এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > মহারাষ্ট্রে ফের বড়সড় নাটক, পদ খোয়ালেন নেতা, জেনে নিন বিস্তারিত

মহারাষ্ট্রে ফের বড়সড় নাটক, পদ খোয়ালেন নেতা, জেনে নিন বিস্তারিত

 

দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর অবশেষে শনিবার সকালে মহারাষ্ট্রে সরকার গড়ল ভারতীয় জনতা পার্টি। মন্ত্রীত্বের ব্যাপারে ফিফটি- ফিফটি ফর্মুলা দিয়ে প্রথমেই বিজেপিকে চাপে ফেলে দেয় শিবসেনা। তাই প্রথম থেকে শিবসেনার সঙ্গে বিজেপির জোটে এখানকার সরকার হবে বলে মনে করা হলেও পরবর্তীতে সেই জোট ভেস্তে যায়। আর এরপরই বেশ কিছুদিন ধরে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হওয়া মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন করতে উদ্যোগী হয় শিবসেনা, কংগ্রেস এবং এনসিপি জোট।

তবে এহেন একটা পরিস্থিতিতে শনিবার সকালে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়নবিশ এবং উপ মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন এনসিপির অজিত পাওয়ার। আর এরপরই সেই অজিত পাওয়ারের ভূমিকা নিয়ে উঠতে শুরু করে প্রশ্ন। যেখানে এনসিপি’র শরদ পাওয়ার বিজেপির বিরুদ্ধে জোট করতে কংগ্রেসের সঙ্গে কথা চালাচ্ছেন, ঠিক তখনই অজিত পাওয়ার কেন বিজেপিকে সমর্থন দিলেন! তা নিয়ে নানা মহলে উঠতে শুরু করে প্রশ্ন।

এদিকে অজিতবাবুর এই আচরণ যে তার দিকে সন্দেহবশত ধেয়ে আসতে পারে, তা আঁচ করেছিলেন এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ার। আর তাইতো সরকার গড়ার পরবর্তীতে তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, এটা অজিত পাওয়ারের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। এর সঙ্গে এনসিপি দলের কোনো যোগ নেই। কিন্তু যেখানে এনসিপি দলের প্রধান শরদ পাওয়ার, সেখানে কিভাবে অজিত পাওয়ার এই কাজ করার সিদ্ধান্ত নিলেন!

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অনেকেই দাবি করেছিলেন, যখন অজিত পাওয়ার দলের বিরুদ্ধে গিয়ে কাজ করছেন, তখন কেন তার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিল না এনসিপি! আর বিভিন্ন মহলে যখন এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, ঠিক তখনই সেই অজিত পাওয়ারের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিলেন এনসিপি প্রধান শারদ পাওয়ার।

সূত্রের খবর, এদিন মুম্বইয়ে এনসীপি পরিষদীয় দলের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। আর তাতেই অজিত পাওয়ারকে সরিয়ে দলের পরিষদীয় নেতার দায়িত্ব দেওয়া হয় দিলীপ পাতিলকে। অন্যদিকে কিভাবে ভোরবেলা রাজ্যপাল এইভাবে সরকার গঠন করে দিলেন! তা নিয়েও এখন প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিরোধীরা।

সূত্রের খবর, মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল ভগৎ সিংহ কেশিয়াড়ির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে আবেদন জানাতে পারেন শরদ পাওয়াররা। আগামী 24 ঘণ্টার মধ্যে দেবেন্দ্র ফড়নবিশের সরকারকে বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের দাবি জানাতে পারে কংগ্রেস, এনসিপি এবং শিবসেনা জোটের নেতারা। আর যদি এই ঘটনা সত্যি হয়, তাহলে মহারাষ্ট্রে যে ফের ঘোরালো পরিস্থিতি তৈরি হতে চলেছে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত প্রায় প্রতিটি মহল। এখন গোটা পরিস্থিতি ঠিক কোন দিকে মোড় নেয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!