এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > এবার বহিরাগত প্রসঙ্গে গান্ধীজির প্রসঙ্গ টানলেন দিলীপ ঘোষ, জেনে নিন কি জানালেন তিনি

এবার বহিরাগত প্রসঙ্গে গান্ধীজির প্রসঙ্গ টানলেন দিলীপ ঘোষ, জেনে নিন কি জানালেন তিনি


আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে।

আপনার মতামত জানান -

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একুশের বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, ততই তৃণমূল এবং বিজেপির বাকযুদ্ধের বহর বাড়ছে। 2021 এর বিধানসভা নির্বাচন জিততে মরিয়া তৃণমূল-বিজেপি উভয়ই। বস্তুত বাংলার রাজনীতিতে এই মুহূর্তে তৃণমূল ও বিজেপি প্রধান প্রতিপক্ষ হিসেবে সামনাসামনি লড়ছে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বাংলার মসনদ দখল করতে গেরুয়া শিবিরের তৎপরতা ইতিমধ্যেই চোখে পড়েছে। রাজ্যকে পাঁচটি জোনে ভাগ করে পাঁচজন কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতা দায়িত্ব নিয়েছে। আর তারপর থেকেই শুরু হয়েছে তৃণমূলের তীব্র কটাক্ষ। অবিরত তৃণমূল বিজেপিকে বহিরাগত এনে ভোট করার কথা বলে কটাক্ষ করছে।

এবার পাল্টা আসরে নামলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি এবার মহাত্মা গান্ধীর উদাহরণ তুলে এনেছেন। তাঁর কথায়, গান্ধীজী দেশের জন্য লড়াই করেছিলেন। তিনি তো বাংলার জন্যও লড়াই করেছিলেন, তাহলে কি তিনি বহিরাগত বাংলার জন্য? শুধু মহাত্মা গান্ধীর কথাই বলেননি দিলীপ ঘোষ, পাশাপাশি তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, একসময় স্বাধীনতা রক্ষায় যেসব বাঙালি আন্দোলন করেছিলেন, তাঁরাও কি শুধু বাংলার জন্য আন্দোলন করেছিলেন? বহিরাগত ইস্যুতে এই মুহূর্তে তৃণমূল বিজেপিকে আক্রমণ করতে এককাট্টা হয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সম্প্রতি টানা পাঁচ দিন ধরে তৃণমূল কংগ্রেস একের পর এক সাংবাদিক সম্মেলন করে চলেছে এবং বহিরাগত ইস্যু নিয়ে বলে চলেছে।

যদিও বিজেপিও পাল্টা সাংবাদিক সম্মেলন করছে। তবে সব মিলিয়ে তৃণমূল বিজেপির মধ্যে এই মুহূর্তে সব থেকে বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে বহিরাগত। রাজ্যের দায়িত্বে 5 কেন্দ্রীয় নেতার আগমনের পরেই যেভাবে বহিরাগত ইস্যুতে তৃণমূল সরব হয়েছে, তারই জবাব এদিন দিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। সম্প্রতি শশী পাঁজা, শুখেন্দু শেখর রায়, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, ব্রাত্য বসুর পর এবার সাংবাদিক সম্মেলন করে বিজেপিকে আক্রমণ করলেন কাকলি ঘোষ দস্তিদার। কেন্দ্রীয় বিজেপি শিবির থেকে বাংলায় 5 কেন্দ্রীয় নেতার আগমনকে ঘিরে তিনি সোচ্চার হন বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি তিনি বিজেপিকে দলিত ইস্যুতেও এদিন আক্রমণ করেন।

তাঁর কথায়, ভোটের আগে বাংলায় বিজেপি দলিতের বাড়িতে ভোজন করছে আর উত্তরপ্রদেশে দলিতদের ধর্ষণ হচ্ছে। অন্যদিকে গত পাঁচদিন ধরে তৃণমূলের এমন কয়েকজন নেতা সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন যাদের সচরাচর সামনে আসতে দেখা যায় না। এখন গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, বহিরাগত ইস্যুতে বিজেপিকে আক্রমণ করতে তৃণমূল শিবিরের সমস্ত নেতা নেত্রীরা আসরে নেমে পড়েছেন বলে। অন্যদিকে রাজ্য বিজেপি সভাপতি বহিরাগত ইস্যুতে তৃণমূলকে পাল্টা একহাত নিয়েছেন। তিনি বলেন- বাংলা থেকে প্রচুর পরিযায়ী শ্রমিক অন্য রাজ্যে কাজ করছেন। তাঁদের কিন্তু কেউ বহিরাগত বলেনা। গুজরাটেও প্রচুর বাঙালি শ্রমিক রয়েছেন, সেখানে তাঁরা কাজ করে ভালো ইনকাম করছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এখন যদি কেন্দ্রীয় নেতাদের বহিরাগত বলা হয়, তাহলে বাঙালির শ্রমিকদেরও বহিরাগত বলা হবে। সেক্ষেত্রে প্রত্যেককে কিন্তু বাংলায় ফিরে আসতে হবে। এরপর দিলীপ ঘোষ চ্যালেঞ্জ করেন তৃণমূল নেত্রীকে, যদি পরিযায়ী শ্রমিক ফেরত আসেন বাংলায় তাহলে মুখ্যমন্ত্রী এই বিপুল সংখ্যক মানুষকে সরকারি চাকরি দিয়ে সামাল দিতে পারবেন তো! পাশাপাশি দিলীপ ঘোষ অভিযোগ করেন, রাজনীতির জন্য বাংলাকে, বাঙালীকে বিপদে ফেলছেন তৃণমূল নেত্রী। সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে তৃণমূল এবং বিজিপির মধ্যে বহিরাগত ইস্যু নিয়ে টানাপোড়েন চরমে পৌঁছেছে বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে কাকলি ঘোষ দস্তিদার করোনা মোকাবিলার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যর্থতার অভিযোগ তুলেছেন।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যেভাবে করোনা মোকাবিলা করতে কেন্দ্র ব্যর্থ হয়েছে, তাতে অবিলম্বে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের সরে যাওয়া উচিত। প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত। বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলার রাজনীতিতে এই মুহূর্তে তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের নিরিখে প্রধান ইস্যু হয়ে উঠেছে বহিরাগত প্রসঙ্গটি। অন্যদিকে রাজনৈতিক মহলের একাংশের প্রশ্ন, কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে তৃণমূল শিবিরের এত আতঙ্কের কারণ কি? তাহলে কি তৃণমূলের নেতা নেত্রীরা বঙ্গ বিজেপির থেকেও কেন্দ্রীয় বিজেপি শিবিরকে ভয় পাচ্ছেন বেশী?

তৃণমূল নেতা নেত্রীরা কি মনে করছেন কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতারা বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে ভোটবাক্সে ব্যাপক ফারাক গড়ে দেবে? অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, কেন্দ্রীয় নেতারা বাংলার দায়িত্ব নিলেও বাংলাকে বুঝতে কিন্তু বেশ কিছুটা সময় লাগবে তাঁদের। বাংলার মানুষরা কেন্দ্রীয় নেতাদের কিভাবে নেবেন তার ওপরও নির্ভর করছে অনেক কিছু। তবে সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে বহিরাগত ইস্যু নিয়ে টানটান উত্তেজনা বাংলার রাজনৈতিক মহলে। আর সেই ইস্যুকেই আরও একটু উস্কে দিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল –

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – 

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – 

# মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল –

আপনার মতামত জানান -
আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!