এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মদন মিত্র ভয় পেয়েছেন বলেই এবার বিজেপি কর্মীদের ‘স্টিং অপারেশনের’ অভিযোগ এনেছেন : দিলীপ

মদন মিত্র ভয় পেয়েছেন বলেই এবার বিজেপি কর্মীদের ‘স্টিং অপারেশনের’ অভিযোগ এনেছেন : দিলীপ


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –রাজ্যের আগামী ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনের আবহে রাজ্যের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যখন পারস্পরিক সংঘাত বৃদ্ধি পেয়েছে, যখন দলগুলোর মধ্যে মতান্তর, মতভেদ, সংঘর্ষ তীব্র আকার ধারণ করেছে, সেই টানটান উত্তেজনাময় পরিবেশে তৃণমূলের দাপুটে নেতা ও রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্রের উপর গোপনে নজরদারি চালাতে গিয়ে ধরা পড়লো তিন জন যুবক।

জানা গেছে, গতকাল মদন মিত্রের উপরে গোপনে নজরদারি চালাবার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে অঙ্কন দত্ত, সঞ্জয় চক্রবর্তী ও মৃনাল মুখোপাধ্যায়কে। এদের মধ্যে একজন আবার প্রেসিডেন্সি কলেজ পড়ুয়া। ধৃত এই তিনজনই হলেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বেলঘরিয়ার বাসিন্দা। প্রসঙ্গত, বেলঘরিয়া অঞ্চলটি মদন মিত্রের গড় বলেই পরিচিত। গতকাল শুক্রবার দক্ষিণ কলকাতার বালিগঞ্জ প্লেসের অটোমোবাইলের একটি অফিসে এই তিনজনকে দেখা গিয়েছিল। প্রসঙ্গত, এই অফিসটির সঙ্গে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্রের ঘনিষ্ঠ ভাবে যোগাযোগ আছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

স্থানীয় সূত্রের খবর, গতকাল এই অফিসের ভেতরে অত্যন্ত গোপনে প্রবেশ করে প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্রের বেশ কিছু ছবি ও ভিডিও ক্লিপিং তুলতে দেখা যায় ওই তিন আগন্তুক যুবককে। তবে অকস্মাৎ তারা ওই অফিসের নিরাপত্তাকর্মীদের নজরে পরে যান। এরপর সঙ্গে সঙ্গেই তাদের পাকড়াও করা হয়। এরপর তাদের বিরুদ্ধে স্টিং অপারেশন চালাবার অভিযোগ জানিয়ে বালিগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্র। মদন মিত্রের এই অভিযোগের ভিত্তিতেই ওই তিন সন্দেহভজন যুবককে শেষপর্যন্ত গ্রেফতার করে বালিগঞ্জ থানার পুলিশ।

তবে এই তিন যুবক কি কারণে মদন মিত্রের উপর এরকম নজরদারিতে চালিয়েছে, তা তা এখনও স্পষ্ট ভাবে পুলিশ জানতে পারে নি। এ প্রসঙ্গে, পুলিশের তরফ থেকে পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, তাদেরকে এবিষয়ে উপযুক্ত জেরা করার পরেই এই সম্পূর্ণ বিষয়টি পুলিশের কাছে পরিষ্কার হয়ে যাবে। ইতিমধ্যে জড়িতদের মোবাইল আটক করেছে পুলিশ। সেগুলি, পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।

প্রসঙ্গত স্থানীয় সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে, গতকাল মদন মিত্রের উপরে সংগোপনে নজরদারি চালাবার অভিযোগে ধৃত তিন যুবক অংকন দত্ত, সঞ্জয় চক্রবর্তী মৃনাল মুখোপাধ্যায় প্রত্যেকেই স্থানীয় বিজেপি দলের সদস্য। তাই এই নজরদারি মূলক ঘটনার পিছনে রাজনীতির কোনো যোগসূত্র আছে কিনা, তা পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

এদিকে এই নিয়ে মুখ খুলেছেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “মদন মিত্র যদি কোনও অন্যায় কাজ করেন, তাহলে ভয় আছে। আমার কাছে অনেক লোক আসেন, যাঁদের আমি চিনি না। তৃণমূলের এমপি-রা শুদ্ধু ভয়ে লোকের সাথে দেখা করেন না। দেখা করলেও ফোন টোন সব জমা করে দিয়ে যেতে হয়। আমরা জানিনা কেন এর প্রয়োজন হয়। নিশ্চই কিছু অবৈধ কাজ হয়, নাহলে লুকোবার কি আছে? কারো অফিসে কেউ যাবেনা? জনপ্রতিনিধের অফিসে যেতেই পারে , আমার কাছে সব পার্টির লোক আসে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!