এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > মহুয়া মৈত্রের নেতাদের সঙ্গে দূরত্ব ও “দুর্ব্যবহার” চিন্তায় রাখছে তৃনমূলকে, ফুরফুরে বিজেপি নেতারা

মহুয়া মৈত্রের নেতাদের সঙ্গে দূরত্ব ও “দুর্ব্যবহার” চিন্তায় রাখছে তৃনমূলকে, ফুরফুরে বিজেপি নেতারা


গতবারের বিদায়ী সাংসদ তাপস পালের বিতর্কিত মন্তব্যের পর এবার কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রে জয় আনতে মহুয়া মৈত্রকে এখানে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। সম্প্রতি এই কেন্দ্রের নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। আর ভোটপর্ব সমাপ্ত হওয়ার পরই এই লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত কোন বিধানসভা থেকে কত লিড আসতে পারে তা নিয়ে হিসেব করতে শুরু করেছে ঘাসফুল শিবির।

সূত্রের খবর, কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত কৃষ্ণনগর উত্তর বিধানসভা কেন্দ্র এলাকা থেকে লিড পাওয়ার ক্ষেত্রে কিছুটা হলেও চিন্তা রয়েছে শাসক দলের। একাংশের ধারণা, বিগত কয়েকটি নির্বাচনের ফলাফল থেকে মনে হচ্ছে যে এবার কৃষ্ণনগর টাউন এবং গ্রামীণ উভয় ক্ষেত্রেই মাইনাস ভোট পেতে পারেন তৃণমূল প্রার্থী। যদিওবা শহর ও গ্রাম বিলিয়ে 10 থেকে 12 হাজার ভোটে লিড পাবে তৃণমূল বলে দাবি শাসকদলের এই এলাকার ভোট সেনাপতি অসীম সাহার।

প্রসঙ্গত, কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের ভূমি কৃষ্ণনগরে গত 2009 সালের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী তাপস পাল লিড পেলেও গত 2014 সালের লোকসভা নির্বাচনের সময় কৃষ্ণনগর পুরসভার 24 টি ওয়ার্ডের মধ্যে 22 টিতেই পিছিয়ে পড়ে তৃণমূল। অন্যদিকে গত 2016 সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই কৃষ্ণনগর পুরসভা থেকে লিড পাননি মন্ত্রী অবনীমোহন জোয়ারদার। ফলে 2019 এর লোকসভা নির্বাচনে কৃষ্ণনগর পৌরসভার 25 টি ওয়ার্ড থেকেই যাতে লিড পাওয়া যায় তার জন্য এখানকার তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্র এই পৌরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান অসীম সাহাকে সাথে নিয়ে ভোট ময়দানে নামেন। কিন্তু ভোটপর্বের প্রচার চলাকালীন সেই অসীম সাহার বিরুদ্ধে একাধিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ তুলে দুটি লিফলেট বের হলে তা জনমানসে ভালোই প্রভাব ফেলে বলে দাবি করেন অনেকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পাশাপাশি তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্র জেলার একাধিক নেতা এবং বিধায়কদের সেভাবে পাত্তা না দেওয়ায় এবং দুর্ব্যবহার করায় অনেকেই তা মেনে নিতে পারেননি। ফলে ভোটের দিন এলাকায় বিজেপির ভালো প্রভাব দেখা গেলেও শাসকদলের বেশ কিছু ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলারদের বাড়িতে বসেই সময় কাটাতে দেখা গেছে। অন্যদিকে এই কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী তথা বিশিষ্ট ফুটবলার কল্যান চৌবের সরল ব্যবহার অনেকেরই মন কেড়ে নিয়েছে বলে দাবি রাজনৈতিক মহলের। আর এসব কারণেই কৃষ্ণনগর পৌরসভার বেশিরভাগ ওয়ার্ড থেকে মাইনাস ভোট পেতে হতে পারে তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্রকে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপি নদীয়া উত্তরের জেলা সভাপতি মহাদেব সরকার বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন কৃষ্ণনগর পুরসভা ও গ্রামীন এলাকা দেখার জন্য অসীম সাহাকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন তখনই আমরা কোর্টে বল পেয়েছি। কারণ একাধিক কেলেঙ্কারির নায়ক অসীম সাহাকে শহরের মানুষ পছন্দ করে না। তাই এবার এখানে অ্যান্টি অসীম ভোট হয়েছে। আমরা শহর ও গ্রামীণ এলাকা থেকে অনেকটাই লিড পাব।”

অন্যদিকে এই প্রসঙ্গে কৃষ্ণনগর পৌরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল নেতা অসীম সাহা বলেন, “প্রতি নির্বাচনের আগেই আমার বিরুদ্ধে লিফলেট পরে। কিন্তু তার প্রভাব নির্বাচনের পরে না। আমরা এই বিধানসভা থেকে অন্তত 10 থেকে 12 হাজার ভোটে লিড দেব।” সব মিলিয়ে দাবি পাল্টা দাবির মাঝেই এবার শেষ পর্যন্ত কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্র কার দখলে থাকে তা দেখবার জন্য অপেক্ষা করতেই হবে আগামী 23 মে পর্যন্ত।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!