লাভ জিহাদ বিরোধী আইন প্রসঙ্গে বিজেপিকে প্রবল কটাক্ষ আসাদউদ্দিন ওয়াইসির জাতীয় রাজনীতি December 30, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি, বেশকিছু বিজেপি শাসিত রাজ্য লাভ জিহাদ বিরোধী আইন বা ধর্মান্তর বিরোধী আইন রাজ্যগুলিতে চালু করার প্রস্তুতি নিয়েছে। প্রথম লাভ জিহাদ বিরোধী আইন এসেছিল উত্তরপ্রদেশে। বলপূর্বক ধর্ম পরিবর্তন ও বিবাহ বন্ধ করতে সে রাজ্যে এই আইন আনা হয়েছে। উত্তরপ্রদেশে এই আইন জারি হওয়ার পর রাজ্যের বিভিন্ন ব্যক্তি এই আইনের জালে জড়িয়েছেন। উত্তরপ্রদেশের পর মধ্যপ্রদেশে এই আইন জারি করার পরিকল্পনা করা হলো। আসাম, কর্ণাটকেও এমন আইন জারির সম্ভাবনার কথা শোনা গেছে। লাভ জিহাদ তথা বিবাহের নামের ধর্মান্তর বন্ধ করতে সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশে ধর্ম স্বতন্ত্র আইন ২০২০ নামে এক নতুন আইন জারি করার পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এই আইন মধ্যপ্রদেশের মন্ত্রিসভায় আনা হয়েছে। এই আইনে বলা হয়েছে যে, আইন ভঙ্গ করলে ১০ বছর পর্যন্ত জেল ও ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে অভিযুক্তের। লাভ জিহাদ বিরোধী আইন প্রণয়ন করে বিবাহের নামে ধর্মান্তর বন্ধ করে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে বিভিন্ন বিজেপি শাসিত রাজ্য। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এবার লাভ জিহাদ বিরোধী আইনকে সংবিধানবিরোধী বলে অভিযুক্ত করলেন এআইএমআইএম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসি। আসাদউদ্দিন ওয়াইসি জানালেন যে, ভারতীয় সংবিধানের ২১, ১৪, ২৫ নম্বর ধারায় জানানো হয়েছে যে, সরকার কোন ভারতবাসীর ব্যক্তিগত জীবনে হস্তক্ষেপ করবে না। দেশের বিভিন্ন আদালতও এ কথা বলেছে। লাভ জিহাদ বিরোধী আইন প্রণয়ন করে সংবিধানের মৌলিক অধিকারকে বিজেপি ভঙ্গ করছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, লাভ জিহাদ বিরোধী আইন প্রণয়ন হল সংবিধান বহির্ভূত কাজ। সংবিধানে লাভ জিহাদ বলে কোন কিছুই নেই। এ ধরনের আইন প্রণয়ন করে বিজেপি সংবিধান বহির্ভূত কাজ করছে ও ভঙ্গ করছে সংবিধানের মৌলিক অধিকার। এমনটাই তাঁর অভিযোগ। অন্যদিকে বিহারের এনডিএ জোটে থাকা জনতা দল ইউনাইটেডের নেতা কেসি ত্যাগী লাভ জিহাদ প্রসঙ্গে জানালেন যে, লাভ জিহাদ বিরোধী আইনের কারণে দেশজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়তে পারে। ধর্মের ভিত্তিতে দেশজুড়ে বিভাজন সৃষ্টি হতে পারে। তিনি জানালেন যে, দুজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ জাতি ধর্ম নির্বিশেষে নিজেদের পছন্দের সঙ্গীর সঙ্গে থাকতেই পারে, তাদের এই অধিকার আছে। আপনার মতামত জানান -