এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > মহাত্মা গান্ধীর মূর্তি বসানো নিয়ে অশোক – গৌতমের এবার জোর তরজা

মহাত্মা গান্ধীর মূর্তি বসানো নিয়ে অশোক – গৌতমের এবার জোর তরজা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  শিলিগুড়ি শহরটি একসময় সিপিএম তথা বামফ্রন্টের একটি শক্তিশালী ঘাঁটি বলে পরিচিত ছিল। এখনও এই শহরে বামফ্রন্টের যথেষ্ট প্রভাব আছে। কিন্তু রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের ফলে বর্তমানে শাসকদল তৃণমূলও তার হাত যথেষ্ট শক্তিশালী করতে পেরেছে। আর এই দুই প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দল তৃণমূল সিপিএম ও তৃণমূলের মধ্যে বারবার বিভিন্ন রকম রাজনৈতিক বচসা তথা মতান্তর দেখতে পাওয়া যাচ্ছে।

শিলিগুড়ি শহরের প্রাণকেন্দ্র বলে পরিচিত মহানন্দা সেতুর কাছে একটি গান্ধী মূর্তি বসানোকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্বে লিপ্ত হলেন শিলিগুড়ি পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান অশোক ভট্টাচার্য ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব।

সংবাদ সূত্রে জানা গেছে, গত বছর শিলিগুড়ি শহরের ব্যস্ততম একটি এলাকা হিলকার্ট রোড ও বর্ধমান রোডের সংযোগস্থলটির নাম ‘মহাত্মা গান্ধী চক’ রাখা হয়েছিল শিলিগুড়ি পৌরসভার পক্ষ থেকে। এরপর এই রাস্তার একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থান জোড়া মহানন্দা সেতুর কাছে একটি মহাত্মা গান্ধী মূর্তি বসানোর উদ্যোগ নেয় পুরসভা।

এই কারণে লকডাউন ঘোষণা হওয়ার কিছু পূর্বেই এই এলাকাতে একটি পাকা বেদি নির্মাণ করা হয়েছিল। ২ রা অক্টোবর গান্ধীজীর জন্মদিনে সেখানে একটি গান্ধী মূর্তি প্রতিষ্ঠার কথা পুরসভার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল। অভিযোগ উঠেছে এরপরই মূর্তি প্রতিষ্ঠার এই কাজে বাধা দিচ্ছে পূর্ত দপ্তর। পূর্ত দপ্তরের পক্ষ থেকে ওই স্থানটি ছেড়ে দিয়ে অন্য কোনো স্থানে মূর্তি প্রতিষ্ঠার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

শিলিগুড়ি পৌরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান সেই সঙ্গে সিপিএমের প্রাক্তন পুরমন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন যে, ইতিমধ্যে শিলিগুড়ি শহরের কোথাও গান্ধীজীর মূর্তি বসানো হয়নি। এ কারণেই গ্রিন সিটি মিশনের অর্থে শিলিগুড়ি শহরে একটি গান্ধীজীর মূর্তি বসানোর পরিকল্পনা পৌরসভার পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে।

এর জন্য তারা পূর্ত দপ্তরের কাছে মৌখিক অনুমতি চেয়েছিলেন কিন্তু পূর্ত দপ্তর তাদের সেখানে অনুমোদন দেননি মূর্তি প্রতিষ্ঠার। কিন্তু মূর্তি প্রতিষ্ঠায় দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ প্রাক্তন পুরমন্ত্রী জানিয়েছেন, ” ২ অক্টোবর এই শহরে গান্ধী মূর্তি বসাবই। এ জন্য বিকল্প জায়গা দেখা হচ্ছে। ”

অন্যদিকে রাজ্য সরকারের পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব এ বিষয়ে জানিয়েছেন যে, শিলিগুড়ি শহরের হিলকার্ট রোড বর্ধমান রোডের সংগ্রহস্থল এলাকাটি পূর্ত দপ্তরের অধীনস্থ একটি এলাকা। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ” প্রথমে ওই মোড়ে পর্যটন দপ্তর থেকে গান্ধীজির মূর্তি বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। ওই জমি ব্যবহারের জন্য পূর্ত দপ্তরের কাছে অনুমোদনও চাওয়া হয়। এমন অবস্থায় পূর্বতন পুরবোর্ড কাউকে কিছু না জানিয়ে সেখানে মূর্তি বসানোর কাজ শুরু করেছিল। অর্থাৎ তারা বেআইনিভাবে ওই জমি দখল করেছিল। এ জন্যই পূর্তদপ্তর ওই কাজের অনুমোদন দেয়নি।” তবে পুরসভার পরিবর্তে পর্যটন দপ্তরের পক্ষ থেকেই স্থানটিতে গান্ধী মূর্তি বসবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

এভাবে জাতির জনকের মূর্তি প্রতিষ্ঠা কে কেন্দ্র করে সিপিএম ও তৃণমূলের দুই হেভিওয়েট মন্ত্রী তর্ক-বিতর্কে তথা মূর্তি বসবার প্রতিযোগিতায় জমজমাট শিলিগুড়ি শহর। এ নিয়ে জোর গুঞ্জন শুরু হয়েছে এই শহরে। তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক দের মতে, গান্ধী মূর্তি প্রতিষ্ঠা নিয়ে এই দুই নেতার মধ্যে কলহ কোন নতুন ব্যাপার নয়, বহুকাল ধরেই ইহা চলে আসছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!