মহারাষ্ট্রে কি ভাঙতে চলেছে জোট সরকার! মুচকি হাসি বিজেপির মুখে জাতীয় January 1, 2020 মহারাষ্ট্রে এবারও ক্ষমতা দখল করতে চেয়েছিল ভারতীয় জনতা পার্টি। কিন্তু শরিক শিবসেনার সঙ্গে মতানৈক্যের জেরে ফিফটি-ফিফটি মন্ত্রিত্বের ফর্মুলা না মেলায়, অবশেষে সরকার গঠন করার স্বপ্ন পূরণ হয়নি গেরুয়া শিবিরের। যার ফলে এনসিপি, শিবসেনা এবং কংগ্রেস জোট বিজেপিকে অস্বস্তিতে ফেলে মহারাষ্ট্রে গঠন করেছে জোট সরকার। তবে প্রথম থেকেই বিজেপি সেই জোট সরকারের অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছিল। অবশেষে কি এবার তাহলে বিজেপির স্বপ্নই পূরণ হতে চলেছে! কিন্তু এমন প্রশ্ন উঠছে কেন! জানা গেছে, মহারাষ্ট্রের জোট সরকারের মধ্যে এবার শুরু হয়েছে প্রবল গন্ডগোল। মন্ত্রিত্ব না পেয়ে ইতিমধ্যেই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছেন কংগ্রেসের বেশ কয়েকজন নেতা। শরিক শিবসেনার দাপটে মন্ত্রিত্ব পাওয়া থেকে বঞ্চিত হলেন, মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন কংগ্রেসি মুখ্যমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ চৌহান এবং দলিত নেতার সুশীলকুমার শিন্ডের মেয়ে। আর এর ফলে রীতিমতো শিবসেনার ওপর ক্ষুব্ধ হয়েছেন কংগ্রেসের 6 বিধায়ক। যার ফলে দলের বিধায়কদের ডেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার উদ্যোগ নিতে দেখা গেল কংগ্রেসের সোনিয়া গান্ধীকে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিকে জোট সরকারের এহেন দশা দেখে এখন বেজায় খুশি মহারাষ্ট্রের এককালের শাসক দল তথা এখনকার বিরোধী দল ভারতীয় জনতা পার্টি। জোট সরকারের দ্বন্দ্বের ফলে ক্ষমতা দখল করতে তাদের আর অসুবিধা হবে না বলেই মনে করছে বিজেপির একাংশ। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত সোমবার মহারাষ্ট্রের মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের পর 36 জন বিধায়ককে মন্ত্রিসভায় নিয়ে আসেন শিবসেনার মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। তবে সেই মন্ত্রিসভায় কংগ্রেসের হেভিওয়েট নেতারা স্থান না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে যান অনেক কংগ্রেস নেতা। যার ফলে মহারাষ্ট্রের জোট সরকার ভাঙতে পারে বলে মনে করেছিলেন একাংশ। তবে এবার পরিস্থিতি বেগতিক দেখে সেই সমস্ত বিদ্রোহী বিধায়কদের নিয়ে বৈঠক করে তাদের অভিমান ঘোচানোর চেষ্টা করলেন কংগ্রেসের সোনিয়া গান্ধী। কিন্তু জোট সরকারের মধ্যে যদি এইভাবে বিদ্রোহ চলতে থাকে এবং কংগ্রেস বিধায়করা যদি তাদের বিদ্রোহ না থামান, তাহলে মহারাষ্ট্রে এই সরকারে ভাঙ্গন দেখা দিতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে শেষ পর্যন্ত গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে মোড় নেয়, এখন সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -