এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > মহারাষ্ট্রে বিজেপি-শিবসেনা টানাপোড়েন বন্ধে এবার ‘সমাধান’ দিলেন মহারাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

মহারাষ্ট্রে বিজেপি-শিবসেনা টানাপোড়েন বন্ধে এবার ‘সমাধান’ দিলেন মহারাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী


সদ্য দেশের মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচনের শেষে ফলাফল প্রকাশের পর দেখা যাচ্ছে মহারাষ্ট্রে ঝুলে রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর আসন। কারণ বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করতে পারেনি। শিবসেনার সাথে জোট বেধে তারা এই লড়াইতে নেমেছিল। আর জোটবদ্ধভাবে তাঁরা সংখ্যাগরিষ্ঠ ম্যাজিক সংখ্যাটি পেরিয়েছে।

কিন্তু এবার মুশকিল দেখা দিয়েছে অন্য জায়গায়। নির্বাচনের ফল ঘোষণার সাথে সাথেই শিবসেনা মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবি নিয়ে অনড় হয়ে রয়েছে। তবে আশঙ্কা আগেই ছিল। কারণ ভোটের আগেই শিবসেনা তাঁদের ফিফটি-ফিফটি শর্তের দাবি রেখেছিল বিজেপির কাছে। ভোটের শেষ। এবার তাঁরা তাঁদের দাবি নিয়ে মুখর হয়েছে। তবে এবার মুখ্যমন্ত্রী সংকট কাটাতে উদ্যোগ নিয়েছেন মহারাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামদাস আটাওয়ালে।

মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে লড়াই যখন তুঙ্গে, তখন সমস্যা সমাধানের উদ্যোগী হলেন বিজেপির পক্ষ থেকে মহারাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামদাস আটাওয়ালে। তিনি রবিবার শিবসেনার উদ্দেশ্যে বলেছেন, আদিত্য ঠাকরেকে যদি উপরাষ্ট্রপতিপদ দেওয়া হয়, তাহলে আর কোন সমস্যাই হবে না। তিনি আরও জানিয়েছেন, বিজেপি কখনোই আড়াই বছর পরে শিবসেনার হাতে রাজ্যের ক্ষমতা ছেড়ে দেবে না।

মুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে বিতর্কটি আগেই ছিল। তবে এদিন সামনাসামনি আলোচনা শুরু হয় শুক্রবার আদিত্য ঠাকুরের নির্বাচনী এলাকায় একটি পোস্টার কে ঘিরে। সেই পোস্টারে আদিত্য ঠাকরেকে ভবিষ্যতের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নির্দিষ্ট করা হয়। অন্যদিকে ঠাকরেদের বাসভবনের বাইরেও এরকমই একটি পোস্টার চোখে পড়েছিল।

উল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটেছে শনিবার। কারণ এদিন শিবসেনার পক্ষ থেকে বিজেপির কাছে ফিফটি-ফিফটি ফর্মুলার একটি লিখিত প্রতিশ্রুতি দাবি করা হয়। যার মধ্যে রয়েছে দুই শরিকের আড়াই বছর করে মুখ্যমন্ত্রীত্ব।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন শিবসেনা পক্ষ থেকে থানের বিধায়ক প্রতাপ সারনায়েক বলেছেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ নির্বাচনের আগে শিবসেনার ফিফটি-ফিফটি ফর্মুলায় রাজি হয়েছিলেন। এবার বিজেপি থেকে লিখিত প্রতিশ্রুতি আদায় এর পালা। এরই মধ্যে সঞ্জয় রাউত আবারও হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, মহারাষ্ট্রের ক্ষমতার রিমোট কন্ট্রোল তাঁদের অর্থাৎ শিবসেনার হাতে। তবে সূত্রের খবর, বিজেপিও আস্তে আস্তে নিজেদের মাটি শক্ত করছে। কারণ ইতিমধ্যে নির্দল প্রার্থী গীতা জৈন বিজেপির দিকে সমর্থনের হাত বাড়িয়েছেন।

ফলে জোট করেও ভোট লড়ে শুধুমাত্র সংখ্যাগরিষ্ঠতার কারণে মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন এ নিয়ে দোলাচল শুরু হয়েছে মহারাষ্ট্রে। সুতরাং বলা যায়, মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক সমীকরণ এখনো পর্যন্ত স্পষ্ট নয়। যদিও এ নিয়ে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, ফিফটি ফিফটি শর্তে যদি মহারাষ্ট্রের সরকার গড়াও হয়, তাহলে রাজ্যবাসীর কাছে তা চরম অসুবিধাজনক হয়ে যেতে পারে। অন্যদিকে রাজনৈতিক মহল থেকে প্রশ্ন উঠেছে বিজেপির সাংগঠনিক দক্ষতা নিয়ে।

কারণ বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় এই প্রশ্ন উঠেছে। তবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী বিজেপি সিদ্ধান্ত নেবে? নাকি শিবসেনার দাবি মেনে নেবে ? এ নিয়ে এখন জোর সমালোচনা মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক মহলে। আপাতত মহারাষ্ট্রের সমীকরণ কোন দিকে এগোতে চলেছে, সে দিকেই লক্ষ্য রাখবে রাজনৈতিক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!