দপ্তর তথা রাজ্য আবগারী দপ্তরের, কলকাতা ও সন্নিহিত মাত্র কয়েকটি জেলায় কর্মরত ৫০-এরও বেশী কর্মচারীবৃন্দ প্রথম পর্যায়ে সরকারী কর্মচারী পরিষদের আদর্শ এবং রাজ্য সরকারী কর্মচারীদের অধিকার, ন্যায্য দাবী দাওয়ার প্রশ্নে আপোষহীন লড়াইয়ে উদ্বুদ্ধ হয়ে পরিষদের প্রতি নৈতিক সমর্থন জ্ঞাপন করেন। এই যোগদান অনুষ্ঠান রাজ্য বিজেপির সদর দপ্তর – ৬, মুরলীধর সেন লেন সংলগ্ন এলাকায় অনুষ্ঠিত হয়।

রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক এবং সরকারী কর্মচারী পরিষদের পর্যবেক্ষক সায়ন্তন বসু আবগারী দপ্তরের কর্মীদের এই সিদ্ধান্তের তারিফ করেন। তিনি পরিষ্কারভাবে জানান যে, আবগারী দপ্তরের কর্মীদের সংগঠন করার অধিকার ফিরিয়ে দেবার জন্য রাজ্য বিজেপির পক্ষ থেকে রাজ্য সরকারকে চাপ সৃষ্টি করবেন এবং আবগারী দপ্তরের কর্মীদের এই দাবী সহ অন্যান্য দাবীতে পরিষদ যে আন্দোলন গড়ে তুলবে তাকে সর্বপ্রকারে সহযোগী করবেন।

অন্যদিকে, সরকারী কর্মচারী পরিষদের রাজ্য আহ্বায়ক দেবাশীষ শীল জানান, পরিষদের পক্ষ থেকে রাজ্য আবগারী দপ্তরের কর্মীদের সংগঠন করার অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া, মহিলা আবগারী কনস্টেবলদের থাকার জন্য জেলায় জেলায় পৃথক ব্যারাক, রাজ্য পুলিশের মত আবগারী কনস্টেবল-সহ সাব ইন্সপেক্টরদের রেশন ভাতা, ৫২ দিনের অতিরিক্ত বেতন প্রদান ইত্যাদি দাবীতে রাজ্য আবগারী কমিশনের সাথে ডেপুটেশনের দাবীতে আগামীকালই চিঠি পাঠানো হবে। তিনি আরও জানান, সর্বস্তরে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা না মিটলে সংগঠন করার অধিকার ফিরিয়ে দেবার দাবীতে পরিষদ আদালতে মামলা দায়ের করবে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!