এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > মাধ্যমিকের মূল্যায়ন করতে গিয়ে নাজেহাল অবস্থা পর্ষদের, স্কুলগুলির পাঠানো নম্বরে বারবার ভুলভ্রান্তিতে ঘুম ছুটছে পর্ষদের

মাধ্যমিকের মূল্যায়ন করতে গিয়ে নাজেহাল অবস্থা পর্ষদের, স্কুলগুলির পাঠানো নম্বরে বারবার ভুলভ্রান্তিতে ঘুম ছুটছে পর্ষদের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনা সংক্রমনের কারণে মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা এ বছরের জন্য বাতিল হয়েছে। এরপর মাধ্যমিকের মূল্যায়ন করতে, গত ২২ থেকে ২৪ সে জুনের মধ্যে পরীক্ষার্থীদের নবম শ্রেণীর নম্বর পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছিল মধ্যশিক্ষা পরিষদের পক্ষ থেকে। নবম শ্রেণির পরীক্ষার তিনটি সামেটিভ পরীক্ষার নম্বরের গড় করে, একশোর মধ্যে পরীক্ষার্থীরা কত নাম্বার পেয়েছে? তার তথ্য পর্ষদকে জানাবার নির্দেশ দেয়া হয়।

এরপর কিছু স্কুলের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, ওয়েবসাইটে সমস্যা থাকার কারণে নম্বর পাঠাতে সমস্যা হচ্ছে। এরপর সময় আরও সময় বাড়িয়ে দেয় মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। কিন্তু, এরপরও কিছু স্কুলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, তাড়াতাড়ি নম্বর পাঠাতে গিয়ে অনেক ক্ষেত্রে ভুল নম্বর চলে গেছে। কোন ক্ষেত্রে নম্বর কমানো দরকার, আবার কোন ক্ষেত্রে নম্বর বাড়ানো দরকার, নম্বর বাড়ানোর জন্য স্কুলের উপর চাপ দেয়া হচ্ছে।

তবে, এ প্রসঙ্গে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে, স্কুলগুলির আবেদনের ভিত্তি অনুযায়ী নতুন করে ৬২৩ টি বিদ্যালয়কে নম্বর সংশোধনীর সময় দেয়া হয়েছে। কিন্তু এর পরও বহু স্কুলের পক্ষ থেকে আবেদন করা হচ্ছে যে, তারা পড়ুয়াদের নম্বর পাঠানোতে ভুলত্রুটি করেছে। বেশ কিছু স্কুলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কম নম্বর তারা পাঠিয়েছে। নম্বর বাড়ানো দরকার। এই স্কুলগুলোকে ফল প্রকাশের পর নথি সহ পর্ষদের সঙ্গে যোগাযোগ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন যে, নবম শ্রেণির সামেটিভ পরীক্ষার মূল্যায়নে যদি কোন ভুল থাকে, তবে ফল প্রকাশের পর নথি সহ স্কুটিনির আবেদন জানাতে হবে। তবে, এ প্রসঙ্গে প্রধান শিক্ষকদের এক সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, রবিবারের দিনেও তাঁরা কাজ করেছেন। তাদের কাছে ডেটা এন্ট্রি অপারেটর নেই। কিছু স্কুল যদি ভুল করে থাকে, তবে ছাত্র-ছাত্রীদের কথা বিবেচনা করে ফল প্রকাশের আগে স্কুটিনির সুযোগ দেয়া উচিত।

তবে, স্কুলগুলির এই সমস্ত দাবির প্রেক্ষিতে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, গতকাল রবিবার সকাল ১১ টা থেকে শুরু করে আজ সোমবার সকাল ১১ টার মধ্যে নম্বর পাঠিয়ে দিতে হবে। যদি ভুল থাকে নম্বরে, তবে এই সময়ের মধ্যেই ভুল শুধরে নিতে হবে। কিন্তু, এই একদিন সময় এর মধ্যেই সমস্ত ভুল শুধরে নেওয়ার আদৌ সম্ভব কিনা? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে একাধিক স্কুল। অনেকে অভিযোগ করেছেন, স্কুলের উপর নাম্বার বাড়াবার চাপ আসছে অভিভাবকদের পক্ষ থেকে। অনেকের অভিযোগ, সময় বাঁচাতে বেশিরভাগ কাজ স্কুলের উপর চাপিয়ে দিয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ, যার ফলে নাভিশ্বাস অবস্থা স্কুলগুলির।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!