এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > রাজ্যে এবার চালু হতে চলেছে ‘মদ্যশ্রী’ পুরস্কার? দাবি হেভিওয়েট নেত্রীর

রাজ্যে এবার চালু হতে চলেছে ‘মদ্যশ্রী’ পুরস্কার? দাবি হেভিওয়েট নেত্রীর


শিলিগুড়িতে আইন অমান্য কর্মসূচিতে যোগ দিয়েই একাধিক ইস্যুকে হাতিয়ার বানিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ শানালেন কংগ্রেসের হেভিওয়েট নেত্রী দীপা দাশমুন্সি। কটাক্ষে জানালেন,এবার রাজ্যসরকার আমজনতাকে ‘মদশ্রী’ পুরস্কার দেবে। প্রসঙ্গত,গতকাল প্রদেশ কংগ্রেসের ডাকে শিলিগুড়িতে আইন অমান্য এবং জেলা ভরো আন্দোলন হয়েছিল।

সেই কর্মসূচিতে দীপা দাশমুন্সি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সৌমেন মিত্র, কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নান ও শঙ্কর মালাকারের মতন বরিষ্ঠ কংগ্রেস নেতারা। রাজ্য এবং কেন্দ্র সরকারের বিভিন্ন জনবিরোধী নীতির প্রতিবাদে মহানন্দা নদীর ব্রিজের নীচ থেকে আড়াই হাজার কংগ্রেস সমর্থকের বিরাট মিছিল বের হয়। মিছিলের জেরে এলাকার বেশ কয়েকটি রাস্তা অবরুদ্ধ অবস্থায় ছিল বেশ কিছুক্ষণ। পরে তাঁরা প্রধাননগর এলাকায় গিয়ে আইন অমান্য কর্মসূচি করেন।

এই আইন অমান্য কর্মসূচির সভামঞ্চ থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে যাবতীয় ক্ষোভ উগড়ে দেন দীপা। দুর্নীতিগ্রস্থ সরকারের প্রকৃত স্বরূপ তুলে ধরতে তিনি বলেন,বাংলায় চাকরি পেতে হলে শাসকদলের নেতা মন্ত্রীদের পকেটপূর্তি করতে হয় এখন। লাখ টাকা দিয়ে সিভিক ভলান্টিয়ারের চাকরি পেয়েছে অনেকে। ৫ লাখ টাকা দিয়ে মিলেছে প্রাইমারি টিচারের চাকরি। এবার নতুন করে নেত্রী ঘোষণা করেছেন, ইনটার্ন করে দেব।

দীপা দাশমুন্সির কথা,ইনটার্ন আসলে কিছুই নয়। নতুন করে তৃনমূল নেতাদের তোলাবাজি করার একটা উপায় মাত্র। আর দিদির এই নতুন ঘোষণায় সবথেকে বেশি খুশি হয়েছেন দিদির অনুচরেরাই অর্থাৎ তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের জন্যে আবার নতুন ব্যবসার সুযোগ করে দিলেন। তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের এখন একটাই শ্লোগান,”টাকা তোলো, চাকরি করে দেব, লোকসভা নির্বাচন পার করে দেব।”

এদিন কংগ্রেসের এই দাপুটে নেত্রী রাজ্যের কর্মসংস্থানে দৈনদশার প্রসঙ্গ তুলে রাজ্যসরকার আক্রমণ করে বলেন,এ রাজ্যের একজন ছাত্রকে তাঁর ভবিষ্যৎ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে হলে সে হকচকিয়ে যায়। সঠিক দিশার অভাব ছাত্রসমাজের অথচ দিদিকে(মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) জিজ্ঞাসা করা হলে দিদি বলেন,”কেন ছাত্র উৎসবে গেছে। একটা যুবক যদি জিজ্ঞাসা করে আমার চাকরি কোথায় ? কেন যুব উৎসব করিয়ে দিয়েছি। এত খেলা, মেলা, কুটির শিল্প হচ্ছে। নতুন করে মদের দোকান দিয়ে দিচ্ছি তোমাদের কাজ নেই?”

এরপর দীপা দাশমুন্সি রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে কটাক্ষ সুর চড়া করে আরো বলেন,কন্যাশ্রী,যুবশ্রীর পর এ রাজ্যে আরো এক নতুন উপাধি যোগ হবে ‘মদশ্রী’। কে কত মদ খেতে পারে তার উপর ভিত্তি করেই এই মদশ্রী যুবসমাজের হাতে তুলে দেবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অভিজ্ঞমহলের মত,গতকাল কংগ্রেসের কর্মসূচি থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধতে রাজ্যের তরুনপ্রজন্মের ভবিষ্যতকেই হাইলাইট করলেন তিনি। সরকারি চাকরি পাওয়া নিয়ে তৃণমূল সরকারের আমলে যে ধরণের ভুরি ভুরি দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসছে সেগুলিকেই ইস্যু করলেন তিনি। তাছাড়া সম্প্রতি যেভাবে দেশি মদের ব্যবসা রমরমিয়ে বাড়ছে তার নেপথ্যেও তৃণমূল কংগ্রেস মদত দিচ্ছে বলে দাবী করলেন তিনি।

বিষমদ কান্ডে যেভাবে গত বছর নিরপরাধ মানুষের প্রাণ গেল তা অত্যন্ত নিন্দনীয় বলেই জানালেন প্রদেশ কংগ্রেসের এই প্রথম সারির নেত্রী। আসলে তৃণমূল সরকার চায় মদের নেশায় যুবসমাজকে বুঁদ করে রেখে তাদের দিশাভ্রষ্ট করে রাখতে। এমনটাই অভিযোগ তুললেন দীপা।

উল্লেখ্য,গতকাল সভামঞ্চ থেকে রাফাল ইস্যু নিয়ে বিজেপি সরকারকে তুলোধনা করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র। বলেন,রাফাল নিয়ে দুর্নীতি করেছেন মোদী। নোটবন্দির আগে কালো টাকা সাদা করার প্রতিশ্রুতি দিলেও সেই কথা রাখতে পারেনি বিজেপি সরকার। এখনো মোদীর কথা মতো আমজনতার অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকেনি।

আসলে মোদী এবং মমতা মানুষের স্বার্থ ভুলে ক্ষমতা আঁকড়ে পড়ে আছেন। আসলে উত্তরবঙ্গে কংগ্রেসের সংগঠন পোক্ত করতে তৃণমূল-বিজেপি যে একই মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ-এই তত্ত্ব আরো একবার প্রমাণ করতে চাইলেন সোমেন মিত্র। এমনটাই অভিমত বিশ্লেষকদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!