এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > নতুন রাজনৈতিক সমীকরণে কি গোটা রাজ্যজুড়ে পদ হারাতে চলেছেন একাধিক পুরপ্রধান? জল্পনা চরমে

নতুন রাজনৈতিক সমীকরণে কি গোটা রাজ্যজুড়ে পদ হারাতে চলেছেন একাধিক পুরপ্রধান? জল্পনা চরমে

কিছুদিন আগেই মহারাষ্ট্রের বিধানসভার নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। তারপরে সরকার গঠন নিয়ে এখনও টালবাহানা চলছে। যে ঘটনা কারোরই অজানা নয়। কিন্তু এবার মহারাষ্ট্রের আরেক বৈচিত্র্যপূর্ণ ঘটনা নজর কাড়ল সকলের। সূত্রের খবর, রাজ্যস্তরে রাজনৈতিক সমীকরণ বদলের সঙ্গে সঙ্গেই এবার সেখানকার বেশকিছু পৌরসভার চালচিত্র বদলে যেতে শুরু করেছে।

বস্তুত, বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের পর বিজেপি- শিবসেনা জোট হবে বলে অনেকে মনে করলেও শেষ পর্যন্ত তাদের মধ্যেকার সেই জোট সম্ভব হয়নি। যার পরবর্তীতে কংগ্রেস, এনসিপি এবং শিবসেনা সরকার গড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছিল। এখনও পর্যন্ত সেই জল্পনায় জিইয়ে রয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে এই তিন দল কাছাকাছি আসায় কয়েকটি পৌরসভায় তারা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে পারে এবং বিজেপিকে বিপাকে ফেলতে পারে বলে জল্পনা ছড়িয়ে পড়ল।

জানা গেছে, ইতিমধ্যেই শিবসেনা এবং এনসিপির সমঝোতার প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়ে গিয়েছে কোলাপুর পৌরসভার নির্বাচনে। যেখানে মেয়র হিসেবে এনসিপির সুরমঞ্জরী লটকর এবং ডেপুটি মেয়র হিসেবে কংগ্রেসের সঞ্জয় মোহিত নির্বাচিত হয়েছেন। যা বিজেপিকে অনেকটাই ব্যাকফুটে ফেলে দিল বলে দাবি করছে ওয়াকিবহাল মহল। অন্যদিকে নাসিক পৌরসভায় কাউন্সিলরদের সংখ্যার পার্থক্য খুব একটা বেশি না থাকায় সেখানে কী হবে, তা নিয়ে জল্পনা অব্যাহত রয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বস্তুত, এই পৌরসভায় বিজেপির 65, শিবসেনা 34, এনসিপি 6 এবং কংগ্রেসের 6 জন কাউন্সিলর রয়েছে। এছাড়াও এমএনএসের 5 এবং 3 জন নির্দল বিধায়ক রয়েছেন। তবে দুজন কাউন্সিলার বিধায়ক নির্বাচিত হয়ে যাওয়ায় এই নাসিক পৌরসভার বর্তমান আসন সংখ্যা 120 টিতে এসে দাঁড়িয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, 61 জন কাউন্সিলরের সমর্থন যদি কোনো দল জোগাড় করতে পারে, তাহলে তাঁর দখলেই যাবে এই নাসিক পৌরসভা।

অন্যদিকে 113 আসনবিশিষ্ট ঔরঙ্গবাদ পৌরসভায় শিবসেনা এবং বিজেপির কাউন্সিলার সংখ্যা প্রায় সমান সমান হওয়ায় শেষ পর্যন্ত এখানে কে শেষ হাসি হাসবে, তা নিয়ে চলছে চর্চা। জানা গেছে, এই পৌরসভায় বিজেপির 22 এবং শিবসেনার 29 জন কাউন্সিলর রয়েছে। অন্যদিকে এআইএমআইএমের 25, কংগ্রেসের 8, এনসিপির 4 এবং অন্যান্যদের 24 জন কাউন্সিলর রয়েছে। বর্তমানে এই পৌরসভায় শিবসেনার দখলে রয়েছে মেয়র পদ।

কিন্তু বিজেপি এবং শিবসেনার ভাঙ্গন দেখা দেওয়ায় কি হবে এখানে! তার দিকে নজর রয়েছে সকলেরই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মহারাষ্ট্রের রাজ্য রাজনীতিতে শিবসেনা- বিজেপির মধুর সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ায় অনেক ক্ষেত্রেই বদল আসতে পারে। আর সেদিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এখানকার পৌরসভাগুলো। এতদিন পর্যন্ত মহারাষ্ট্রের পুরাসভাগুলিতে – কোনোটাতে শিবসেনা এবং কোনোটাতে বিজেপির প্রভাব ছিল।

কিন্তু, এখন সেখানে রাজনৈতিক সমীকরণ বদলে যাওয়ায় এবং শিবসেনা যদি এনসিপি এবং কংগ্রেস নেতাদের সাথে নিতে পারে, তাহলে তারা অনেকটাই এগিয়ে থাকবে। আর যদি তারা তাদেরকে না নিতে পারে, তাহলে বিজেপি ঘোড়া কেনাবেচা করে এখানে এগিয়ে যেতে পারে বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। তাই শেষ পর্যন্ত মহারাষ্ট্রের বিধানসভার সমীকরণ শেষ হওয়ার পর পৌরসভায় কি হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। কিন্তু, একটা ব্যাপার স্পষ্ট – জট দিন যাচ্ছে ততই যেন জমজমাট হচ্ছে মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক সমীকরণ।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!