এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > এবার কি অ্যারেস্ট হতে চলেছেন তৃণমূল নেত্রী? বিজেপি নেতার মন্তব্যে বাড়লো জল্পনা

এবার কি অ্যারেস্ট হতে চলেছেন তৃণমূল নেত্রী? বিজেপি নেতার মন্তব্যে বাড়লো জল্পনা

 

লোকসভা নির্বাচনে পরাজয়ের পরেও বারবার দলীয় শৃঙ্খলার কথা বলেও কাজে দেয়নি। উল্টে বিভিন্ন জায়গায় বিজেপিকে মোকাবিলা করা তো দূর অস্ত, উল্টে তৃনমূলের নিজেদের দলের নেতা-নেত্রীরাই গণ্ডগোল করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। আর রাজ্যজুড়ে যখন বিজেপির উত্থান ঘটছে, তখন তৃণমূলের নেতা- নেত্রীদের এই দ্বন্দ্ব বিজেপিকে বাড়তি ফায়দা তুলে দিচ্ছে বলেই মত রাজনৈতিক মহলের।

তবে তাতেও তৃণমূলের নেতা নেত্রীরা তা কানে নেয়নি। উল্টে নিজেদের মধ্যে কোন্দল করতেই তারা ব্যস্ত হয়েছিলেন। বস্তুত, দক্ষিণ কলকাতায় তৃণমূলের মালা রায় বনাম শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের বিবাদ নতুন কিছু নয়। সম্প্রতি পাড়ায় পাড়ায় আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব দেখানোর সময় রাস্তার আলো জালানোকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে প্রবল সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। যেখানে প্রবীণ মন্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও তাকে দক্ষিণ কলকাতার সাংসদ মালা রায়েথ অনুগামীরা মারধর করেছে বলে অভিযোগ করেন রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। যা নিয়ে তৃণমূলে ব্যাপক শোরগোল সৃষ্টি হয়।

শোভনবাবু বলেন, “মালা রায় লোক পাঠিয়ে এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন। এরকম পরিস্থিতির কখনও সম্মুখীন হইনি। যারা এসব করেছেন, তারা সকলেই আমার পরিচিত। ইচ্ছে করে চারবার আলো জ্বালিয়ে দেয় সিনেমা বন্ধ করার জন্য। আমি প্রথম তিনবার কিছু বলিনি। তবে বারবার তোমরা সিনেমা কেন বন্ধ করছ, এই কথা বলার সঙ্গে সঙ্গেই আমার জামার কলার ধরে ধাক্কা দেয়। এরপর পেছন থেকে কিল, চড়, ঘুষি চলতে থাকে। তারপর মেয়েরা গালমন্দ করতে থাকে।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যদিও বা ব্যক্তিগত ক্রোধের কারণেই মন্ত্রী এই কথা বলছেন বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন দক্ষিণ কলকাতার তৃণমূল সাংসদ মালা রায়। আর এতদিন তৃণমূলের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে কোন্দল প্রকাশ্যে আসলেও স্বয়ং মন্ত্রী বনাম সাংসদের এই কোন্দল অস্বস্তিতে ফেলে দিল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে। আর এবার তৃণমূলের দুই হেভিওয়েট নেতা-নেত্রীর মধ্যে এই দ্বন্দ্ব নিয়ে ফায়দা তুলতে মাঠে নেমে পড়ল গেরুয়া শিবির।

সূত্রের খবর শোভন দেব চট্টোপাধ্যায় মালারাই ঘরোয়া কোন দল নিয়ে দিন তৃণমূলকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন প্রাক্তন তৃণমূল নেতা তথা বর্তমান বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা। ফেসবুক একটি পোস্ট করে তিনি লেখেন, “তৃণমূলের অ্যারেস্ট প্রথা অনুসারে মালা রায়কে কি গাজা কেস, নাকি জালনোটের কেস দেওয়া হবে!”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বুঝতে বাকি নেই অনুপমবাবু কার্যত তৃণমূলকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেই কৌতুক ভাবে এই ধরনের মন্তব্য করেছেন। অর্থাৎ, বিজেপির তরফে অভিযোগ করা হয় যে, শাসকদলের বিরোধিতা করলেই তাদের ছোট, বড়, মেজো সব নেতাকে গাঁজা কেস দিয়ে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।

আর তাই সেদিক থেকে একদিকে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের কথা তুলে ধরা, আর অন্যদিকে নিজেদের দলে তৃণমূল এই ধরনের অশান্তির ঘটনা রোধ করতে সেই সমস্ত কোন্দল সৃষ্টিকারী নেতাদের বিরুদ্ধেও কি এই কেস প্রয়োগ করবে! তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন অনুপম হাজরা। যা তৃণমূল কংগ্রেসকে প্রবল অস্বস্তিতে ফেলবে বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!