উপনির্বাচনের প্রার্থী ঘোষণা হতেই বড়সড় ধাক্কা গেরুয়া শিবিরে, জানুন বিস্তারিত নদীয়া-২৪ পরগনা রাজ্য November 4, 2019 লোকসভা নির্বাচনে কিছুটা সাফল্য পাওয়ার পর আত্মপ্রত্যয়ী হতে দেখা গিয়েছিল বিজেপি নেতাদের। 18 টা আসন পেয়ে তৃনমূলের ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলে আগামী 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনকে তারা পাখির চোখ করেছিল। আর এই পরিস্থিতিতে সেই বিধানসভা নির্বাচনের আগে অ্যাসিড টেস্ট হিসেবে সমস্ত রাজনৈতিক দলের কাছে চলে এল করিমপুর, খড়গপুর এবং কালিয়াগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচন। যে উপনির্বাচন শাসক এবং বিরোধী, কোন দল সবথেকে বেশি সাফল্য পায়, তার দিকে নজর রয়েছে সকলের। ইতিমধ্যেই এই তিন কেন্দ্রে সমস্ত রাজনৈতিক দল তাদের প্রার্থী ঘোষণা করে দিয়েছে। অনেক ক্ষেত্রেই প্রচার পর্বও শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে তৃণমূল এবং বাম-কংগ্রেস জোট তাদের প্রার্থী কিছুটা আগে ঘোষণা করলেও সেদিক থেকে পিছিয়ে থাকতে দেখা গিয়েছিল গেরুয়া শিবিরকে। যা নিয়ে কোন কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী কে হবে, সেই ব্যাপারে বিস্তর জলঘোলা হয়েছিল। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তবে এবার করিমপুর বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে জয়প্রকাশ মজুমদারের নাম ঘোষণা করার পরদিনই প্রবল অস্বস্তিতে পড়তে শুরু করল ভারতীয় জনতা পার্টি। সূত্রের খবর, রবিবার বিজেপির সংখ্যালঘু সেলের সাধারণ সম্পাদক রাজেশ বিশ্বাস সহ প্রায় 300 কর্মী বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। যাদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন করিমপুর বিধানসভার ভূতপূর্ব বিধায়ক তথা কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি এবং সাংসদ মহুয়া মৈত্র। নির্বাচনের আগে এবং প্রার্থী ঘোষণার ঠিক পরেই বিপুল পরিমাণে নেতাকর্মীর বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান যে প্রবল পরিমাণে চাপ বাড়াবে গেরুয়া শিবিরের ওপর, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত রাজনৈতিক মহল। কিন্তু কেন তারা হঠাৎ বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন! এদিন এই প্রসঙ্গে রাজেশবাবু বলেন, “বিজেপির অন্দরে একাধিক সমস্যা রয়েছে। দলে থেকেও কোণঠাসা হয়ে পড়ছিলাম। গোষ্ঠী কোন্দলের সম্মুখীন হতে হচ্ছিল। সমস্ত সিদ্ধান্তে সহমত হতে পারছিলাম না। সেই কারণেই দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” কিন্তু যখন বিজেপি বিধানসভা উপনির্বাচনে জয়ের স্বপ্ন দেখছে, তখন সেই নির্বাচনের কদিন আগে বিপুল নেতাকর্মীর তৃণমূলে যোগদান কি তাদের চাপে রাখবে না! এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা নিলয় সাহা বলেন, “এই দলত্যাগের প্রভাব কোনভাবেই উপনির্বাচনের ফলাফলে পড়বে না।” তবে নিলয়বাবু যে কথাই বলুন না কেন, গোটা ঘটনায় যে বিজেপি নেতৃত্ব প্রবল চাপের মুখে পড়ে গিয়েছে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত রাজনৈতিক মহলে। এখন এই ঘটনার রেশ ভোটবাক্সে বিজেপির বিপক্ষে পড়ে কিনা, সেদিকেই তাকিয়ে সকলে। আপনার মতামত জানান -