এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > মহারাষ্ট্র নিয়ে বড়সড় ঘোষণা অমিত শাহের

মহারাষ্ট্র নিয়ে বড়সড় ঘোষণা অমিত শাহের


দীপাবলীর আগেই প্রায় গোটা দেশ নির্বাচনের আবহে। কোন রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন তো কোথাও উপনির্বাচন‌। লোকসভা নির্বাচন শেষ হওয়ার পরেই মহারাষ্ট্র, হরিয়ানাতে বিধানসভার নির্বাচন হতে চলেছে আগামী 21 অক্টোবর। এর পাশাপাশি হবে বিধানসভা উপনির্বাচন। বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে লোকসভা নির্বাচনের পরেই বিজেপি তাদের নির্বাচনী প্রচার শুরু করে দিয়েছে। ইতিমধ্যে মহারাষ্ট্র নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জয়ের ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন।

মহারাষ্ট্রে ইতিমধ্যেই জয়ের ছবি দেখতে পাচ্ছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। তিনি জানান, আসন্ন নির্বাচনে এনডিএ জোট মহারাষ্ট্রের দুই-তৃতীয়াংশ আসন পাবে। অন্যদিকে, তিনি আরও বলেন বিজেপি মহারাষ্ট্রে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে। এই প্রসঙ্গে রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঘুরিয়ে শিবসেনাকেই এই বার্তা দিলেন।

এদিন সংবাদমাধ্যমকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছেন, মহারাষ্ট্রের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বিজয়ী এনডিএ জোটই হবে। তবে এই মুহূর্তে বিজেপির আসন সংখ্যা নির্দিষ্টভাবে বলা না যেতে পারলেও এটুকু বলা যেতেই পারে যে, বিজেপির আসন সংখ্যা আগের বারের থেকে বহুল পরিমাণে বাড়বে।

উল্লেখ্য 2014 সালে বিধানসভা নির্বাচনে মহারাষ্ট্রে বিজেপি ও শিবসেনা আলাদা আলাদা ভাবে লড়াই করেছিল‌ কংগ্রেস এবং এনসিপি জোটের বিরুদ্ধে। সেখানে 122 টি আসন পেয়েছিল বিজেপি, আর শিবসেনা পেয়েছিল 63 আসন। নির্বাচন পর্বের শেষে দেবেন্দ্র ফড়নবিশ সরকার গঠন করলে সেই সরকারে যোগ দেয় শিবসেনা।

মহারাষ্ট্রে এবারের নির্বাচনে বিজেপি সিনিয়ার পার্টনার হিসেবে লড়াই করছে। সাংবাদিকরা অমিত শাহকে প্রশ্ন করেন, মহারাষ্ট্রে 164 টি আসনের লড়াইয়ে বিজেপি কি প্রয়োজনীয় আসন পাবে সরকার গড়ার জন্য? উত্তরে অমিত শাহ একটাই কথা বলেছেন, কোন কিছুই অসম্ভব নয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, শিবসেনা বাহিনী ইতিমধ্যে মহারাষ্ট্রে জোট সরকার জিতলে উপ মুখ্যমন্ত্রীর পদের দাবিদার হিসেবে নিজেদের রেখেছে। এ প্রসঙ্গে বিজেপি সভাপতি জানান, যদি সহযোগীকে এই পদ দিতে হয়, তাহলে বিজেপি দল খোলামনে তা বিচার করে তবে সিদ্ধান্ত নেবে।

একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, মহারাষ্ট্রে এনডিএ জোট যদি আবারও ক্ষমতায় আসে তাহলে দেবেন্দ্র ফড়নবিশই আবারও মুখ্যমন্ত্রীর পদে আসীন হবেন। এদিন অমিত শাহ দাবি করেন, মহারাষ্ট্রের জনগণ বিজেপির সাথে সব সময় আছে। বিজেপি ও শিবসেনা সরকারের উন্নয়নমূলক কাজের জন্য সবসময় মহারাষ্ট্রের জনগণের কাছ থেকে সমর্থন পেয়েছেন তাঁরা।

অমিত শাহ এদিন জানান, মহারাষ্ট্রে বিজেপির যাত্রা সব থেকে সফল এবং আকর্ষণীয়। 2014 সালে বিজেপি একা লড়াই করে মহারাষ্ট্রের সবথেকে বড় দল হয়েছিল। এরপর শিবসেনার সঙ্গে বিজেপি সরকার গঠন করে গত পাঁচ বছরের শাসনে মহারাষ্ট্র কৃষি, বিনিয়োগ, শিল্পে 1 থেকে 5 এর মধ্যে রয়েছে বলেও জানান তিনি।

অমিত শাহ আরো বলেন, আগের কেন্দ্রীয় সরকার মহারাষ্ট্রে পাঁচ বছরে 122 লক্ষ কোটি টাকা দিয়েছিল। আর বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার তার তিনগুণ টাকা মহারাষ্ট্রকে দিয়েছে উন্নয়নের স্বার্থে। অমিত শাহ দাবি করেন, বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার মহারাষ্ট্রের জন্য 4.78 কোটি টাকা দিয়েছে।

মহারাষ্ট্রে নির্বাচন নিয়ে অবশ্য জলঘোলা কম হয়নি। নির্বাচনের আগে পর্যন্ত বিজেপি শিবসেনা জোট হবে কিনা সে নিয়ে যথেষ্ট বিতর্কের সূত্রপাত হয়েছিল। মহারাষ্ট্রের বিধানসভা ভোট নিয়ে অনিশ্চয়তার শুরু হয়েছিল আসন সমঝোতা নিয়ে। এমনকি শিবসেনার সাংসদ সঞ্জয় রাউত স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছিলেন, বিজেপির সাথে জোট ভাঙলে তাঁদের কোন অসুবিধা হবেনা।

\তবে সব জল্পনাকে দূর করে মহারাষ্ট্রে আসন দখলের লক্ষ্যে বিজেপি ও শিবসেনা জোটবদ্ধ হয়ে লড়াইতে নামছে। আসন সমঝোতা নিয়ে শিবসেনার সাথে যে দূরত্ব বেড়েছিল বিজেপির, তা নিজেদের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে দূরীভূত হয়েছে‌। আপাতত একুশে অক্টোবর মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচন। আর সেদিকেই দেশের রাজনৈতিক মহল লক্ষ্য রেখেছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!