প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বাংলায় তৃণমূল সরকারের আমলে বিজেপির পক্ষ থেকে যখন প্রতিবাদ করা হয়, তখন অনেক ক্ষেত্রেই সেই বিজেপি নেতাদের গ্রেফতার করে নেয় প্রশাসন। যার ফলে বাংলার গণতন্ত্র কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে সরব হয় ভারতীয় জনতা পার্টি‌। তবে এবার ত্রিপুরায় প্রশান্ত কিশোরের টিমের সদস্যরা আটক হতেই সেখানে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই তৃণমূলের একাধিক নেতা, নেত্রী ত্রিপুরা সফর করছেন।

আগামী শুক্রবার ত্রিপুরায় যাবেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর বাংলাতে যেভাবে বিজেপি কোনো কর্মসূচি নিলেই তাকে বাধাদান করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল সরকারের প্রশাসন, ঠিক একইভাবে এবার তৃণমূলকে চাপে রাখতে তারা প্রতিবাদ করলে তাদেরকেও ত্রিপুরার বিজেপি সরকারের পক্ষ থেকে পাল্টা চাপে ফেলে দেওয়া হতে পারে বলে জল্পনা ছড়িয়ে পড়েছে। অর্থাৎ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ত্রিপুরায় গেলে তাকে পাল্টা বিজেপির পক্ষ থেকে বিক্ষোভ দেখানো হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে ।

সূত্রের খবর, ত্রিপুরার আগরতলাতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পৌঁছানোর আগেই সেখানে বিক্ষোভ তৈরি করতে পারে ভারতীয় জনতা পার্টি। আর এই ঘটনাতেই নতুন করে শোরগোল পড়ে গিয়েছে ত্রিপুরা রাজ্যজুড়ে। অনেকে বলছেন, পশ্চিমবাংলায় যেভাবে বিজেপির বাইরের কোনো নেতা গেলে তাদেরকে হেনস্থা করে তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা, ঠিক একই কায়দায় তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা ত্রিপুরায় আসলে তাকে জবাব দিতে তৈরি ভারতীয় জনতা পার্টি। আর সেই কারণেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ত্রিপুরা সফর করলে তাকে চাপে ফেলতে বিজেপির পক্ষ থেকে বিক্ষোভ করে তৃণমূলের এই শীর্ষ নেতাকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দেওয়া হতে পারে। যাকে কেন্দ্র করে তৃণমূল কংগ্রেস এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যথেষ্ট চাপের মুখে পড়ে যাবেন বলেই মনে করছেন একাংশ।

যদিও বা বিজেপির পক্ষ থেকে এই রকম কোনো পরিকল্পনা মাফিক বিক্ষোভের ব্লু প্রিন্টের ব্যাপারে কিছুই জানানো হয়নি তবে এই ব্যাপারে কৌশলী মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছে ত্রিপুরা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক কিশোর বর্মনকে। এদিন তিনি বলেন, “দলের এমন কোনো পরিকল্পনা নেই। আমরা সকলকে স্বাগত জানাতে তৈরি। তবে কেউ জনরোষের মুখে পড়লে, তার দায় তো বিজেপি নিতে পারে না। বাংলায় ভোটের পরে যে সন্ত্রাস চলছে, যেভাবে খুন করা হচ্ছে বিজেপি কর্মীদের, তা নিয়ে এখানেও সমর্থকদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে।

তাই মানুষ তৃণমূল নেতাদের কাছে জবাব চাইতেই পারেন।” আর কিশোরবাবুর এই মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে স্পষ্ট যে, তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে ত্রিপুরাতে বিক্ষোভ দেখানো পরিকল্পনা নিলে পাল্টা তাকে চাপে ফেলে দিতে বিজেপির পক্ষ থেকেও সব রকম প্রস্তুতি নি রাখা হচ্ছে। এক্ষেত্রে বাংলার কথা তুলে ধরে ত্রিপুরাতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ একাধিক তৃণমূল নেতা নেত্রী বিজেপির ওপর চাপ সৃষ্টি করলে বিজেপিও তৃণমূলের বিড়ম্বনা বাড়িয়ে দিতে পারে। যাকে কেন্দ্র করে আবার নতুন করে সরগরম হয়ে উঠবে ত্রিপুরার রাজনীতি। যদিও বা তৃণমূল এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।