এখন পড়ছেন
হোম > আন্তর্জাতিক > আচ্ছে দিন? কর্মসংস্থানের জোয়ারে ভাসবে ভারতবাসী? হেভিওয়েট মন্ত্রীর যুক্তিতে বাড়ছে আশার আলো

আচ্ছে দিন? কর্মসংস্থানের জোয়ারে ভাসবে ভারতবাসী? হেভিওয়েট মন্ত্রীর যুক্তিতে বাড়ছে আশার আলো

এই মুহুর্তে সারা বিশ্বের কাছে ভিলেন হয়েছে চীন দেশটি। কারণ বিশ্বের বেশীরভাগ দেশ করোনা প্রসঙ্গে চীনকেই দায়ী করেছে বর্তমানে। ইতিমধ্যে আমেরিকা দাবী করেছে, চীন নিজেদের গবেষণাগারেই সচেতনভাবেই মারণ করোনা ভাইরাস তৈরী করেছে। আর তার ফলেই বিশ্বের প্রথম সারির দেশগুলি আজ এতটাই করোনার দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে যে সেই দেশগুলি  প্রায় মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ এইমুহুর্তে মৃত্যু আতঙ্কে প্রহর গুনছে।

অন্যদিকে আতঙ্কের সাথে সাথে বিশ্ব অর্থনীতিও আজ মুখ থুবড়ে পড়ার জোগার। এই পরিস্থিতিতে চীনকে বিশ্বের অন্যান্য দেশ বাণিজ্যিকভাবে কোণঠাসা করার ইঙ্গিত দিয়েছেন। আর এই পরিস্থিতিতে ভারতে আশার কথা শোনালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গড়কড়ি। এই মুহূর্তে লকডাউন এর জেরে ভারতের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি রীতিমতো আশঙ্কাজনক। এই পরিস্থিতে দাঁড়িয়ে শনিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়কড়ি জানান, চীনের সঙ্গে যেহেতু গোটা বিশ্ব অনীহা প্রকাশ করেছে এই মুহূর্তে বাণিজ্য সম্পর্ক গড়ে তুলতে, সে ক্ষেত্রে ভারতের জন্য নতুন সুযোগ আসতে পারে।

ভারতের ক্ষুদ্র, ছোট, মাঝারি শিল্প এবার মুখ ঘুরিয়ে দাঁড়াতে পারবে বলে আশার ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, ‘করোনা সংক্রমণে বিশ্বের সব দেশেই অর্থনৈতিক সঙ্কট চলছে। কিন্তু সব দেশই এখন আর চিনের সঙ্গে বাণিজ্য করতে চাইছে না। এটা শাপে বর হবে ভারতের। এটা আমাদের কাছে একটা সুযোগ করে দেবে।’ অন্যদিকে, সম্প্রতি ভারতে এফডিআই নীতি বদল হয়েছে। যদিও তা নিয়ে বেজিং তাঁর ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বলে জানা গেছে।

সম্প্রতি করোনার মধ্যেই ভারতের পক্ষ থেকে এইচডিএফসি ব্যাঙ্কের 1.01% শেয়ার পিপলস ব্যাঙ্ক অব চায়নাকে বিক্রি করা হবে বলে ঠিক হয়েছিল। পরবর্তীতে ভারত সরকার তাঁর সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে। অন্যদিকে, এতদিন পর্যন্ত ভারত সরকারের নিয়ম অনুযায়ী দু’টি আলাদা এফডিআই ধারা ছিল প্রতিবেশী দেশগুলির জন্য। পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের জন্য সরকারি অনুমতি ছাড়া যেকোনো রকম বিনিয়োগ সম্ভব ছিল না এবং দ্বিতীয় ধারায় চীন, নেপাল, মায়ানমানের জন্য সরকারি নিয়ম অনুযায়ী সরকারি অনুমোদন ছাড়াই বিনিয়োগ করা সম্ভব হতো।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু নতুন এফডিআই সংশোধনীতে এবার থেকে বাংলাদেশ, পাকিস্তানের মতো নেপাল, ভুটান, চীনকেও ভারতে বিনিয়োগ করতে গেলে সরকারি অনুমোদন পেতে হবে আগে। আর এখানেই সব থেকে বড় আপত্তি তুলেছে বেজিং। অবশ্য ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নতুন বিদেশি বিনিয়োগ নীতিতে কোন মতেই বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার কোন চুক্তি লংঘন করা হয়নি। এই পরিস্থিতিতে ক্ষুদ্র, ছোট, মাঝারি শিল্পমন্ত্রী নীতিন গড়কড়ির বক্তব্য নতুন মাত্রা যোগ করলো ভারতের শিল্প মহলে বলে মনে করা হচ্ছে।

অন্যদিকে গড়কড়ি আরো জানিয়েছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী 2025 সালের মধ্যে ভারতের জন্য ফাইভ ট্রিলিয়ন ডলারের ওপরে তুলবেন বলে যে দাবি করেছেন, এবার ভারতে সেই সুযোগ আসতে চলেছে। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, এই মুহূর্তে ভারতের আর্থিক পরিস্থিতি যথেষ্ট সংকটজনক। তারমধ্যে করোনা মহামারীর জন্য চীনের গ্রোথ রেট 1.2 শতাংশ হতে চলেছে চলতি বছরে বলে জানিয়েছেন ইন্টারন্যাশনাল মনিটারি ফান্ড। তাই বলা যায়, এই মুহূর্তে আর্থিক দিক থেকে বেশ চাপে রয়েছে চীন।

অন্যদিকে বিশ্বের বহু দেশের চীনের ওপর নির্ভরশীলতা যেভাবে এতদিন বজায় রেখেছিল, তা কমিয়ে নেওয়ার কথা বলেছে। তাঁদের অনেকেই চীন থেকে এবার ভারতে কারখানা সরিয়ে আনার কথা উল্লেখ করেছেন বলেও দাবি করা হয়েছে ভারতের শিল্প মহল থেকে। সে জায়গায় দাঁড়িয়ে এবার সেই সম্ভাবনাকেই নতুন করে নীতিন গড়কড়ির মন্তব্য অন্য মাত্রা দিল বলে মনে করা হচ্ছে। অবশ্য এই মুহূর্তে ভারত যাবতীয় পিপিই কিট, মাস্ক এবং করোনা সংক্রান্ত অন্যান্য চিকিৎসা সামগ্রী আমদানি করছে চীন থেকে, কার্গো বিমানের মাধ্যমে।

অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনার কারণে চীন যে বিশাল আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে, তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। তবে এবার বিশ্বের অন্যান্য দেশ চীন থেকে তাদের নির্ভরতা সরিয়ে নিলে আমেরিকার পর বৃহত্তম শক্তিশালী দেশ হিসেবে চীন যে এতদিন প্রবল প্রতিপত্তি দেখিয়ে এসেছে, তা হয়তো এক ধাক্কায় শেষ হয়ে যাবে। অন্যদিকে তাহলে কি ভারতে আসতে চলেছে আচ্ছে দিন? আপাতত মানুষের প্রাণ বাঁচিয়ে ভারতের পরবর্তী পরিস্থিতি কি হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখবে দেশের ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!