পদ দেখাচ্ছে মহারাষ্ট্র থেকে ঝাড়খন্ড! বিজেপির ঘুম ওড়াতে রাজ্যের বাইরে মহা-পরিকল্পনায় তৃণমূল কলকাতা জাতীয় রাজ্য November 14, 2019 2014 সালের পর 2019 সালে সারা দেশজুড়ে বয়ে গিয়েছে মোদি ঝড়। 2019 সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষে মহাজোট তৈরি করার কথা শোনা গেলেও নির্বাচনী ফলাফলে সেই মহাজোট কার্যত অস্তাচলে চলে গেছে। তৃণমূল প্রভাবিত পশ্চিমবঙ্গেও দাগ কেটে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে 22 টির বেশি আসন পেরোতে দেয়নি ভারতীয় জনতা পার্টি। আর যত দিন যাচ্ছে, ততই যখন পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি তাদের প্রভাব বাড়াতে শুরু করেছে, ঠিক তখনই অন্যান্য রাজ্যে বিজেপির ভাঙ্গন তৃণমূলকে যেন বাড়তি অক্সিজেন যোগাচ্ছে। বস্তুত, মহারাষ্ট্র সরকার গড়া নিয়ে নাটকীয়তা থেকে শুরু করে ঝাড়খণ্ডের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির চিন্তা অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছে লোক জনশক্তি পার্টি। আর এই পরিস্থিতিতে পশ্চিমবাংলার বাইরে বেরিয়ে নিজেদের বিস্তার ঘটাতে এবং বিজেপিরকে চাপে রাখতে মহাকৌশল নিল তৃণমূল কংগ্রেস। সূত্রের খবর, ঝাড়খণ্ডের বাঙালি ভোটব্যাংককে নিজেদের দিকে আনতে এবার সেখানকার বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী দিতে পারে ঘাসফুল শিবির। জানা গেছে, পাঁচ দফার বিধানসভা নির্বাচনে প্রথম দফায় যে 33 টি আসনে নির্বাচন সংঘটিত হবে, তার মধ্যে সাতটি আসনে প্রার্থী দেবে তৃণমূল। তবে তারা কি একাই লড়বে! নাকি বিজেপি চাপ বাড়াতে অন্য কোনো দলের সঙ্গে জোট করবে! অনেকে বলছেন, এখনও এই ব্যাপারে পাকাপাকি কোনো সিদ্ধান্ত না হলেও ঝাড়খণ্ডের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী ঝাড়খণ্ড বিকাশ মোর্চার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বাবুলাল মারান্ডির সঙ্গে জোটের ব্যাপারে কথা বলতে পারে তৃনমূল কংগ্রেস। তবে এই ঝাড়খন্ড বিধানসভা নির্বাচনের লড়ার জন্য অনেক আগে থেকেই নিজেদের প্রস্তুতি শুরু করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। মন্ত্রিসভার সদস্য মলয় ঘটককে ঝাড়খন্ডের পরিদর্শক করে সেখানে লড়াইয়ের প্রস্তুতি শুরু করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - , এই ঝাড়খন্ডে কিছু বাঙালি মানুষ রয়েছেন। ফলে সেই মানুষদের রায়ে যদি তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থন পায়, তাহলে আগামী 2021 এ বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের আগে তাদের কাছে তা অ্যাসিড টেস্ট হয়ে যাবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। আর তাই সেদিক থেকে নতুন হলেও এই ঝাড়খন্ডে প্রার্থী দিয়ে এবার নিজেদের সমর্থন বুঝে নিতে চাইছে রাজ্যের শাসক দল বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের। এদিন এই প্রসঙ্গে ঝাড়খণ্ডের তৃণমূলের পর্যবেক্ষক তথা বাংলার মন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন, “আমরা প্রথম দুদফায় 33 টি আসনের মধ্যে সাতটি আসনে প্রার্থী দিচ্ছি। এখনও পর্যন্ত কোনো দলের সঙ্গে জোটের ব্যাপারে চূড়ান্ত কথা না হলেও বাবুলাল মারান্ডির সঙ্গে দলের কথা হচ্ছে।” তবে ঝাড়খণ্ডে তৃণমূল প্রার্থী দেওয়াতে পাল্টা তাদের কটাক্ষ করেছে গেরুয়া শিবির। এদিন এই প্রসঙ্গে বাংলার মহিলা মোর্চার রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, “তৃণমূল দিবাস্বপ্ন দেখছে। বাইরে রাজ্য তো বাদই দিন, নিজের রাজ্যে দোকানপাট বন্ধ হচ্ছে। ওরা সব জায়গায় বাঙালি-অবাঙালি বিভাজন করার চেষ্টা করছে। ঝাড়খণ্ডের মানুষ তার উপযুক্ত জবাব দেবেন।” তবে লকেটদেবী যে কথাই বলুন না কেন, যদি ঝাড়খন্ডে বাবুলাল মারান্ডির সঙ্গে জোট করে তৃণমূল সাফল্য পায়, তাহলে তা বিজেপির কাছে অত্যন্ত চাপের হবে। আর তাই এখন প্রার্থী বাছাই থেকে রণকৌশলে তৃণমূল ঠিক কি সিদ্ধান্ত নেয়, সেদিকেই তাকিয়ে গোটা রাজনৈতিক মহল। আপনার মতামত জানান -