এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মাধ্যমিকের প্রশ্নফাঁস কাণ্ডে তদন্তে নেমে রীতিমত হিমশিম অবস্থা সিআইডির – জানুন বিস্তারিত

মাধ্যমিকের প্রশ্নফাঁস কাণ্ডে তদন্তে নেমে রীতিমত হিমশিম অবস্থা সিআইডির – জানুন বিস্তারিত


মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হতেই পর পর কয়েকটি বিষয়ের প্রশ্নফাঁসকে কেন্দ্র করে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্যে। প্রশ্ন উঠেছে মাধ্যমিকের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষার পরিকাঠামোয় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে। সমালোচনাও কম হচ্ছে না রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রকের। তদন্তে নেমেও রহস্য উদ্ধার করতে রীতিমতো নাস্তানাবুদ হতে হচ্ছে সিআইডি কর্তাদের।

প্রাথমিক তদন্ত সূত্রে জানা গিয়েছে,পরীক্ষার হল থেকে মাধ্যমিকের প্রশ্ন পাচার করার জন্যে কয়েকটি হোয়াইটঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি হয়েছে। এবং এই চক্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বিভিন্ন জেলায়। এঁদের মদত দিচ্ছে শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মীদের একাংশ। যাঁদের জন্যে পরীক্ষাহলে মোবাইল নিয়ে ঢুকতে পারছে কিছু পরীক্ষার্থীরা। কারা কারা এই দুর্নীতিমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে যুক্ত রয়েছে তাদেরই খোঁজ করছে সিআইডি-র তদন্তকারী অফিসাররা।

সিআইডি সূত্রের খবর,ইতিমধ্যে এই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল সহ বিভিন্ন সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে। এসব ভালো করে খতিয়ে দেখে জানা গিয়েছে উত্তর বাইরে থেকেই পরীক্ষার্থীদের কাছে আসছে। এদের জেরার মারফত সামনে এসেছে বেশ কিছু তথ্য।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

রাজ্যের প্রায় সমস্ত জেলাতেই গোটা প্রশ্ন পাচার চক্রটি ছড়িয়ে রয়েছে। এবং এই পাচারচক্রকে সক্রিয় ভাবে মদত দিচ্ছে পরীক্ষার হলের বেশি কিছু শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মীরা। লুকিয়ে মোবাইল নিয়ে ঢুকতে সাহায্য করছে তারা। তাই তদন্তে নেমে প্রথমে কোন কোন জেলা থেকে,বিশেষত কোন কোন পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে প্রশ্ন পাচার হয়েছে তার একটি তালিকা তৈরি করছে সিআইডি আধিকারিকরা।

পাশাপাশি শিক্ষা দপ্তর থেকে মোবাইল সংক্রান্ত কী নির্দেশিকা ছিল সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তকারী অফিসারদের দাবী,সমস্ত পরীক্ষার হল থেকেই প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে এমনটা নয়। কিন্তু যেসব পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে প্রশ্ন বেরোয়নি,সেখানের পরীক্ষার্থীদের কাছেও প্রশ্নের উত্তর গিয়েছে। আর এই যাবতীয় কাণ্ডটি হয়েছে হোয়াইটস অ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে। তাই প্রতিটি জেলায় এই কাজের মদত দেওয়া কটি হোয়াইট অ্যাপ গ্রুপ তৈরি হয়েছে,তাদের অ্যাডমিন কে বা কারা,সেই গ্রুপে কতজন মেম্বার রয়েছে এই সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য জোগাড় করতে তদন্তে নেমে পড়েছে সিআইডিরা।

একটি গ্রুপে যে ৪০ থেকে ৫০ জন মেম্বার রয়েছে সেই তথ্য হাতে এসেছে তাঁদের। তবে যেভাবে বিভিন্ন জেলায় এই পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে তাতে বিভিন্ন হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ এই কাজের জন্যে তৈরি করা হয়েছে বলেই মনে করছেন রাজ্যের তদন্তকারী অফিসাররা। বর্তমানে তদন্ত নেমে হিমশিম খেলেও অবিলম্বে দুর্নীতিবাজদের সামনে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সিআইডি কর্তারা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!