‘লাভ জিহাদ’ও এবার থেকে গুন্ডামির আওতায়? পুলিশের হাতে আরও ক্ষমতা দিয়ে আসতে চলেছে কড়া আইন? জাতীয় বিশেষ খবর September 24, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আইন রক্ষকদের কাজ আইন রক্ষা করা। কিন্তু তা করতে গিয়ে কোনো কোনো সময় আইন ভঙ্গকারীদের বিরোধিতার মুখে পড়তে হয় আইনরক্ষকদের। গুন্ডামি রোধ করতে গিয়ে গুন্ডামীর সম্মুখীন হতে হয় পুলিশকে। বর্তমানে তো পুলিশের ওপরেই মারধর করার অভিযোগ উঠে আসে বিভিন্ন জায়গা থেকে। তাই এবার পুলিশের হাতে ক্ষমতা দিতে তৈরি রাজ্য। আসছে আরো কড়া আইন। তবে এ রাজ্যের জন্য নয়, আইনটি লাগু হচ্ছে গুজরাটে। গুজরাট সরকার গুন্ডা দমনের জন্য পুলিশের হাতে আরো বেশি ক্ষমতা দিতে আনছে নতুন আইন। নতুন আইনে গুন্ডামির সংজ্ঞা যে রকম পরিবর্তিত হয়েছে, সে রকম ভাবেই নতুন শাস্তিও চালু হতে চলেছে। এবার শাস্তিযোগ্য অপরাধের মধ্যে আসতে চলেছে লাভ জিহাদ। ইতিমধ্যেই গুজরাট বিধানসভায় গুন্ডামি এবং সমাজ বিরোধী কার্যকলাপ প্রতিরোধ বিল পাস হয়ে গিয়েছে। রাজ্যপাল সই করলেই সেই রাজ্যে এই বিলটি কার্যকর হবে বলে জানা গেছে। এতদিন পর্যন্ত গুজরাটে গুন্ডামি করে কেউ ধরা পড়লে পুলিশের হেফাজতে থাকতে হতো 15 দিন। কিন্তু নতুন আইনে পুলিশি হেফাজতে রাখার দিন বেড়ে হচ্ছে 30 দিন। আদালতে আগে পুলিশকে চার্জশিট পেশ করতে হতো 60 দিনে। কিন্তু এখন তারা চার্জশিট পেশ করার জন্য সময় পাবে 90 দিন। সেই সঙ্গে অসামাজিক অপরাধে জড়িত যারা, তাঁদের শাস্তির পরিমাণ এবার থেকে বেড়ে হচ্ছে 7 থেকে 10 বছর। গুজরাট সরকারের পক্ষ থেকে গুন্ডামির সংজ্ঞা হিসেবে বলা হয়েছে, একজন ব্যক্তি যিনি গুন্ডা হন তার নিজের ক্ষমতাবলে সমাজের ক্ষতি করেন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এককভাবে বা দলগতভাবে সেই ক্ষতি সাধিত হয়। যারা জনজীবনের শান্তি নষ্ট করে এবং অপরাধমূলক কাজ করে তাঁদের সবাইকে সমাজবিরোধী বলেই জানা যাবে। কিন্তু এর পরেই উঠেছে বিতর্ক। কারণ অপরাধের তালিকায় এবার শামিল হয়েছে লাভ জিহাদ। বলা হচ্ছে লাভ জিহাদের মাধ্যমে মহিলাদের শোষণ হয়। তাই এটি গুন্ডা আইনের অন্তর্গত হবে। গতকাল গুজরাট বিজেপি সরকার বিধানসভায় এই বিল পেশ করার পর চূড়ান্ত আপত্তি জানিয়েছে কংগ্রেস। বিরোধীদের মতে, এই বিল প্রয়োগ করে যথেচ্ছভাবে গ্রেপ্তার করা যাবে যেকোনো কাউকেই এবং দিনের পর দিন পুলিশি হেফাজতে থাকতে হবে। শুধু তাই নয়, লাভ জিহাদকে আইনে শামিল করা নিয়েও আপত্তি দেখিয়েছে বিরোধীরা। প্রকাশ্যে তাঁরা বলছেন, অপরাধীদের শাস্তি দেওয়ার জন্য আগে থেকেই আইন ছিল। তাই নতুন আইন তৈরি করার কোন প্রয়োজন ছিল না। অন্যদিকে এই আইন তৈরি নিয়ে শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, গুজরাট সরকার লাভ জিহাদকে গুন্ডামির আওতার মধ্যে ফেলায় মানুষের স্বাধীনতা খর্ব করা হয়েছে। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, অসামাজিক কাজকর্ম প্রতিরোধে আইন রক্ষকের হাতে অনেক সময় ক্ষমতা না থাকার জন্য নিয়ম ভঙ্গকারীরা তার সুযোগ নেয়। সেদিক থেকে দেখতে গেলে গুজরাট সরকারের নতুন আইন যথেষ্ট প্রশংসনীয় বলে মনে করছেন অনেকেই। আপনার মতামত জানান -