এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > মধ্যবিত্তের জন্য খুশির খবর আনল এলআইসি , জেনে নিন

মধ্যবিত্তের জন্য খুশির খবর আনল এলআইসি , জেনে নিন


লাইফ ইন্সুরেন্স কর্পোরেশন বা এলআইসি দেশের বৃহত্তম জীবন বীমা সংস্থা এবং একটি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বীমা গ্রুপ। বিভিন্ন জীবন বীমা পণ্য, যেমন- মেয়াদী বীমা পরিকল্পনা, পেনশন পরিকল্পনা ইত্যাদি বিভিন্ন পরিকল্পনা সরবরাহ করে এলআইসি। পাশাপাশি মানিব্যাক ইন্সিওরেন্স পরিকল্পনাও আছে এলআইসির। এবার মধ্যবিত্তের জন্য খুশির খবর আনলো এলআইসি। সাধারণ বীমার সঙ্গে বিনিয়োগ পরিকল্পনার সংমিশ্রণ ঘটিয়ে একটি নতুন পরিকল্পনা তৈরি করেছে এলআইসি। এটি একটি কুড়ি বছরের মানিব্যাক প্ল‍্যান।

এলআইসির এই পলিসিটির ম্যাচিউরিটির সময়সীমা অনেকটাই কম বলে মনে করা হচ্ছে অন্যান্য পলিসির তুলনায়। কারণ, সাধারণত এলআইসির প্ল্যানগুলির ম্যাচুরিটির সময়সীমা 25 থেকে 30 বছরের মধ‍্যে হয়। সাধারণের জন্য এই পলিসিটি খুবই কার্যকরী বলে মনে করা হচ্ছে। এই পলিসিতে যে কেউ অর্থাৎ 13 থেকে 50 বছরের মধ্যে যেকোন ব‍্যক্তি বিনিয়োগ করতে পারেন।

এলআইসির এই মানিব্যাক প্ল‍্যানে যে কোন ব্যক্তিকে কুড়ি বছরের জন্য কমপক্ষে এক লাখ টাকা দিতেই হবে। তবে লোভনীয় এই পলিসির চমক অন‍্য জায়গায়। নতুন এই পলিসির মেয়াদ যদিও কুড়ি বছর, কিন্তু প্রিমিয়াম জমা দিতে হবে কেবলমাত্র প্রথম পনেরো বছর। হিসাব করলে আখেরে লাভই হচ্ছে। কারণ প্রতি মাসে তাহলে দিতে হচ্ছে পাঁচশো ছাপ্পান্ন টাকা। তাহলে দেখা যাচ্ছে এলআইসির এই নতুন প্ল‍্যানটি তাঁদের অন্যান্য প্ল‍্যানের তুলনায় যথেষ্ট সাশ্রয়ী।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এবার দেখে নেওয়া যাক, এক লাখ টাকা বিনিয়োগের ফলে হাতে কি কি আসছে। প্রথমত, শুধুমাত্র যে নির্দিষ্ট এক লাখ টাকা বিনিয়োগ করতে হবে তার কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। সেক্ষেত্রে ইচ্ছা থাকলে এক লাখের বেশী টাকা বিনিয়োগ করা যেতে পারে। যেহেতু এই পলিসিটি মানিব্যাক ও বিমার সংমিশ্রন, তাই প্রত্যেক 5 বছর অন্তর হাতে টাকা পাবেন বিনিয়োগকারীরা। প্রথম পাঁচ বছর পরে পাওয়া যাবে জমানো টাকার কুড়ি পার্সেন্ট। এরপর আবার 10 বছরের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হলে মানিব্যাক হিসেবে হাতে আসবে জমা টাকার 20%। এবং 15 বছরের পর যে টাকা জমা হবে সেখান থেকেও ফেরত পাওয়া যাবে 20%।

কুড়ি বছর পর যখন প্রিমিয়াম শেষ হবে এবং ম্যাচিওর হয়ে যাবে পলিসি, তখন বিনিয়োগকারী মূল টাকার সাথে 40 শতাংশ অতিরিক্ত টাকা পাবেন। সব মিলিয়ে মনে করা হচ্ছে বিনিয়োগকারীরা বেশ মোটা অংকের টাকাই হাতে পাবেন। অন্যান্য ক্ষেত্রেও সুবিধা দিচ্ছে এই পলিসি। যদি সময়ের আগে বিনিয়োগকারী মারা যান, তাহলে নমিনি যিনি থাকবেন তিনি বিনিয়োগকারীর বিনিয়োগের কিছু অংশ বোনাস হিসেবে অথবা তার বার্ষিক যা জমেছে তার দশগুণ টাকা পাবেন।

সব দিক থেকে দেখতে গেলে এলআইসির বর্তমান পলিসিটি যথেষ্ট লোভনীয় বলে মনে করা হচ্ছে আর্থিক মহলে। তবে আর্থিক মন্দার কারণে বাজারের হাল যথেষ্টই খারাপ। এই অবস্থায় এলআইসির এই দুর্দান্ত মানিব্যাক পলিসিতে কতটা বিনিয়োগ হবে, সে ব্যাপারে যথেষ্ট সন্দিহান অর্থনৈতিক মহল। আপাতত এলআইসি তাদের এই নতুন পলিসি সম্পর্কে পূর্ণমাত্রায় প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। এখন দেখার এলআইসির নতুন পলিসি প্রচার পর্বের পর সাধারণ মানুষ কতটা এগিয়ে আসেন এই পলিসিতে বিনিয়োগ করার জন্য।

 

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!