এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মমতার অনুমতি নেই বলেই কি শ্রমিকদের পায়ে হেঁটে ফিরতে হচ্ছে? জল্পনা বাড়ালেন হেভিওয়েট নেতা!

মমতার অনুমতি নেই বলেই কি শ্রমিকদের পায়ে হেঁটে ফিরতে হচ্ছে? জল্পনা বাড়ালেন হেভিওয়েট নেতা!

করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় এখন পশ্চিমবঙ্গের দিকে নজর প্রত্যেকের। একদিকে কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের দ্বৈরথ। আর সেই দ্বৈরথের কারণ নিয়ে এখন জমজমাট হয়ে উঠেছে বঙ্গ রাজনীতি। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ নবান্নে চিঠি পাঠিয়ে জানিয়েছেন যে, রাজ্য সরকার পরিযায়ী শ্রমিকর আনার ব্যাপারে কেন্দ্রের কাছে কোনো ট্রেনের দাবি করছে না। যার ফলে সেই পরিযায়ী শ্রমিকদের সমস্যা তৈরি হচ্ছে।

আর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এই কথা বলার সাথে সাথেই তার চরম বিরোধিতা করেছে রাজ্যের শাসকদলের হেভিওয়েট নেতারা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মিথ্যে কথা বলছেন বলে দাবি করেছেন তৃণমূলের নেতা, নেত্রীরা। আর এমত পরিস্থিতিতে যখন রাজ্য বনাম কেন্দ্রের সংঘাত চরমে, ঠিক তখনই মহারাষ্ট্র থেকে বাঙালি শ্রমিকদের পশ্চিমবঙ্গে ফেরা নিয়ে ভিডিও বার্তায় টুইট করলেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ।

যেখানে পরোক্ষভাবে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়ী করে তিনি লেখেন, “দিদি দয়া করে দ্রুত অনুমতি নিন, যাতে অভিবাসী শ্রমিকরা পায়ে হেঁটে ফিরতে বাধ্য না হন।” শুধু তাই নয়, ইতিমধ্যেই এনসিপি প্রধান শারদ পাওয়ার এই ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আবেদন করেছেন বলে জানা গেছে। যেখানে তিনি বলেন, “শ্রমিকদের ফেরাতে চাইছে বা সেখানকার মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে যেন প্রধানমন্ত্রী নিজে কথা বলেন। নইলে শ্রমিকদের দুর্ভোগ ক্রমেই বাড়ছে।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

শ্রমিক নেতা হিসাবে পরিচিত শরদ পাওয়ার আরও জানিয়েছেন, “যেহুতু শ্রমিকদের কাজ নেই বা তাদের বিকল্প কাজ সেখানে দিতে পারছে না বা সরকারকে উল্টে তাদের ভরণ-পোষণের ভার নিতে হচ্ছে, সেই কারণে মহারাষ্ট্র চাইছে পরিযায়ী শ্রমিকরা তাদের নিজ নিজ রাজ্যে ফিরে গেলেই ভালো। শ্রমিকরাও চাইছেন ফিরতে। বিশেষ করে মহারাষ্ট্র, গুজরাট থেকে বাংলার শ্রমিকরা ফেরার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।”

আর মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শরদ পাওয়ারও পরিযায়ী শ্রমিকদের নিজ রাজ্যে ফিরিয়ে দেওয়া নিয়ে প্রধানমন্ত্রী রাজ্যগুলির সাথে কথা বলুন বলে জানানোয় এখন তীব্র গুঞ্জন তৈরি হয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত শনিবার রাত নয়টার সময় রেলের পক্ষ থেকে একটি ট্যুইট করে জানানো হয় যে, মহারাষ্ট্রে থেকে কোনো ট্রেন ঢুকতে দিতে রাজি হচ্ছে না পশ্চিমবঙ্গের সরকার। আর তখন থেকেই তৈরি হয় জটিলতা। কেন শ্রমিকদের রাজ্যে ফেরত আনার ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না তৃণমূল সরকার, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন একাংশ।

যদিও বা পরবর্তীতে রেলের পক্ষ থেকে করা ট্যুইট একদম ভিত্তিহীন বলে দাবি করে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। কিন্তু বাংলার সরকার এই ব্যাপারে নিজেদের বক্তব্য প্রদান করলেও, যেভাবে মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশ গোটা বিষয়টি নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিলেন, তাতে তৃণমূল এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের চাপ অনেকটাই বাড়বে বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। তৃণমূল সরকার এখন পাল্টা কি প্রতিক্রিয়া দেয় সেদিকেই আপাতত নজর সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!