মধ্যবিত্তের চোখের জল মুছতে পেঁয়াজ নিয়ে বড়সড় সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় সরকারের – জানলে চমকে যাবেন জাতীয় বিশেষ খবর November 22, 2019 পেঁয়াজের দামের ঝাঁঝে নাকের জলে চোখের জলে অবস্থা গোটা দেশের। প্রায় 70 থেকে 80 টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। চলতি বছরে দেশের বিভিন্ন জায়গায় পেঁয়াজের দাম লাগাতার হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর পেঁয়াজের দাম অনেকটাই বেড়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। আর তাতেই সমস্যায় পড়েছেন সাধারণ মানুষ। দামী হয়ে যাওয়া নিত্যপ্রয়োজনীয় পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় নাস্তানাবুদ হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। তাই সাধারণ মানুষের কথা ভেবে পেঁয়াজের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। বিগত কয়েকদিন ধরে রান্নাঘরের নিত্য প্রয়োজনীয় পেঁয়াজের দাম ঊর্ধ্বমুখী হবার ফলে সাধারণ মানুষের বিপত্তি বেড়েছে। অবশেষে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে বিশেষ পদক্ষেপ নিতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। বুধবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে পেঁয়াজের দাম কমানোর জন্য 1.2 লক্ষ টন পিঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দলীয় বৈঠক শেষে এই সিদ্ধান্ত সংবাদ মাধ্যমে জানান কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। এই সিদ্ধান্তের ফলে সাধারণ মানুষের হাতের নাগালে আবার পিঁয়াজ আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও সূত্রের খবর, এর আগে কেন্দ্রীয় খাদ্য সরবরাহ মন্ত্রী রামবিলাস পাসোয়ান পেঁয়াজের দাম কমানোর লক্ষ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা এমএমটিসি কে এক লক্ষ পেঁয়াজ আমদানি করার কথা বলেছিলেন। ইতিমধ্যে বিশ্ববাজার থেকে চার হাজার টন পেঁয়াজ কেনার জন্য দরপত্র দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। পেঁয়াজের দাম কমানোর জন্য সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন আমদানিসহ অন্যান্য বিষয়ে ছাড় দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই সিদ্ধান্তের ফলে সব মহলেই স্বস্তির নিঃশ্বাস। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - পেঁয়াজের দাম ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সময় দাম কমানো নিয়ে চেষ্টা করা হয়েছিল আগেই, কিন্তু সেই চেষ্টা সফল হয়নি। ফলে এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। দেশের রাজধানী দিল্লিতে এই মুহূর্তে পেঁয়াজের দাম 60 টাকা প্রতি কেজি। যা স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি বলে মনে করা হচ্ছে। দেশের অন্যান্য জায়গায় পেঁয়াজের দাম আরো বেশী। ক্রমশই পেঁয়াজের দাম আকাশছোঁয়া হচ্ছে। এর ফলে ক্রেতারা রান্নাঘর থেকে দূরে রাখছেন পেঁয়াজকে। সূত্রের খবর, 2019-20 সালে খরিফ মরসুমে 26% পেঁয়াজের উৎপাদন হ্রাস পেয়ে হয়েছিল 52.6 লাখ। যার প্রভাব পেঁয়াজের দামের ওপর পড়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। 15 ই নভেম্বর পর্যন্ত সারা ভারত জুড়ে পেঁয়াজের দাম ছিল প্রতি কেজি 60.38 টাকা। গত বছরে এই সময়ে পেঁয়াজের দাম ছিল 22.84 টাকা। তুলনা করলে গত বছরের তুলনায় এ বছরে পিঁয়াজের দাম অত্যাধিক বেশি। এই মুহূর্তে পেঁয়াজের দামে লাগাম লাগাতে কেন্দ্রীয় সরকার পেঁয়াজ আমদানির পরিমাণ বাড়ানোর পাশাপাশি পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষিদ্ধকরণ ঘোষণা করেছে। ব্যবসায়ীদের ওপর পেঁয়াজ মজুদ রাখার ওপর সীমাবদ্ধকরণ সহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। লাগাতার হারে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হিসেবে ধরা হয়েছে মহারাষ্ট্র এবং মধ্য প্রদেশের বন্যা পরিস্হিতি। মহারাষ্ট্রকে পেঁয়াজ চাষের রাজ্য হিসেবে ধরা হয়। বন্যার ফলে সেখানে পেঁয়াজ চাষ মার খেয়েছে। আর তার ফলেই পেঁয়াজের দামে ঊর্ধ্বগতি। উৎসবের মরসুম থেকেই এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যে খাবারের দাম বাড়তে শুরু করেছে। মধ্যবিত্তের হেঁসেলে আগুন অবস্থা। সর্বস্তরে পরিস্থিতি সামাল দিতে কেন্দ্রীয় সরকার বর্তমান পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানিয়েছে বাণিজ্যমন্ত্রক। উল্লেখ্য, ক্রমাগত পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির দিকে বেশ কয়েকদিন ধরেই নজর রাখছিল কেন্দ্র। কয়েকদিন আগেও লাগাতার পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল কেন্দ্রের তরফে। এবার সেই আশ্বাসকেই কার্যকর করার লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব থেকে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির ব্যবস্থা নেওয়া হলো বলে জানা গেছে। আপনার মতামত জানান -