এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > নিজের-পরের বলে কিছু নেই! কেউ চুরি করলে সে চোর! মহুয়া মৈত্রের আগুনে দাবিতে ঝড় তৃণমূলের অন্দরে

নিজের-পরের বলে কিছু নেই! কেউ চুরি করলে সে চোর! মহুয়া মৈত্রের আগুনে দাবিতে ঝড় তৃণমূলের অন্দরে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ফের দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি নিয়ে সরব হলেন মহুয়া মৈত্র। কিছুদিন আগেই তিনি তার জেলায় দলের পরিচালিত অনেক পঞ্চায়েতের দুর্নীতি নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলেছিলেন। যার ফলে অস্বস্তিতে পড়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এভাবে মহুয়া মৈত্র দলের পরিচালিত পঞ্চায়েতের কাজকর্ম নিয়ে মুখ খোলায় রীতিমত সরব হতে শুরু করেন তৃণমূলের একাংশ।

এমনকি এই ব্যাপারে বিরোধীরাও তাদের হাতে নতুন অস্ত্র পেয়ে যায়। তবে সম্প্রতি তৃণমূল শুদ্ধিকরণের পথে হাঁটতে শুরু করেছে। যে সমস্ত জায়গায় নেতারা দুর্নীতি করছে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে দল। আর এই পরিস্থিতিতে এবার ফের দূর্নীতি নিয়ে মুখ খুললেন কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী তথা সাংসদ মহুয়া মৈত্র। সূত্রের খবর, শনিবার অ্যাপের মাধ্যমে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেন মহুয়া মৈত্র।

আর সেখানেই ভয়াবহ দুর্যোগের যারা ক্ষতিগ্রস্ত, তাদের ক্ষতিপূরণ না দেওয়া নিয়ে বেশ কিছু নেতার বিরুদ্ধে তার কাছে অভিযোগ এসেছে বলে জানান তিনি। এদিন মহুয়া মৈত্র বলেন, “আমার কাছে এবং জেলা প্রশাসনে বহু অভিযোগ এসেছে। এটা একেবারেই বরদাস্ত করা হবে না। মুখ্যমন্ত্রীও সেকথা বলেছেন। নিজের লোক, পরের লোক বলে কিছু নেই। কেউ যদি চুরি করে, সে আমার কাছে চোর।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

মহুয়াদেবী এদিন স্পষ্ট করে দেন, “বাড়ি নষ্ট হয়নি, কিন্তু লিস্টে তার নাম আছে, টাকা পাচ্ছেন, আর ঘরহারা মানুষটা টাকা পেল না, এটা আমি বরদাস্ত করব না। আগামী দিনে খতিয়ে দেখে যেখানে এমন বিষয় ধরা পড়বে, যারা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” অর্থাৎ একদিকে যেমন এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্ত নেতাদের সতর্ক করলেন মহুয়া মৈত্র, ঠিক তেমনই তার বক্তব্যের মধ্যে থেকে উঠে এল যে, এই জেলায় বেশ কিছু নেতা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন।

আর মহুয়া মৈত্র এই বক্তব্য প্রদানের সাথে সাথে এবার রাজনৈতিক মহলে তৈরি হয়েছে শোরগোল। বিরোধীরা দাবি করছেন, মহুয়া মৈত্র কার্যত স্বীকার করে নিলেন যে, তার জেলায় এরকম বহু নেতা রয়েছেন, যারা দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। এদিন তিনি আরও বলেন, “অনেক সময় যাদের পাকা বাড়ি আছে, বাংলার আবাস যোজনায় তাদের নামে বাড়ি বরাদ্দ হয়ে যায়। আজকের তারিখে হয়ত তিনি আর ঘর পাওয়ার যোগ্য নন। ভেরিফিকেশনে তার নাম অবশ্যই বাদ দেওয়া হবে।”

মহুয়া মৈত্রের স্পষ্ট বক্তব্য, “তার অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকতে পারে না। এটা নিয়ে একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়। সবাই মিলে চেষ্টা করলে আমরা সব দুর্নীতি শূন্য করে দিতে পারি।” এদিকে এদিনের সাংবাদিক সম্মেলন থেকে কেন্দ্রের বিরুদ্ধেও সরব হতে দেখা যায় কৃষ্ণনগরে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একদিকে বিজেপির বিরোধিতা এবং অন্যদিকে নিজের দলের শুদ্ধিকরণ।

এই দুইয়ের ওপর ভিত্তি করেই এখন পথ চলতে হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসকে‌। তবে অতীতের মত এদিনও যেভাবে নিজের দলের অনেক নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করে সরব হলেন মহুয়া মৈত্র, তাতে রাজনৈতিক মহলে তার এই মন্তব্য নিয়ে এখন ব্যাপক শোরগোল তৈরি হবে, এটাই স্বাভাবিক। বিশেষ করে ২০২১-এর নির্বাচনে বিরোধীদের প্রধান অস্ত্র হতে যাচ্ছে তৃণমূলের ‘দুর্নীতি’ – বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!