প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  করোনা ভাইরাসের কারণে এবার মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি। আর সেই সময় থেকেই নানা মহলের পক্ষ থেকে প্রতিক্রিয়া আসতে শুরু করেছিল। কষ্ট করে হলেও মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা নেওয়া উচিত ছিল বলে দাবি করেছিলেন একাংশ। তবে সরকারের পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষের মতামতকে সামনে নিয়ে এসে এই পরীক্ষার বিপক্ষে সিংহভাগ মানুষ মত দিয়েছেন, তার কথা তুলে ধরে অতীতের নম্বর অনুযায়ী মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের নম্বর দিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আর সেই মতো করেই মঙ্গলবার মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পক্ষ থেকে মাধ্যমিকের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। কিন্তু সেই ফলাফলে দেখা যায়, ছাত্রছাত্রীরা অভূতপূর্ব রেজাল্ট করেছে।

যেখানে এই প্রথম হয়ত বা 697 নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন রাজ্যের প্রায় 79 জন পরীক্ষার্থী। যা দেখে অনেকেই অবাক হয়ে গিয়েছেন। অনেকেই এই ফলাফল নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন ছুড়ে দিয়েছেন‌। তবে এর মাঝেই এই গোটা বিষয় নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে সরকারকে কিছুটা হলেও আক্রমণ করার চেষ্টা করেছিলেন সিপিএমের তরুণ তুর্কি নেতা শতরূপ ঘোষ। কিন্তু মধ্যশিক্ষা পর্ষদ থেকে শুরু করে সরকারকে আক্রমণ করার চেষ্টা করলেও, এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় তাকেই পাল্টা আক্রমণের মুখে পড়তে হল। যেখানে সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে তাদের ফলাফলের কথা তুলে ধরে অনেকেই শতরুপবাবুর এই মন্তব্যকে খন্ডন করে পাল্টা তাকে চাপের মুখে ফেলে দিলেন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সূত্রের খবর, এদিন মাধ্যমিকের ফলাফল বের হতেই নিজের ফেসবুক একাউন্টে একটি বিদ্রুপমূলক মন্তব্য করেন শতরূপ ঘোষ। যেখানে তিনি লেখেন, “একসাথে 79 জন ছায়া প্রকাশনীর মডেল।” আর এরপরই নানা মহলের পক্ষ থেকে তাঁর সেই পোষ্টের কমেন্ট পড়তে শুরু করে। যেখানে অনেকেই বিধানসভা নির্বাচনে তাদের দলের ফলাফলের কথা তুলে ধরে শতরূপ ঘোষকে কটাক্ষ করে লেখেন, “এই বছর ফেলের হার তো তোমাদের এমএলএ সংখ্যার সমান।” অনেকে আবার লেখেন, “আমাদের শতরুপদা যা ভোট পেয়েছিলেন, 79 জনের নম্বর যোগ করলে তার চেয়ে বেশি হবে।”

অনেকে আবার ছাত্রছাত্রীরা ভালো পড়াশোনা করেছে, ফেল করেনি। তাই শতরূপ ঘোষের হিংসা হচ্ছে বলেও এই পোস্টের কমেন্টের মধ্যে দিয়ে সিপিএমের এই তরুণ তুর্কি নেতাকে কটাক্ষ করেছেন। অর্থাৎ শতরুপবাবু নিজের মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ থেকে শুরু করে সরকারকে মাধ্যমিক পরীক্ষার রেজাল্ট নিয়ে কটাক্ষ করার চেষ্টা করলেও, তার দিকে যে পাল্টা কটাক্ষ ধেয়ে এলো, তা বলার অপেক্ষা রাখে না‌।

বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, এইসময় শতরূপ ঘোষ যেভাবে মাধ্যমিক পরীক্ষার রেজাল্ট কি মুখ খুললেন, তাতে তিনি অনেকটাই ব্যাকফুটে পড়ে গেলেন। কেননা ছাত্রছাত্রীরা জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা মন থেকে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে তাদের সেই পরীক্ষা দেওয়া সম্ভব হয়নি। এক্ষেত্রে তাদের উপরে যে কোনো দোষ নেই, তা বলাই যায়। কিন্তু তা সত্ত্বেও নিজের এই পোস্টের মধ্যে দিয়ে এই রেজাল্ট নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন সিপিএমের তরুণ তুর্কি নেতা শতরূপ ঘোষ। তাই তার সেই পোস্টে একের পর এক কমেন্ট সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে তাদের ব্যাপক ভরাডুবিকেই আরও একবার মনে করিয়ে দিল। যা শতরুপবাবু এবং তার দলের ক্ষেত্রে অত্যন্ত চাপের কারণ হয়ে দাঁড়ালো বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।