সব ঝামেলা মেটাতে অবশেষে মদনকেই বেছে নিয়ে দায়িত্ব দিল তৃণমূল! খুশির হাওয়া অনুগামীদের কলকাতা পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া November 20, 2019 দলের কাউন্সিলরদের তার প্রতি অনাস্থার জেরে প্রবল সমস্যা তৈরি হয়েছিল তৃণমূল পরিচালিত রঘুনাথপুর পৌরসভায়। চেয়ারম্যান ভবেশ চট্টোপাধ্যায়কে তাঁর পদ থেকে সরানোর জন্য নাছোড়বান্দা হয়ে পড়েছিলেন তৃণমূল কাউন্সিলররা। যার পরিপ্রেক্ষিতে গত 7 নভেম্বর শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে পদ থেকে ইস্তফা দেন সেই ভবেশ চট্টোপাধ্যায়। পরবর্তীতে গত 15 নভেম্বর এই রঘুনাথপুর পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তরুণী বাউরির ডাকা বোর্ড অফ কাউন্সিলের বৈঠকে সংখ্যাগরিষ্ঠের ভিত্তিতে সেই ভবেশবাবুর পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়। আর এরপরই নতুন চেয়ারম্যান কে হবে, তা নিয়ে রঘুনাথপুর পৌরসভায় প্রবল জল্পনা সৃষ্টি হয়েছিল। অনেকেই আশাবাদী হয়ে দাবি করতে শুরু করেন, এবার এমন কাউকে চেয়ারম্যান করা উচিত, যাতে পরবর্তীতে সেই চেয়ারম্যানকে নিয়ে কারো কোনো আপত্তি না থাকে। তৃণমূল যাতে কোনো সমস্যায় না পড়ে। অবশেষে নেওয়া হল এই রঘুনাথপুর পৌরসভার নতুন চেয়ারম্যানের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - সূত্রের খবর, মঙ্গলবার কাউন্সিলরদের সমর্থনে রঘুনাথপুর পৌরসভার নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে মনোনীত হলেন মদন বরাট। তবে এদিন অধিকাংশ কাউন্সিলর তাকে সমর্থন করলেও জেলাশাসকের অফিস থেকে শপথবাক্য না আসায় এদিন চেয়ারম্যান পদে শপথ নিতে পারেননি মদনবাবু। যার ফলে বুধবার তিনি সেই শপথ বাক্য পাঠ করে তার চেয়ারে বসবেন বলে খবর। তবে এদিন চেয়ারম্যান নির্বাচনের জন্য 13 জন কাউন্সিলরকে চিঠি দেওয়া হলেও উপস্থিত ছিলেন মোট সাত জন কাউন্সিলর। যেখানে তৃণমূলের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ভবেশ চট্টোপাধ্যায় এবং 5 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শুভঙ্কর করের অনুপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। এছাড়াও বিরোধীদের চারজন কাউন্সিলরের অনুপস্থিত ছিলেন এদিনের বৈঠকে। যা নিয়ে বিভিন্ন মহলে তৈরি হয়েছে গুঞ্জন। কেন তৃণমূলের কাউন্সিলররা এই বৈঠকে অনুপস্থিত থাকলেন! সেই ব্যাপারে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে একাংশ। এদিকে মদন বরাট চেয়ারম্যান হওয়ায় এদিন তাঁর অনুগামীদের মধ্যে প্রবল উচ্ছাস এবং উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে। প্রথম থেকেই এদিন পুরসভার চত্বরে নতুন চেয়ারম্যানের নির্বাচনকে ঘিরে যাতে কোনো অশান্তির সৃষ্টি না হয়, তার জন্য বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। এদিন এই প্রসঙ্গে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট সুদেষ্ণা দে মৈত্র বলেন, “এদিন কেবলমাত্র চেয়ারম্যান নির্বাচনের জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছিল। শপথ বাক্যের কোনো বিষয় উল্লেখ না থাকার জন্য অসুবিধা হয়েছে। পুরসভার কাছে শপথ বাক্যের চিঠির জন্য আবেদন পেয়ে তা জেলায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। বুধবার নতুন চেয়ারম্যানকে শপথ বাক্য পাঠ করিয়ে দায়িত্ব দেওয়া হবে।” এদিকে সবাই না এলেও সংখ্যাগরিষ্ঠ কাউন্সিলর উপস্থিত থাকায় চেয়ারম্যান নির্বাচনে কোনো অসুবিধা হয়নি বলে জানান এই পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তরনী বাউরি। কিন্তু তৃণমূলের প্রাক্তন চেয়ারম্যান হয়ে তিনি কেন এই বৈঠকে উপস্থিত থাকলেন না! এদিন এই প্রসঙ্গে ভবেশ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “পৌরসভায় তৃণমূলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকার জন্য অসুবিধা হবে না জানতে পেরেই পার্টির মিটিং থাকায় কলকাতায় এসেছি। পৌরসভার নতুন চেয়ারম্যানকে শুভেচ্ছা রইল।” এদিকে তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্বের ফলে এক চেয়ারম্যানকে সরিয়ে আরেক চেয়ারম্যান হল। তাই এই সমস্ত ব্যাপারে অনুপস্থিত থাকায় শ্রেয় বলে তৃণমূলকে কটাক্ষ করেছেন এই পৌরসভার সিপিএমের বিরোধী দলনেতা প্রদীপ দাস। তাই বিরোধীরা যে কথাই বলুক না কেন, ভবেশ বাবুর মত সমস্যা যাতে আর এক্ষেত্রে না আসে, তার জন্য এবার ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে মদন বরাটকে বেছে নিয়ে চেয়ারম্যান করল তৃণমূল বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। আপনার মতামত জানান -